শেকৃবি প্রতিনিধি
মেয়াদোত্তীর্ণ দেড় বছর পার হলেও হচ্ছে না শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (শেকৃবি) শিক্ষক সমিতি নির্বাচন। এতে শিক্ষক সমিতির কার্যক্রমের গতি ধীর হয়ে পড়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের বিরাজমান বিভিন্ন অনিয়মের বিষয় নিয়ে তারা জোরালো কোনো ভূমিকা রাখতে পারছেন না জানিয়েছেন শিক্ষকদের একটি অংশ।
তাদের দাবি, পুরনো কমিটি ভেঙে দিয়ে নতুন নির্বাচন দেওয়া। তারা আরও জানিয়েছেন, চলতি বছরে ক্যাম্পাসে নিয়মবহিভূর্তভাবে বিজ্ঞপ্তি ছাড়াই ১৯ জন শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়, যেখানে শিক্ষক সমিতি তেমন কোনো ভূমিকা রাখতে পারেনি। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট কমিটিতে কোনো শিক্ষক প্রতিনিধি না থাকায় মিটিংয়ে ক্যাম্পাসের কোনো বিষয়ে তারা জোরালো ভূমিকা রাখতে পারছেন না। নিয়োগ, বাসা বাড়িসংশ্লিষ্ট, প্রমোশন, শিক্ষকদের জাতীয় মর্যাদা সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে কাজ করার দায়িত্বও শিক্ষক সমিতির। শিক্ষকদের বাসা করার জন্য লোন দিচ্ছে না সরকার, এ ব্যাপারে উদ্যোগী হওয়া দরকার শিক্ষক সমিতির। বর্তমান কমিটি সাধারণ সভা করে কমিটির মেয়াদ বাড়িয়ে নিয়েছে, যা সংবিধান পরিপন্থি।
সর্বশেষ ২০১৬ সালে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক সমিতির নির্বাচন হয়েছিল। সে সময় শেকৃবি শিক্ষক সমিতি আওয়ামী লীগ সমর্থিত নীল দল ও বিএনপি সমর্থিত সাদা দল-এ দুই প্যানেলে বিভক্ত ছিল। তখন নীল দল সমর্থিত প্যানেলে অধ্যাপক নজরুল ইসলাম সভাপতি ও মিজানুর রহমান সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব পালন করেন। জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের সংবিধান অনুযায়ী শিক্ষক সমিতির মেয়াদ থাকার কথা এক বছর। সে হিসেবে এ কমিটির মেয়াদোত্তীর্ণ হয়েছে দেড় বছর আগেই।
এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট কমিটিতে সংবিধান অনুসারে চারজন শিক্ষক থাকার কথা, কিন্তু গত তিন বছর ধরে সিন্ডিকেটে কোনো শিক্ষক প্রতিনিধি নেই। এতে বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে শিক্ষকদের কথা বলার জায়গা নেই বলে মনে করছেন শিক্ষকরা।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. নজরুল ইসলাম বলেন, তার কাছে কোনো শিক্ষক নির্বাচনের জন্য লিখিত দাবি করা হয়নি। সাধারণ সভায় আমাদের কমিটিকে পরবর্তী নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত শিক্ষক সমিতি কমিটির মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে, যা সংবিধান পরিপন্থি নয়।
ওডি/আরএআর
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড