জাবি প্রতিনিধি
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে দুর্বৃত্তদের গুলিতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ৩৮তম আবর্তনের শিক্ষার্থী মো. ফিরোজ-উল-আমিনের (২৯) নিহতের ঘটনায় ক্যাম্পাসে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
তার এই মর্মান্তিক মৃত্যু মেনে নিতে পারছেন না জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা।
জানা যায়, স্থানীয় সময় শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) সকালে যুক্তরাষ্ট্রের লুইজিয়ানার ব্যাটন রাউজ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ফিরোজ লুইজিয়ানা স্টেস্ট ইউনিভার্সিটিতে কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে পিএইচডি করছিলেন। তার বিশেষায়িত বিষয় ছিল সাইবার সিকিউরিটি। খ্যাতনামা বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক তৃতীয় গোল্ডেন জি রিচার্ডের অধীনে পিএইচডি করছিলেন তিনি। জাবিতে পড়াকালীন তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের আবাসিক শিক্ষার্থী ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি ঢাকার গাজীপুরে।
পুলিশ জানায়, স্থানীয় একটি গ্যাস স্টেশনে ক্লার্ক হিসেবে কাজ করতেন ফিরোজ। শনিবার সকালে ডাকাতির উদ্দেশ্যে এক ব্যক্তি যখন গ্যাস স্টেশনটিতে প্রবেশ করে তখন সেখানে একমাত্র কর্মরত ব্যক্তি ছিলেন ফিরোজ-উল-আমিন। ডাকাতির আগে সে ফিরোজকে গুলি করে হত্যা করে।
ফিরোজের পিএইচডি অধ্যাপক তৃতীয় গোল্ডেন জি রিচার্ড বলেন, সে খুবই ভালো ছাত্র ছিল। খুব বন্ধুত্বপূর্ণ এবং দুর্দান্ত মানুষ ছিল। এটি খুবই বিপজ্জনক ঘটনা। সে এখানে কাজ করত এটি আমার জানা ছিল না।
তিনি আরও জানান, বিয়ের জন্য আসন্ন শীতে বাংলাদেশে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল ফিরোজের। বিয়ের পর স্ত্রীকে যুক্তরাষ্ট্রে নিয়ে যাওয়ারও পরিকল্পনা ছিল তার।
আরও পড়ুন :- যুক্তরাষ্ট্রে ডাকাতের গুলিতে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীর মৃত্যু
ফিরোজের মর্মান্তিক মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন লুইজিয়ানা স্টেস্ট ইউনিভার্সিটির প্রেসিডেন্ট এফ. কিং আলেক্সান্ডার। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, পিএইচডি শিক্ষার্থী মো. ফিরোজ-উল-আমিনের মর্মান্তিক মৃত্যুতে পুরো লুইজিয়ানা স্টেস্ট ইউনিভার্সিটি শোকাহত। সে ছিল অবিশ্বাস্য রকমের একজন মেধাবী ছাত্র ও গবেষক; যার একটি সম্ভাবনাময় ভবিষ্যৎ ছিল।
ওডি/আরএআর
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড