পর্যটন দিবসে ঢাবিতে ৯ দিনের কর্মসূচি

পর্যটন দিবস উপলক্ষে আগামী ২২ সেপ্টেম্বর থেকে নয় দিনব্যাপী কর্মসূচি গ্রহণ করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ট্যুরিজম স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন।

বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতিতে অনুষ্ঠিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানান ট্যুরিজম স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন। এছাড়াও সেখানে উপস্থিত ছিলেন ট্যুরিজম স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশের সভাপতি আব্দুল্লা আল -আমিন।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরেও বাংলাদেশ পর্যটন শিল্পের সঙ্গে সম্পৃক্ত প্রায় সকল সরকারি-বেসরকারি সংস্থা, ব্যবসায় ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং সামাজিক সংগঠন এই বিশেষ দিনটি অত্যন্ত আড়ম্বরপূর্ণভাবে পালন করবে যার নেতৃত্বে থাকেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়। অন্যান্যদের পাশাপাশি ট্যুরিজম স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ এ বছর প্রথমবারের মত বিশ্ব পর্যটন দিবস উদযাপন করতে যাচ্ছে। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে এই সংগঠনটি বাংলাদেশ পর্যটন বিষয়ক মেধাবী শিক্ষার্থীদের দক্ষ এবং অভিজ্ঞতা সম্পন্ন করে তোলার কাজে নিজেকে নিয়োজিত রেখেছে।’

২০১৯ সালে ২৭ সেপ্টেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কতিপয় উদ্যমী মেধাবী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিয়ে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এবং ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের বিভাগীয় প্রধানের অনুমতিক্রমে সংগঠনটি আনুষ্ঠানিকভাবে কাজ শুরু করে।

এ বছর বিশ্ব পর্যটন দিবস এবং সংগঠনের প্রথম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ২২ সেপ্টেম্বর থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নয় দিনব্যাপী কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। আনুষ্ঠানিকভাবে এর নাম দেওয়া হয়েছে টাস সয় টুরিস্টা ফেস্ট (TAS SOY TURISTA FEST)। অনুষ্ঠানের মূল অংশ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে হলেও আপডেট কলেজ, তেজগাঁও কলেজ, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউটসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং নন্দন পার্কে এই কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে।

নয় দিনব্যাপী কর্মসূচির মধ্যে- ২২ সেপ্টেম্বর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান, ২২ সেপ্টেম্বর থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সেলফি কন্টেস্ট, ছয়টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং নন্দন পার্কে এটি চলবে, ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে ২৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বিউটিফুল বাংলাদেশ ফটোগ্রাফি কম্পিটিশন অ্যান্ড এক্সিবিশন, ১৯ সেপ্টেম্বর কালার ফুল ফ্যান্টাসি, ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যটন শিল্পের সম্ভাবনা ও প্রতিবন্ধকতা শীর্ষক সেমিনার এবং সমাপনী অনুষ্ঠান।

পর্যটন বর্তমান বিশ্বের একটি জনপ্রিয় শব্দ। প্রাত্যহিক জীবনের একঘেয়েমি কাটানোর সবচাইতে জনপ্রিয় উপায় এই পর্যটন। প্রাচীনকাল থেকে পর্যটন জ্ঞান বিজ্ঞানের প্রচার থেকে শুরু করে জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন, ব্যবসার বিকাশসহ মানুষের জীবনে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে প্রভাব বিস্তার করে আসছে। বর্তমান বিশ্বের প্রায় প্রতিটি দেশের লাখ লাখ মানুষ এই পর্যটনের সঙ্গে জড়িত।

উল্লেখ্য, পর্যটনের এই বিশাল গুরুত্বের জন্যই ১৯২৫ সালে পর্যটনের আন্তর্জাতিক মহা সমাবেশে যে আন্তর্জাতিক পর্যটন সংস্থার সূচনা হয় তা পরবর্তীতে ১৯৭৫ সালে আজকের ইউএনডব্লিউটিও (UNWTO) রূপ ধারণ করে। ইউএনডব্লিউটিও (UNWTO) এর সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এর সদস্য দেশগুলো ১৯৮০ সাল থেকে প্রতি বছর ২৭ সেপ্টেম্বর বিশ্ব পর্যটন দিবস হিসেবে পালন করেছে। বাংলাদেশ পহেলা জুলাই ১৯৯৫ সালে এর সদস্যপদ লাভ করেন।

ওডি/এমএ