পাবনা প্রতিনিধি
পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পাবিপ্রবি) খাস কামরার ঘটনায় যৌন হয়রানির অভিযোগে অভিযুক্ত শিক্ষকের পক্ষে বিপক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও শিক্ষার্থীরা দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়েছে। একে অন্যের বিপক্ষে ক্যাম্পাসে পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি পালন করছে।
রবিবার (১ সেপ্টেম্বর) বেলা ১২টার দিকে ক্যাম্পাসে তারা এই কর্মসূচি পালন করে। বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা প্রধান ফটক বন্ধ করে দেয়। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল পরিবহন বন্ধ থাকে। কার্যত অচল হয়ে পরে শিক্ষা কার্যক্রম।
অন্যদিকে যৌন হয়রানির অভিযোগে অভিযুক্ত শিক্ষকের পক্ষে কিছু শিক্ষক কর্মকর্তারা বেলা ১২ টার দিকে ক্যাম্পাসে খাস কামরার ঘটনা নিয়ে সংবাদ পরিবেশনের প্রতিবাদে মানববন্ধন শুরু করে। এর আগেই শিক্ষার্থীরা ওই দুই শিক্ষকের বিচার দাবিতে তদন্ত কমিটি গঠন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল প্রশাসনিক দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি চেয়ে ছাত্র ধর্মঘট শুরু করে।
বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, খাস কামরার হোতা ও যৌন নিপীড়কের পক্ষে নেওয়ার বিষয়টি মূল ঘটনাকে আড়াল করার জন্যে ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান ড. কামরুজ্জামানের বিরুদ্ধে তারা নানা অভিযোগ তোলেন।
শিক্ষার্থীদের দাবি অভিযুক্ত ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ ও সকল প্রশাসনিক কর্মকাণ্ড থেকে দ্রুত অব্যাহতি প্রদান করতে হবে।
কয়েকজন শিক্ষক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘বিষয়টি লজ্জাজনক। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নিকট আমরা আশা করি এই বিষয়টির যেন দ্রুত সুরাহা করা হয়। বিষয়টি নিয়ে ক্যম্পাসে ও বাইরে আমরা চরম বিব্রতকর পরিস্থিতি মধ্যে অবস্থান করছি।’
এ ব্যাপারে পাবিপ্রবি ছাত্রলীগ সভাপতি মাহমুদ চৌধূরী আসিফ বলেন, ‘আমরা সব সময় সাধারণ শিক্ষার্থীদের ন্যায্য দাবির সঙ্গে একমত। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক যদি ভালো ফলের নিশ্চয়তা দিয়ে যৌন হয়রানির চেষ্টা করেন তবে তা মোটেও সমর্থন যোগ্য নয়। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যদি ওই শিক্ষকের পক্ষে অবস্থান নেয় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগও সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষে সরাসরি অবস্থান নেবে।’
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য ড. আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘যৌন হয়রানির অভিযোগে অভিযুক্ত ওই শিক্ষকের পক্ষে বিপক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক কর্মকর্তা-কর্মচারিরা বিভক্ত হয়ে পড়েছে, বিষয়টি সত্যিই কষ্টের। আমি ভিসি স্যারের সঙ্গে বসে বিষয়টি সমাধানের কথা বলবো। আমি নিজেও খাস কামরার বিষয়টি নিয়ে বিব্রত। কেউ যদি অভিযুক্ত শিক্ষকের পক্ষে অবস্থান নেয়, সেটি তাদের ব্যক্তিগত বিষয়। তবে আমি সকল ধরনের যৌন হয়রানির প্রতিবাদ করি।’
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের চেয়ারম্যানের কক্ষে গোপন খাস কামরার সন্ধান পেয়ে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করে। পরে তাদের বিক্ষোভের মুখে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ওই কামরা থেকে খাটসহ আসবাবপত্র বের করে দেয়।
ওডি/এমএ
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড