• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩২ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়

বাস ভোগান্তি: পোষ্যদের হাতে বৈধ কার্ড, বঞ্চিত শিক্ষার্থীরা

  বাকৃবি প্রতিনিধি

১৭ অক্টোবর ২০১৯, ২২:২৫
বাকৃবি
বাস ভোগান্তিতে শিক্ষার্থীদের আবরোধ (ছবি: দৈনিক অধিকার)

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) বাস নিয়ে নানা ভোগান্তির জেরে বাস আবরোধ করে শিক্ষার্থীরা। আলাদা ট্রিপ চালুর দাবিতে আন্দোলন করেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) বিকাল ৫টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের জব্বারের মোড়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস অবরোধ করে আন্দোলন করে শিক্ষার্থীরা। বাস ট্রিপ নিয়ে দীর্ঘদিনের অভিযোগ রয়েছে শিক্ষার্থীদের।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ভর্তির সময় বাস কার্ডের টাকা নেয়া হলেও দেওয়া হয় না বাস কার্ড। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক কর্মকর্তাদের সব ধরণের সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত হলেও অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে শিক্ষার্থীরা। একই বাস ব্যবহৃত হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারি ও তাদের সন্তানদের জন্য।

তারা জানায়, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ময়মনসিংহ শহরে যাতায়াত, বিভিন্ন স্কুল কলেজে পড়ুয়া তাদের সন্তানদের বহন করতে সব ধরণের সুযোগ দেয়া হয়। অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাই ভিনদেশী হিসেবে কোনোমতে দাাঁড়িয়ে বাসে যেতে হয়। সম্পূর্ণ বাস স্কুল কলেজের শিক্ষার্থী ও কর্মচারী দিয়েই ভর্তি থাকে। দীর্ঘদিন ধরে বিষয়টি শিক্ষার্থীরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও পরিবহণ শাখায় জানালেও কোনো সুরাহা হচ্ছে না। এ যেন সবসময় শিক্ষার্থীদের বিষয়েই জটিলতার জাল।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে বাসে নিয়মিত যাতায়াতকারী এক শিক্ষার্থী জানান, ‘বাসের কর্মচারীদের ব্যবহারও সন্তোষজনক নয়। বাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অধিকাংশের দাঁড়িয়ে যেতে হয়। মেয়েদের দাঁড়িয়ে যাওয়া আরও কষ্টের।’

আন্দোলনের এক পর্যায়ে সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাাপক ড. মো. আজহারুল ইসলাম, প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আজহারুল হক উপস্থিত হয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনার কথা বললে শিক্ষার্থীরা রাজি হন। আলোচনায় শিক্ষার্থীরা তাদের দাবিগুলো তুলে ধরেন।

দাবিগুলো হলো- বাস এবং বাসের ট্রিপ সংখ্যা বাড়াতে হবে, বাসের সামনে সাইনবোর্ডে কোন বাস কোন রোডে যাবে তা লেখা থাকতে হবে এবং সর্বপোরি শুধুমাত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য আলাদা বাস নিশ্চিত করতে হবে।

প্রায় এক ঘণ্টার আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন- বিশ্বাবদ্যালয়ের ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. ছোলায়মান আলী ফকির, প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আজহারুল হক এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন শাখার পরিচালক অধ্যাপক ড. সুবাস চন্দ্র দাস এবং ফসল উদ্ভিদ বিজ্ঞানের অধ্যাপক ড. এ কে এম জাকির হোসেন।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন শাখার পরিচালক অধ্যাপক ড. সুবাস চন্দ্র দাস বলেন, ‘আপাতত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের একক বাসের জন্য আলাদা ট্রিপ চালু করা সম্ভব নয়। তবে দুটি নষ্ট গাড়ি রয়েছে যা মেরামত করলে সারাদিনের কিছু ট্রিপে শিক্ষার্থীদের জন্য আলাদা বাসের ব্যবস্থা করা যেতে পারে।’

তিনি জানান, ‘২০১৩-১৪ তে সর্বশেষ বাস ক্রয় করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন মেগা প্রকল্পে চারটি বাস ক্রয় করা হবে। বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। এই বাসগুলো যুক্ত হলেই শিক্ষার্থীদের দাবি পূরণ করতে পারবো বলে আশা করি।’

ভর্তির সময় বার্স কার্ডের জন্য টাকা নেয়া হলেও কার্ড না দেয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আপাতত বিশ্ববিদ্যালয়ের আইডি কার্ডের মাধ্যমে শনাক্ত করা হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে আমরা আলোচনা করে সমাধান করবো।'

পোষ্যদের বিষয়ে পরিবহন শাখার পরিচালক বলেন, ‘আবেদনের প্রেক্ষিতে তাদের সন্তানদের বাস কার্ড দেয়া হয়। এজন্য শিক্ষার্থীদের ন্যায় তাদের থেকেও নির্দিষ্ট অর্থ কর্তন করা হয়ে থাকে।’

তবে এই বক্তব্যে সন্তুষ্ট হতে পারেননি আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। পরবর্তীতে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আবার আলোচনায় বসার কথা বলে ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা এবং পরিবহন শাখার পরিচালক আলোচনা কক্ষ থেকে বের হয়ে যান।

ওডি/জেআই

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড