• বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩৬ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

বিএম কলেজের ছাত্রাবাসে অভিযান; ৩টি কক্ষ সিলগালা

  বরিশাল প্রতিনিধি

২০ অক্টোবর ২০১৯, ১৮:২৯
বরিশাল সরকারি ব্রজমোহন কলেজ
বরিশাল সরকারি ব্রজমোহন কলেজ (ছবি : সংগৃহীত)

বরিশালের সরকারি ব্রজমোহন (বিএম) কলেজের ৩টি ছাত্রাবাসে অভিযান চালিয়েছে কলেজ প্রশাসন।

শনিবার (১৯ অক্টোবর) রাত ১১টার পর ছাত্রাবাস ৩টিতে পর্যায়ক্রমে অভিযান চালানো হয়। অভিযানের পর একটি ছাত্রাবাসের ৩টি কক্ষ সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে। যে ৩টি ছাত্রাবাসে অভিযান চালানো হয়েছে সেগুলো হলো- অশ্বিনী কুমার হল, ফ্লাইট সার্জেন্ট ফজলুল হক হল (মুসলিম হল) ও জীবনানন্দ দাশ হল (হিন্দু ছাত্রাবাস)।

ছাত্রাবাস ৩টিতে মাদকসেবী ও বহিরাগত সন্ত্রাসীরা অবস্থান করে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর নির্যাতন চালায় এমন অভিযোগের ভিত্তিতে কলেজ অধ্যক্ষ অধ্যাপক শফিকুর রহমান সিকদারের নেতৃত্বে অভিযান পরিচালিত হয়।

অশ্বিনী কুমার ছাত্রাবাসের তত্ত্বাবধায়ক অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর কবির জানান, ‘অভিযান চালানো ৩টি ছাত্রাবাসের একাধিক কক্ষ দখল করে বহিরাগতরা মাদক ও জুয়ার আসর বসায় এমন অভিযোগ পাওয়ার পর শনিবার রাত ১১টা থেকে ২টা পর্যন্ত ছাত্রাবাসগুলোতে কলেজ প্রশাসনের উদ্যোগে অভিযান চালানো হয়েছে। প্রথমে অভিযান চালানো হয় অশ্বিনী কুমার ছাত্রবাসে। এ সময় ছাত্রাবাসটির এ ব্লকের ৩০১ ও ৩১০ এবং বি ব্লকের ২১৫ নম্বর কক্ষে কাউকে পাওয়া যায়নি। সে কারণে তাৎক্ষনিক ওই তিনটি কক্ষ সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে।’

অধ্যাপক জাহাঙ্গীল কবির জানান, ‘ওই তিনটি কক্ষ যদি বৈধভাবে কোনো শিক্ষার্থীর নামে বরাদ্দ দেওয়া হয়ে থাকে তাহলে কলেজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে তাদের যোগাযোগ করতে হবে। কেন তারা কক্ষে ছিল না, তার কারণ খোঁজা হবে। পরবর্তিতে কক্ষ তিনটি খুলে দেওয়া হবে কিনা সে সিদ্ধান্ত কর্তৃপক্ষ নেবেন।’

অশ্বিনী কুমার ছাত্রাবাসের পরপরই অভিযান চালানো হয় ফ্লাইট সার্জেন্ট ফজলুল হক হল (মুসলিম হল) ও জীবনানন্দ দাশ (হিন্দু হল) হলে। তবে এ দুটি হলের কোনো কক্ষে আপত্তিকর কোনো কিছু পাওয়া যায়নি বলে কলেজ কর্তৃপক্ষের দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে।

কলেজ অধ্যক্ষ অধ্যাপক শফিকুর রহমান সিকদার বলেন, ‘ওই তিন ছাত্রাবাসের বিভিন্ন কক্ষে নানা রকম অনিয়মের অভিযোগ পাওয়ার পর শনিবার রাতে অভিযান চালানো হয়েছে। তিনটি ছাত্রাবাসের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্তৃপক্ষকে কঠোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যাতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের পড়াশুনায় কোনো প্রকার বিঘ্ন না ঘটে এবং প্রভাব খাটিয়ে কেউ ছাত্রাবাসের কোনো কক্ষ দখল নিতে না পারে।’

এদিকে বিএম কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থীদের একাধিক সূত্র জানিয়েছে, অশ্বিনী কুমার ছাত্রাবাসের ৩০১ নম্বর কক্ষ দখল করে কলেজের এক ছাত্রলীগ নেতা মাদক ব্যবসা চালাতেন। ২১৫ নম্বর কক্ষটি দখলে রেখেছিলেন জেলা ছাত্রলীগের এক সহসভাপতি। এ কক্ষটিতে (২১৫) মাদকের আড্ডা ও জুয়ার আসর বসানোর অভিযোগ দীর্ঘ দিনের। অপরদিকে ফজলুল হক ছাত্রাবাস ও জীবনানন্দ ছাত্রাবাসেরও একাধিক কক্ষ কথিত ছাত্রলীগ নেতাদের দখলে থাকার অভিযোগ ছিল। তবে বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যাকান্ডের পর সারা দেশের কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ছাত্রাবাসে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী অভিযান শুরু করলে বিএম কলেজের ওই তিন ছাত্রাবাসের কক্ষগুলোর দখল ছেড়ে দেন কথিত ছাত্রলীগ নেতারা।

ওডি/এসএসকে

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড