• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১  |   ২৭ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

বর্ণাঢ্য আয়োজনে চুয়েটে ‘বিশ্ববিদ্যালয় দিবস’ উদযাপিত

  চুয়েট প্রতিনিধি

০২ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০৮:৫৩
চুয়েট
আনন্দ র‌্যালি (ছবি : দৈনিক অধিকার)

বর্ণিল আয়োজনে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (চুয়েট) ১৭তম বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপন করা হয়েছে। রবিবার (১ সেপ্টেম্বর) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে বর্ণাঢ্য আনন্দ র‌্যালি বের করা হয়।

জাতীয় পতাকা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা উত্তোলন এবং শান্তির প্রতীক পায়রা অবমুক্ত করার মাধ্যমে দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, এম.পি.। চুয়েট মেডিকেল সেন্টারে রক্তদান কর্মসূচি, বৃক্ষরোপণ, আলোচনা সভা, ছাত্র-শিক্ষক এবং কর্মকর্তা-কর্মচারী ফুটবল ম্যাচ ও পুরস্কার বিতরণের মাধ্যমে সারাদিনের কর্মসূচির সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।

দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, এম.পি.। এছাড়া বিশেষ অতিথি ছিলেন- বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন এবং চুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম। বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপন কমিটির সভাপতি ও স্থাপত্য ও পরিকল্পনা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও বক্তব্য রাখেন- প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. রনজিৎ কুমার সূত্রধর, পুরকৌশল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো রবিউল আলম, তড়িৎ ও কম্পিউটার কৌশল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ কামরুজ্জামান, বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. ফারুক-উজ-জামান চৌধুরী এবং ছাত্রকল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মশিউল হক।

অনুষ্ঠানের শুরুতে চুয়েটের শিক্ষা-গবেষণার বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ড তুলে ধরে একটি প্রামাণ্যচিত্র উপস্থাপন করেন সহকারী রেজিস্ট্রার (সমন্বয়) মোহাম্মদ ফজলুর রহমান।

ছবি

দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন (ছবি : দৈনিক অধিকার)

প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, এম.পি. বলেন, টেকসই উন্নয়নের ক্ষেত্রে প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরিসীম অবদান রয়েছে। আমাদের দেশ এখন কৃষিভিত্তিক অর্থনীতি থেকে বেরিয়ে উৎপাদনশীল অর্থনীতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয় শুধু পুঁথিগত শিক্ষাদানের মাধ্যম নয়। তাত্ত্বিক জ্ঞানের পাশাপাশি গবেষণা ও ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে সম্পর্ক বাড়াতে হবে। অবস্থানগত কারণে বাণিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রামে চুয়েটের কাজ করার দারুণ সুযোগ রয়েছে। এখানকার শিল্পকারখানা ও উপকূলীয় অঞ্চলের সুবিধা কাজে লাগাতে হবে। সারাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে অঞ্চলভিত্তিক অবদান রাখতে হবে। শিল্পবিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অবদান সবচেয়ে বেশি। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সেসব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় কাজ করে যেতে হবে।

তিনি আরও বলেন, চুয়েটের শিক্ষার্থীরা দেশে-বিদেশে অবদান রাখছে। চুয়েটকে এগিয়ে নিতে সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। তবে কিছুতেই বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট হতে দেওয়া যাবে না। কারণ এতে শিক্ষার্থীরাই সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ হবে। বিশ্ববিদ্যালয় দিবসে চুয়েটের সফলতা কামনা করছি।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ইউজিসির সদস্য অধ্যাপক ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন বলেন, আমাদের প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে বর্তমানে ৪র্থ শিল্প বিপ্লবের নেতৃত্ব দিতে হবে। শিক্ষার্থীদেরকে গবেষণা ও নিত্যনতুন আবিষ্কার নিয়ে কাজ করতে হবে। বর্তমানে সরকার গবেষণায় অর্থায়ন বরাদ্দ বাড়িয়েছে। তাই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে আন্তরিকতা বাড়াতে হবে। দেশে-বিদেশের বিশ্ববিদ্যালয়-ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে সংযোগ বাড়াতে হবে। চুয়েটের গ্র্যাজুয়েটদের ব্লু-ইকোনমি, জলাবদ্ধতা, যানজট বিষয়ে কাজ করার দারুণ সুযোগ রয়েছে। সেজন্য অ্যাকাডেমিক পড়াশোনার পাশাপাশি প্রায়োগিক শিক্ষার প্রতি জোর দিতে হবে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম ১৭তম বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উপলক্ষে চুয়েট পরিবারের সবাইকে শুভেচ্ছা ও ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ১৯৬৮ সাল থেকে চুয়েট দীর্ঘ পরিক্রমায় প্রকৌশল ও প্রযুক্তি শিক্ষা-গবেষণায় দেশে একটা অবস্থান করে নিয়েছে। পাশাপাশি গবেষণা ও নতুন জ্ঞান সৃষ্টির মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। যেহেতু চুয়েট একটি প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়। তাই দেশের বর্তমান অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও পরিকল্পনায় চুয়েটের গ্র্যাজুয়েটরা অবদান রেখে আসছে।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন- চুয়েট শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সামসুল আরেফিন, কর্মকর্তা সমিতির সভাপতি প্রকৌশলী সৈয়দ মোহাম্মদ ইকরাম, কর্মচারী সমিতির সভাপতি মো. জামাল উদ্দীন, শিক্ষার্থীদের পক্ষে মেকাট্রনিক্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের হুমায়রা জান্নাত মীম এবং পুরকৌশল বিভাগের একেএম সাজিদ উদ্দিন আহমেদ জয়। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন- পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. আয়শা আক্তার, ইটিই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. আজাদ হোসাইন, মানবিক বিভাগের শিক্ষক নাহিদা সুলতানা।

প্রসঙ্গত, ২০০৩ সালের ১ সেপ্টেম্বর বিআইটি, চট্টগ্রাম সায়ত্ত্বশাসিত একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট) নামে যাত্রা শুরু করে।

ওডি/আরএআর

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড