রাবি প্রতিনিধি
সম্প্রতি বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের পর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) আবাসিক হলগুলোতে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের মোট ১৭টি হল রয়েছে। এর মধ্যে ১১টি ছাত্রদের আর ৬টি ছাত্রীদের। হলগুলোর দায়িত্বে থাকা একাধিক প্রাধ্যক্ষ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে শিগগিরই হলগুলোতে তল্লাশিতে নামবে প্রশাসন।
এদিকে রাবি হলগুলোর শিক্ষার্থীরা জানিয়েছে, আবাসিক হলগুলো এখনো পুরোপুরি ছাত্রলীগের নিয়ন্ত্রণে। প্রতিটি হলে প্রাধ্যক্ষ থাকলেও, ছাত্রলীগের কাছে এক ধরণের জিম্মি হয়ে রয়েছে প্রতিটি হলের শিক্ষার্থীরা। নিরাপত্তা সংকটে রয়েছে হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা।
গত বুধবার (৯ অক্টোবর) প্রধানমন্ত্রীর এক সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর হলগুলোতে তল্লাশির কথা বলেন। এরই ধারাবাহিকতায় রাবির হলের শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার স্বার্থে প্রত্যেক হলে তল্লাশি অভিযান পরিচালনা, সিসি ক্যামেরা স্থাপনসহ বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন একাধিক হল প্রভোস্ট।
হল প্রাধ্যক্ষ পরিষদের আহ্বায়ক ড. আবু শামস মো. রেজাউল হাসান করিম বকসী জানান, বুয়েটে আবরার হত্যাকাণ্ডের পর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে যেন এমন অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, সেজন্য নিরাপত্তা বিষয়ে বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।’
গত বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের নেতৃত্বে হল প্রাধ্যক্ষরা এক মিটিংয়ে এ বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। হলগুলোতে তল্লাশি অভিযানের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী যে নির্দেশনা দিয়েছেন তা কার্যকর করা হবে। হলগুলোতে সন্দেহজনক কোনো কার্যক্রমের তথ্য পেলে পুলিশ যে কোনো হলে তল্লাশি অভিযান চালাবে। এক্ষেত্রে হল প্রশাসন পুলিশকে সার্বিক সহযোগিতা করবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে যা যা করা দরকার তাই করা হবে।
এ বিষয়ে মতিহার হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক মুসতাক আহমেদ বলেন, ‘নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতে প্রাথমিকভাবে প্রত্যেক হল ফটক, সিঁড়ি ও কমন রুমে সিসি ক্যামেরা লাগানো হবে। পরে অন্যান্য স্থানগুলোও সিসি ক্যামেরার আওতাভুক্ত করা হবে। এছাড়া এখন থেকে হলগুলোতে কোনো বহিরাগত থাকবে না। হলের ছাত্র কিন্তু অনাবাসিক না, এমন কেউও হলে থাকবে না। যে থাকবে তাকে আবাসিকতা নিয়েই থাকতে হবে। কারো অবৈধভাবে থাকার কোনো সুযোগ নেই। এখন থেকে হলের আবাসিকতা দেয়া হবে সিনিয়রিটি ও অ্যাকাডেমিক রেজাল্টের ভিত্তিতে।’
হলগুলোতে অভিযানের বিষয়ে মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান বলেন, ‘রাবির আবাসিক হলগুলোতে অভিযানের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনও কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়নি। অনুমতি পেলে অভিযান শুরু হবে।’
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক লুৎফর রহমান বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন আলোচনায় বসবে। পরে পুলিশ ও হল প্রাধ্যক্ষদের সহায়তায় হলগুলোতে তল্লাশি অভিযান চালানো হবে।’
ওডি/এমএ
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড