বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধি
গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. খোন্দকার নাসিরউদ্দিনের নিয়মবহির্ভূতভাবে নিজের বন্ধুকে নিয়োগের নতুন অভিযোগ উঠেছে।
বিশ্ব ব্যাংকের এক প্রকল্পে কাজ করা বন্ধুকে ডেকে এনে নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণী সম্পদ বিজ্ঞান ও ভেটেরিনারি মেডিসিন (এলভিএম) বিভাগের চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন তিনি। বিষয়টি জানিয়েছেন সাবেক উপাচার্যের বন্ধু প্রাণি সম্পদ বিজ্ঞান ও ভেটেরিনারি মেডিসিন বিভাগের বর্তমান চেয়ারম্যান শফিকুজ্জামান নিজেই। এমনকি তাকে কোনো সিভিও জমা দিতে হয়নি বলে জানিয়েছেন তিনি।
সম্প্রতি এই চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অবৈধ নিয়োগের অভিযোগ তোলা হয়। পরবর্তীতে অনুসন্ধান করে জানা যায়, বাকৃবির সাবেক এই শিক্ষার্থী কেবলমাত্র বন্ধুত্বের কারণেই ২০১৮ সালে নিয়োগ পেয়েছেন। তার ইতঃপূর্বে কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করার অভিজ্ঞতা ছিল না। প্রায় ১৮ বছর একটি আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রকল্পের অধীনে কাজ করেছেন তিনি। প্রকল্পটি শেষ হলে তাকে তার বন্ধু ডেকে এনে এলভিএম বিভাগে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেন। তবে একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকের লেকচারার, সহকারী অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক বা অধ্যাপক এই চারটি ডেজিগনেশনের যে কোনো একটি ডেজিগনেশন থাকলেও শফিকুজ্জামানের কোনোটিই নেই। এমনকি তাকে চেয়ারম্যান হিসেবেও নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অমান্য করে।
‘বশেমুরবিপ্রবি আইন-২০০১’-এর ২৫ নম্বর ধারা অনুযায়ী বিভাগোর চেয়ারম্যান হওয়ার জন্য নূন্যতম সহযোগী অধ্যাপক হওয়ার প্রয়োজন হয়। এ বিষয়ে শফিকুজ্জামানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনিও তার ডেজিগনেশন জানাতে পারেননি। তিনি বলেছেন, সাবেক উপাচার্য আমার বন্ধু ছিলেন, তিনি যখন এলভিএম বিভাগ চালু করেন তখন এখানে কোনো শিক্ষক ছিল না। আর একই সময়ে আমারও প্রজেক্টের কাজ শেষ হয়। যেহেতু আমি সংশ্লিষ্ট বিষয়ে চাকরি করেছি তাই আমাকে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেন।
চেয়ারম্যান হওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, উপাচার্য আমাকে চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন তাই আমি দায়িত্ব পালন করছি।
প্রসঙ্গত, অবৈধ নিয়োগ, স্বেচ্ছাচারীতা, আর্থিক দুর্নীতিসহ বিভিন্ন কারণে সম্প্রতি শফিকুজ্জামানের অপসারণ চেয়ে রেজিস্ট্রার বরাবর অভিযোগ করেছে এলভিএমের শিক্ষার্থীরা।
ওডি/আরএআর
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড