বাকৃবি প্রতিনিধি
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) শহীদ জামাল হোসেন হল ছাত্রলীগের সভাপতি দীপক হালদারকে সালাম না দেওয়ায় গত ৫ আগস্ট গভীর রাত পর্যন্ত হলের কক্ষে আটকে রাখা হয় মো. মাকসুদুল হক ইমু নামের এক শিক্ষার্থীকে। হল ছাত্রলীগ সভাপতির নির্দেশক্রমে হলের অন্য নেতারা তার ওপর চড়াও হয়। এ সময় তাকে স্ট্যাম্প দিয়ে মারধর করেন হল ছাত্রলীগের নেতারা।
এ ঘটনার পর পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়। সেটি উল্লেখ করে এ ঘটনায় দোষীদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় কী ব্যবস্থা নিয়েছে তা জানতে চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। মন্ত্রাণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব নীলিমা আফরোজ স্বাক্ষরিত চিঠিতে আগামী ৭ কর্মদিবসের মধ্যে এ ব্যবস্থা গ্রহণ করতেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
জানা যায়, মাকসুদুল হক ইমু বিশ্ববিদ্যালয়ের পশুপালন অনুষদের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী। হল ছাত্রলীগের সহসভাপতি আবদুল্লাহ শাফি, গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক শাহাদাত হোসেন শাওন এবং পাঠাগার সম্পাদক মো. রাহাত হোসেন রাত ১টার দিকে ওই শিক্ষার্থীকে হলের পূর্ব ফার্স্ট ব্লকের ৫ নম্বর কক্ষে ডেকে নিয়ে যান। পরে তারা হল সভাপতিকে সালাম না দেওয়ার কারণ জানতে চান এবং তাকে সারারাত নির্যাতন করেন।
এই ঘটনার পরের দিন (৬ আগস্ট) তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মো. ছাইফুল ইসলামের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক মো. আজহারুল ইসলাম, ফসল উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক এ কে এম জাকির হোসেন এবং সহকারী প্রক্টর চয়ন গোস্বামীকে সদস্য করে কমিটি গঠন করা হয়। তবে কত দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে হবে, বিজ্ঞপ্তিতে সে বিষয়ে কোনো নির্দেশনা দেওয়া ছিল না।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আজহারুল হক বলেন, ‘সম্প্রতি তদন্ত কমিটি এ বিষয়ে একটি রির্পোট জমা দিয়েছে। আমরা ওই রির্পোটের ওপর ভিত্তি করে দ্রুতই ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছি।’
ওডি/এসএসকে
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড