সুমাইয়া আখতার তারিন, ববি প্রতিনিধি
অভিভাবক শূন্য হয়ে পড়ায় চরম সঙ্কটে পড়েছে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় (ববি)। গেল ২৭ মে তৎকালীন উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস এম ইমামুল হকের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর থেকে উপাচার্য শূন্য রয়েছে দক্ষিণবঙ্গের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ খ্যাত বিশ্ববিদ্যালয়টি।
এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই উপ-উপাচার্য পদটি ফাঁকা থাকায় এখন পুরোপুরি অভিভাবক শূন্য। এ দিকে রেজিস্ট্রার পদ শূন্য রয়েছে দীর্ঘ এক বছর ধরে। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের পদটিও শূন্য রয়েছে বর্তমানে।
সদ্য সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস এম ইমামুল হকের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর থেকে কোষাধ্যক্ষ ড. এ কে এম মাহবুব হাসান উপাচার্যের রুটিন দায়িত্ব পালন করলেও তার মেয়াদও শেষ হয়ে যাওয়ায় এখন এ পদটিও ফাঁকা রয়েছে।
সবমিলিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রমে চলছে অচলাবস্থা। আটকে আছে বিভিন্ন বিভাগের পরীক্ষা, ফল। এতে সেশনজট আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করছেন শিক্ষার্থীরা। পাশাপাশি শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতাও আটকে যাওয়ার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছয়টি অনুষদের মধ্যে একটি ছাড়া বাকিগুলোর ডিনের দায়িত্ব পালন করেন উপাচার্য। ফলে ওইসব বিভাগের পরীক্ষা, ফল প্রকাশসহ সব কার্যক্রম স্থবির রয়েছে।
এ দিকে উপাচার্য না থাকায় শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ সবার মধ্যেই গা-ছাড়া ভাব লক্ষ্য করা গেছে। স্থবির হয়ে পড়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক এবং অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড। স্থগিত হয়ে আছে শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি। অর্থ ছাড়ের অভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান কয়েকটি উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ বন্ধ রয়েছে।
অভিভাবকহীন এ বিশ্ববিদ্যালয়টিতে সাম্প্রতি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ, পারস্পারিক কাঁদা ছোড়াছুড়ি চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে। জানা যায়, বর্তমানে উপাচার্য না থাকার সুযোগে অনেক কর্মকর্তা-কর্মচারী কোনো নিয়মের তোয়াক্কা করছেন না। যা ইচ্ছে তাই করছেন।
উপাচার্যের রুটিন দায়িত্ব পালন করা সদ্য সাবেক কোষাধ্যক্ষ ড. একেএম মাহবুব হাসানের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ আত্মসাৎ, নিয়মবহির্ভূতভাবে অনুগতদের পদোন্নতি, বদলী, বিরোধী মত দমন, এখতিয়ার বহির্ভূত সিদ্ধান্ত নেওয়া, সাবেক উপাচার্যের ঘণিষ্ঠদের শায়েস্তা করা, কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া, সিন্ডিকেট সভা ছাড়া বহিষ্কৃত কর্মকর্তাকে পূর্নবহালসহ একাধিক অভিযোগ রয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবু জাফর মিয়া বলেন, উপাচার্য না থাকায় অ্যাকাডেমিক, অর্থ ও সিন্ডিকেট সভা হচ্ছে না ছয় মাস ধরে। এ কারণে সিলেবাস ও ফল কার্যক্রম অনুমোদন দেওয়া যাচ্ছে না। খণ্ডকালীন শিক্ষকও নিয়োগ হচ্ছে না।
তিনি আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে। এ অবস্থায় উপাচার্য নিয়োগ দেওয়া খুবই জরুরি।
ওডি/আরএআর
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড