ঢাবির ‘গ’ ইউনিটের লিখিত পরীক্ষার প্রশ্ন যেমন ছিল
ক্যাম্পাস ডেস্ক
প্রথমবারের মতো নৈর্ব্যক্তিকের (এমসিকিউ বা বহুনির্বাচনি) সঙ্গে লিখিত প্রশ্নে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বাণিজ্য অনুষদ ভুক্ত ‘গ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হলো।
শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টা থেকে ১১টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৬টি কেন্দ্রে এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে প্রথম বর্ষ স্নাতক (সম্মান) শ্রেণিতে ভর্তিতে ঢাবিতে নতুন নিয়মে ৭৫ নম্বরের নৈর্ব্যক্তিকের সঙ্গে ৪৫ নম্বরের লিখিত পরীক্ষার প্রশ্ন ছিল। মোট ৯০ মিনিটের পরীক্ষার মধ্যে নৈর্ব্যক্তিক পরীক্ষার জন্য বরাদ্দ ছিল ৫০ মিনিট এবং লিখিত পরীক্ষার জন্য সময় ছিল ৪০ মিনিট। প্রতিটি নৈর্ব্যক্তিকের জন্য এক দশমিক ২৫ নম্বর বরাদ্দ ছিল। এই অংশে প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য কাটা যাবে ০ দশমিক ২৫ নম্বর। লিখিত অংশে ৪৫ নম্বরের প্রশ্ন ছয়টি অংশে বিভক্ত ছিল।
প্রথমে ছিল বাংলা থেকে ইংরেজিতে পাঁচটি অনুবাদ, বরাদ্দ নম্বর ৫। এরপর ইংরেজি থেকে বাংলায় পাঁচটি অনুবাদ, বরাদ্দ নম্বর ৫। এরপর কনসেপ্ট রাইটিংয়ে সাইবার ক্রাইম, সনেট, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস, কর্পোরেট সোশ্যাল রেসপনসিবিলিটি ও অনলাইন শপিং বিষয়ে ৫ নম্বর বরাদ্দ ছিল।
চার নম্বরে ভূমিকম্পের ওপর প্যাসেজের সারসংক্ষেপ লিখন ছিল। সেখানে বরাদ্দ ছিল ৫ নম্বর। পাঁচ নম্বর প্রশ্ন ছিল ‘বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পের সমস্যা ও সম্ভাবনা’ শীর্ষক বাংলায় রচনা, এখানেও বরাদ্দ ছিল ৫ নম্বর।
সর্বশেষ ‘একটি ফার্মের মুনাফা সর্বোচ্চকরণ লক্ষ্যের চেয়ে সম্পদ সর্বোচ্চকরণ লক্ষ্য শ্রেয় কেন’ ব্যাখ্যা চাওয়া হয়। অথবা পাঁচটি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নের উত্তর করতে বলা হয়। যেখানে *‘লালসালুকে কেনো সামাজিক উপন্যাস বলা হয়?, *মায়ের গুণাবলি * সমন্বয় জাবেদা লিখনের উদ্দেশ্য, *বৈজ্ঞানিক ব্যবস্থাপনা কী? এবং *ভোক্তাবাজার বিভক্তিকরণের ভিত্তি সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়। এ অংশে বরাদ্দ ছিল ২০ নম্বর।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, ভর্তি পরীক্ষায় পাশ করতে হলে শিক্ষার্থীকে নৈর্ব্যক্তিক অংশে ৩০ এবং লিখিত অংশে ১২ নম্বরসহ মোট ৪৮ নম্বর পেতে হবে।
ওডি/এমএ
