পাবিপ্রবি প্রতিনিধি
পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ইটিই (ইলেকট্রনিক অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং) বিভাগ কর্তৃক ইটিই বিভাগকে ইইই (ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং) বিভাগে রূপান্তর করার প্রস্তাবের বিপক্ষে মানববন্ধন অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকালে ইইই বিভাগের শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে মানববন্ধন ও মিছিল করেছে। মানববন্ধনে বক্তব্য প্রদান করেন ইইই শিক্ষার্থীদের পক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও ইইই বিভাগের ৫ম ব্যাচের শিক্ষার্থী ফরিদুল ইসলাম বাবু, ৬ষ্ঠ ব্যাচের শিক্ষার্থী পলাশ ক্রান্তি বর্মণ, ৭ম ব্যাচের শিল্পী শিলা, ৮ম ব্যাচের নাহিদ হাসান সজিব সহ অন্যান্য শিক্ষার্থীবৃন্দ।
এর আগে ইটিই (ইলেকট্রনিক অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং) বিভাগ কর্তৃক ইটিই বিভাগকে ইইই (ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং) বিভাগে রূপান্তর করার প্রস্তাবের বিপক্ষে স্মারকলিপি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়।
পাঠকদের উদ্দেশ্যে তা তুলে ধরা হলো-
ইটিই (ইলেকট্রনিক অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং) বিভাগ কর্তৃক ইটিই বিভাগকে ইইই (ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং) বিভাগে “রূপান্তর” করার প্রস্তাবের বিপক্ষে স্মারকলিপি
অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ইটিই (ইলেকট্রনিক অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং) বিভাগের শিক্ষার্থীবৃন্দ কর্তৃক প্রদত্ত স্মারকলিপির প্রতি ইইই (ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং) বিভাগের শিক্ষার্থীবৃন্দের দৃষ্টি আকর্ষিত হয়েছে এবং স্মারকলিপিটি ইইই বিভাগ সংশ্লিষ্ট হওয়ায় শিক্ষার্থীবৃন্দ উক্ত নির্জলা মিথ্যায় ভরপুর, অনাকাঙ্ক্ষিত, ন্যক্কারজনক স্মারকলিপিটির প্রতিউত্তর দেয়ার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছে।
আমরা সবাই সবিশেষ অবগত যে, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে ইইই বিভাগের সকল শিক্ষক-শিক্ষার্থীবৃন্দ, কর্মকর্তা, কর্মচারীবৃন্দের ঐকান্তিক প্রচেষ্টা, নিরলস পরিশ্রম, সততা, নিষ্ঠা দায়িত্ব পালনের অঙ্গীকার রক্ষণের মাধ্যমে জ্ঞানের চর্চা, জ্ঞানের সৃষ্টি, জ্ঞান বিকাশ এবং জ্ঞান অন্বেষণের সুযোগ সৃষ্টির মাধ্যমে জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইইই (ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং) বিভাগ অত্যন্ত মর্যাদার স্থান লাভ করেছে। সম্প্রতি ইটিই বিভাগ কর্তৃক প্রদত্ত স্মারকলিপিটি ইইই বিভাগের অর্জিত মর্যাদা এবং অ্যাকাডেমিক সুশৃঙ্খল কার্যাবলীর প্রতি নগ্ন-লজ্জাহীন হস্তক্ষেপ এবং ঈর্ষা বোধের পরিচায়ক হিসেবে ইইই বিভাগের শিক্ষার্থীদের কাছে প্রতীয়মান হয়েছে। ইটিই বিভাগের স্মারকলিপিতে উল্লেখ্য দাবিগুলোর প্রেক্ষিতে ইইই বিভাগের শিক্ষার্থীবৃন্দ এই মর্মে জানাচ্ছে যে,
১) জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সোনার বাংলা বিনির্মাণকল্পে যুগের চাহিদায় এই দেশের জন-নন্দিত জন নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন, প্রত্যয় নিয়ে সারা দেশে অনবরত বিশেষায়িত বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছেন এবং করে চলেছেন সেসব বিশেষায়িত বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিশেষায়িত বিভাগগুলোর প্রতি এ স্মারকলিপি এক চ্যালেঞ্জ। সদ্য একনেক জাতীয় সভায় পাশ হওয়া বঙ্গবন্ধু এভিয়েশন বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু মেরি টাইম বিশ্ববিদ্যালয় এবং রুয়েটে সদ্য চালু হওয়া মেকাট্রনিক্স, ইসিই বিভাগ সরকারের দূরদর্শিতার পরিচায়ক। সেক্ষেত্রে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি বিশেষায়িত বিভাগ ইটিই বন্ধ করে দেয়ার হীন ষড়যন্ত্র জন নেত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের প্রচেষ্টায় বাধা দেয়ার শামিল বলে ইইই বিভাগের শিক্ষার্থীদের কাছে প্রতীয়মান হয়েছে।
২) ইইই বিভাগ এবং ইটিই বিভাগের সিলেবাস পর্যালোচনা করে ইইই বিভাগের শিক্ষার্থীবৃন্দ এই ব্যাপারে একমত যে, দুই বিভাগের বিষয়ভিত্তিক মিল শতকরা ২০%-৩০%। অপরপক্ষে ৭/০৯/২০১৯ তারিখে একটি জাতীয় চ্যানেল এ প্রদত্ত সাক্ষাৎকারে ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি অনুষদের ডিন এবং ইটিই বিভাগের সম্মানিত সভাপতি দাবি করেন যে, ইটিই বিভাগের শিক্ষার্থীদের দাবি যৌক্তিক। এ বক্তব্য ইইই বিভাগের শিক্ষার্থীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সঞ্চার করেছে। ইইই বিভাগের শিক্ষার্থীরা ইটিই বিভাগের সম্মানিত সভাপতির এই বক্তব্যের যথার্থতা প্রমাণের জন্য খোলা আহ্বান জানাচ্ছে। এই আহ্বান প্রমাণ করতে না পারলে অসত্য তথ্য দেয়ার জন্য উনার নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনার দাবি জানাচ্ছে, কেননা উনার বক্তব্য প্রমাণ করে উনি ইটিই বিভাগের শিক্ষার্থীদের ক্লাস রুমে ফিরতে অনুৎসাহিত করে পর্দার পেছনে কলকাঠি নাড়ছেন। অন্যথায়, ইইই বিভাগের শিক্ষার্থীবৃন্দ ডিন পদ থেকে উনার পদত্যাগ দাবি করতে বাধ্য হবে।
৩) বিসিএস পরীক্ষায় ইটিই বিভাগের কারিগরি কোটা নেই মর্মে যে দাবি করা হয়েছে তা অত্যন্ত নিন্মস্তরের চিন্তাভাবনা হিসেবে ইইই বিভাগের শিক্ষার্থীবৃন্দের কাছে প্রতীয়মান হয়েছে। উল্লেখ্য যে, অত্যন্ত সম্মানজনক বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রীপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের কেবলমাত্র বিসিএস এর ১০-১৫ টি টেকনিক্যাল ক্যাডারের কোটার জন্য বিভাগ পরিবর্তনের দাবি শিশুসুলভ এবং সারাদেশে মারাত্মক হাস্যরসের সৃষ্টি করেছে। বিশেষায়িত বিভাগের সম্মানিত শিক্ষার্থী হিসেবে তাদের লক্ষ্যমাত্রা এবং কর্মক্ষেত্রে অত্যন্ত উচ্চ স্থান লাভের জন্য নিজ বিষয়ে অধিকতর দক্ষতা অর্জনের জন্য ইইই বিভাগের শিক্ষার্থীবৃন্দ ইটিই বিভাগের শিক্ষার্থীদের আহ্বান জানায়।
৪) বিভিন্ন সরকারি, বেসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান নিজেদের চাহিদা অনুযায়ী ইটিই, সিএসই, আইসিই, ইইই বিভাগের চাকরি-প্রার্থীদের দরখাস্ত আহ্বান করে। সেক্ষেত্রে কোনো একটি বিশেষ বিভাগের চাহিদার সার্কুলার প্রকাশিত হলে ওই বিভাগের নামে নিজেদের নামকরণ করলেই কারিগরি ক্ষেত্রে এবং কর্মদক্ষতায় তাদের সমান হওয়া যাবে এটা ভাবা অত্যন্ত শিশুসুলভ এবং হাস্যকর চিন্তাভাবনা। উল্লেখ্য যে, ইইই বিভাগ কখনোই নামসর্বস্ব বিভাগে বিশ্বাস করেনা, এক্ষেত্রে ইইই বিভাগ ইটিই বিভাগের ভাই-বোনদের কর্মক্ষেত্রে অধিকতর সুযোগ লাভের নিমিত্তে ইটিই বিভাগের সম্মানিত শিক্ষকবৃন্দের তাদের শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার মানোন্নয়ন, কর্মদক্ষতা বৃদ্ধি ও জ্ঞানের সুযোগ সৃষ্টির জন্য অধিকতর দায়বদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানায়।
৫) বাংলাদেশে ইটিই বিভাগ ইইই বিভাগে একত্রীকরণ (Merge) আজ অবধি কোথাও হয় নি কেননা এটি একটি অবাস্তব, অপ্রাসঙ্গিক এবং অসম্ভব রকমের কাল্পনিক শিশুসুলভ দাবি। বরং নতুন নতুন বিভাগ খোলা হচ্ছে যুগের চাহিদা অনুযায়ী।
৬) বাংলাদেশে একই সাথে ৫ টি বিশ্ববিদ্যালয়ে যেমন- RUET, CUET, BSMRSTU, KUET, HSTU তে একই সাথে ইইই এবং ইটিই, ই.সি.ই. বিভাগ চালু রয়েছে এবং কর্মক্ষেত্রে নিজ নিজ ক্ষেত্রে যথেষ্ট সম্মানের সাথে নিজেদের দক্ষতা ও যোগ্যতা প্রমাণ করে চলেছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ থাকে যে, নিজ মাতৃসমা বিভাগকে (ইটিই থেকে ইইই) অন্য বিভাগে একত্রীকরণ (Merge) দাবি বাংলাদেশে নজিরবিহীন এবং এটি প্রকারান্তে উক্ত শিক্ষকদের শিক্ষানীতির দৈন্যদশাকেই ফুটিয়ে তোলে যা একটি মাতৃসমা বিভাগের জন্য চূড়ান্ত অবমাননাকর।
৭) এই শতাব্দীতে সারাবিশ্বে ইইই বিভাগ সর্বোচ্চ মেধাবী শিক্ষার্থীদের পছন্দ ক্রমে শীর্ষে। পর্যালোচনা করে দেখা গেছে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় মেধা তালিকায় গড়ে ১-৬৫ এর মধ্যে অবস্থান করলে সে শিক্ষার্থী ইইই বিভাগে শিক্ষালাভের সুযোগ পায়। অপরদিকে মেধা তালিকায় ৬০০তম স্থান লাভ করে ইটিই বিভাগে সুযোগ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের ইইই বিভাগে শিক্ষালাভের সুযোগ দাবি করা অন্যায়, অনৈতিক এবং অন্য বিভাগের শিক্ষার্থীদের প্রতি ন্যায়বিচারের পরিপন্থী।
৮) ইইই বিভাগের স্বতন্ত্র কোর্স যা অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ে অন্য কোনো বিভাগে পঠিত হয় না যেমন-
Electrical Power Transmission and Distribution Electrical Circuit-4 Sessional on Electrical Machines-3 Power System Engineering Measurement and Instrumentation Mechanical Engineering Sessional on Power System Engineering Sessional on Measurement and Instrumentation Electronics-1 Power Plant Engineering Electrical Project
Electronics-2 High Voltage Engineering Practical Design Techniques of Electrical Machines Electronics-3 Sessional on Switchgear and Protection Electrical Machines-1 Artificial Intelligence Switchgear and Protection Sessional on Electrical Machines-1 Biomedical Engineering Electrical Circuit-1 Electrical Machines-2 Advanced Control System Electrical Circuit-2 Sessional on Electrical Machines-2 Reliability Analysis and Prediction Electrical Circuit-3 Electrical Machines-3 Optoelectronics and Lightwave Technology
কোর্সগুলোতে কৃতবিদ্য না হয়ে B.Sc. In EEE দাবি করা অনৈতিক, অগ্রহণযোগ্য, অবাস্তব ও কল্পনাপ্রসূত হিসেবে ইইই শিক্ষার্থীদের কাছে স্পষ্টরুপে প্রতীয়মান।
৯) IEB কর্তৃক স্বীকৃতি লাভের পূর্বশর্ত হচ্ছে উক্ত বিভাগের সকল শিক্ষকবৃন্দের অবশ্যই IEB কর্তৃক সার্টিফাইড বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হতে হবে যে যোগ্যতা ইইই বিভাগের সকল শিক্ষক পূরণ করেন। ইইই বিভাগের শিক্ষার্থীবৃন্দ অতিশীঘ্রই IEB কর্তৃক সার্টিফাইড হবার জন্য প্রক্রিয়াধীন। অপরপক্ষে ইটিই বিভাগের মাত্র একজন শিক্ষক উক্ত যোগ্যতা ধারণ করেন। সুতরাং ইটিই বিভাগের স্নাতক কোর্স করা সম্মানিত শিক্ষকবৃন্দ কিভাবে ইইই বিভাগের ইঞ্জিনিয়ার তৈরি করবেন তা ইইই বিভাগের শিক্ষার্থীদের বোধগম্য নয়।
১০) ইটিই বিভাগের শিক্ষার্থী ভাই-বোনদের আমরা বলতে চাই, ইটিই বিভাগ অত্যন্ত মান সম্পন্ন বিভাগ। যার ফলে আজ অবধি অতীতে একই বিশ্ববিদ্যালয়ে ইইই বিভাগ বিদ্যমান আছে এমন কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে ইটিই বিভাগ ইইই তে একত্রিত (Merge) হয় নি। সকল বিশ্ববিদ্যালয়েই ইটিই বিভাগ এবং ইইই বিভাগ সমান্তরালে নিজেদের শিক্ষা-কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।
১১) উল্লেখ থাকে যে, ২০১৩ সালে তথাকথিত ছাত্র আন্দোলনের নামে APECE বিভাগ নিজেদের বিলুপ্ত ঘোষণা করে ETE বিভাগ চালু করে। সেই ETE বিভাগ এখন নিজেদের EEE বিভাগ ঘোষণার দাবি জানাচ্ছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, অযৌক্তিক আন্দোলনের মাধ্যমে একটি বিভাগের বিষয়বস্তু অধ্যয়ন না করে ঐ বিভাগের ডিগ্রি অর্জন করার স্বপ্ন বাস্তবসম্মত নয়।
১২) এছাড়াও উল্লেখ্য যে অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগগুলোর মধ্যে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এবং আর্কিটেকচার ডিপার্টমেন্ট কারিকুলাম এর ৫০-৬০ ভাগ এবং সি.এস.ই এবং আই.সি.ই. র ডিপার্টমেন্ট কারিকুলাম এর ৭০-৮০ ভাগ সাদৃশ্য থাকা স্বত্বেও তারা নিজ নিজ বিভাগের স্বাতন্ত্র্য বৈশিষ্ট্য বজায় রেখে দীর্ঘদিন ধরে সগৌরবে কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
উপরোক্ত আলোচনার প্রেক্ষিতে ই.ই.ই বিভাগের শিক্ষার্থীবৃন্দ ইটিই বিভাগের শিক্ষার্থী ভাইবোনদের অনুরোধ করেছে অনৈতিক আন্দোলনের নামে নৈরাজ্য সৃষ্টি না করে ইটিই বিভাগের মান্নোয়নকালে, ইটিই বিভাগের ভাইবোনদের কর্মক্ষেত্রে অধিক সুযোগ সৃষ্টি, নিজেদের কর্মদক্ষতা বৃদ্ধির নিমিত্তে ইটিই বিভাগের যোগ্য শিক্ষক পদায়ন ইত্যাদি উদ্বেগে ইইই বিভাগের শিক্ষার্থীবৃন্দ সবসময় ইটিই বিভাগের শিক্ষার্থী ভাইবোনদের পাশে থাকবে।প্রয়োজনবোধে ইটিই বিভাগের শিক্ষার নিম্নমুখী মান ঊর্ধ্বমুখী করার জন্য ইটিই বিভাগের শিক্ষার্থী ভাইবোনদের যেকোনো গঠনমূলক উদ্যোগের পাশে থাকবে।
এদিকে ক্লাস পরীক্ষা বন্ধ রেখে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে ইটিই (ইলেকট্রনিক অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং) বিভাগের শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীরা বলছে তাঁদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা তাঁদের এই আন্দোলন চালিয়ে যাবে। এই বিষয়ে কোনো বিভাগের পক্ষ থেকেই আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য প্রদান করা হয় নি।
ওডি/এমএ
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড