‘বাংলা’ কে কেটে মারলে বাংলাদেশ কোথায় দাঁড়াবে?’

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থীদের আয়োজনে ফোকলোর বিভাগের স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থীদের বাংলা বিভাগের স্নাতক ও স্নাতকোত্তর হিসেবে বিবেচনা করতে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার (৭ অক্টোবর) বেলা ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার চত্বরে এই মানববন্ধন আয়োজিত হয়। মানবন্ধন থেকে ইউজিসির সিদ্ধান্তের নিন্দা জানিয়ে তা প্রত্যাহারের দাবি জানায় তারা।

এ সময় শিক্ষার্থীদের হাতে ‘ফোকলোর ও বাংলা বিভাগ এক নয়’, ‘ফোকলোরের সংযুক্তি মানি না, মানব না’, ‘বাংলা’ কে কেটে মারলে বাংলাদেশ কোথায় দাঁড়াবে?’, ‘ইউজিসি তুমি পথ হারাইয়াছো’ শীর্ষক লেখা সহ নানা প্ল্যাকার্ড দেখা যায়।

মানববন্ধনে মাস্টার্সের ছাত্র রবিউল ইসলাম রবি বলেন, ‘আমরা ফোকলোর বিভাগের বিরুদ্ধে নই। ফোকলোর আলাদা একটি বিভাগ। তাদের স্বতন্ত্র মর্যাদা দেওয়া হোক। অনতিবিলম্বে ইউজিসিকে সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করতে হবে।’

তৃতীয় বর্ষের সাদ্দাম হোসেন বলেন, ‘বাংলা বিভাগের পাঠ্যক্রম অনেক বিস্তৃত। ফোকলোরও বাংলা বিভাগে পড়ানো হয়। কিন্তু ফোকলোর তো ছোট একটি বিভাগ। এটাকে বাংলার সঙ্গে জুড়ে দেওয়া আমরা মানি না। ফোকলোরের চাকরির বাজার নিশ্চিত না করেই বিভাগ করেছেন এটার দায়ভার বাংলা বিভাগ কেন নিবে?’

দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র হাসান মেহেদীর সঞ্চালনায় মানববন্ধনে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- বিভাগের মাস্টার্সের ছাত্র আলাউদ্দিন, চতুর্থ বর্ষের শহিদুল ইসলাম সবুজ, তৃতীয় বর্ষের জাকির হোসেন, দ্বিতীয় বর্ষের জাহিদ শিকদার, পপি সিদ্দিকী, মো. মহসিন, প্রথম বর্ষের আশরাফুল ইসলাম, জাহিদ হাসান মিহাদ, আজিমুজ্জামান ও ওয়াছিফুর রহমান শাফিন।

উল্লেখ্য, গত ৫ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন ‘রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফোকলোর বিভাগের চাকুরির ক্ষেত্রে বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশনে অন্তর্ভুক্তিকরণ’ বিষয়টিকে সামনে নিয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ফোকলোর বিভাগের স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থীদের বাংলা বিভাগের স্নাতক ও স্নাতকোত্তর হিসেবে বিবেচনা করে বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশনে অন্তর্ভুক্তিপূর্বক কোড বরাদ্দের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষ্যে বিশেষজ্ঞ মতামত প্রদান করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বরাবর একটি অনুলিপি পাঠায়। এর প্রেক্ষিতে সারাদেশের বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থীরা এ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানায়।

ওডি/এসএসকে