এবার ঢাবির হলে শিক্ষার্থীকে বেধড়ক মারধর

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) জগন্নাথ হলের নিলয় কুমার বিশ্বাস নামের এক শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে আহত করেছে একই হলের দুজন শিক্ষার্থী।

রবিবার (২০ অক্টোবর) দুপুরের দিকে জগন্নাথ হলের সন্তোষ ভট্টাচার্য ভবনের সিঁড়িতে এ ঘটনা ঘটে। আহত শিক্ষার্থীর চোখে ব্যাপক আঘাত লাগে এবং নাক থেকে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়।

হামলাকারী শিক্ষার্থী সুস্ময় দত্ত হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষে এবং সৌরভ বিশ্বাস আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষে অধ্যয়নরত আছেন। অপরদিকে আহত শিক্ষার্থী নিলয় কুমার বিশ্বাস গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থী। হামলাকারী সুস্ময় দত্ত জগন্নাথ হলে ছাত্রলীগের রাজনীতি করেন এবং বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাসের অনুসারী বলে জানা গেছে।

হলের শিক্ষার্থীরা জানায়, সৌরভ বিশ্বাসকে জোবাইক নিয়ে রুমে যেতে দেখে নিলয় বাধা দেয়। এতে দুজনের মাঝে বাক-বিতণ্ডা শুরু হয়। এক পর্যায়ে সুস্ময় দত্ত এসে নিলয়কে বেধড়ক মারধর করে। এতে নিলয়ের নাক-মুখ রক্তাক্ত হয়ে যায়।

পরে নিলয়ের বন্ধুরা প্রক্টরিয়াল টিমের সাহায্যে তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক নিলয়ের চোখে মারাত্মক আঘাত দেখে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরের পরামর্শ দেন।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক একেএম গোলাম রব্বানী বলেন, ‘আমরা বিষয়টি অবগত আছি। প্রক্টরিয়াল টিমের মাধ্যমে আহত শিক্ষার্থীকে চিকিৎসা সহায়তা দেওয়া হয়েছে।’ বিষয়টি ঢাবির জগন্নাথ হলের প্রাধ্যক্ষকে জানানো হয়েছে বলে জানান তিনি।

মারধরের বিষয়ে জগন্নাথ হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক মিহির লাল সাহা বলেন, ‘বিষয়টি অবহিত হয়েছি। লিখিত অভিযোগ দিলে আমরা ব্যবস্থা নেবো।’

এ ব্যাপারে সনজিত চন্দ্র দাসের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তার মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়।

ওডি/এসএসকে