ইবি প্রতিনিধি
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) শোকের মাসে ক্যাম্পাসে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টিকারী বহিরাগত ও সন্ত্রাসীমুক্ত ক্যাম্পাসের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ইবি শাখা নেতাকর্মীরা। এ সময় গত রাতের ঘটনায় ছাত্রলীগ নামধারী অস্ত্রধারীদের শাস্তির দাবি জানিয়ে বিচার চেয়েছেন ইবি ছাত্রলীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক।
সোমবার (২৬ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১০টায় উপাচার্য অফিসে উপাচার্যের কাছে এ দাবি জানায় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি এস এম রবিউল ইসলাম পলাশ ও সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম রাকিব।
এ ঘটনায় ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক ড. আনিছুর রহমান নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হওয়ায় ভারপ্রাপ্ত প্রক্টরকে অপসারণের দাবি জানিয়েছন তারা। ছাত্রলীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বলেন, প্রক্টরকে একাধিকবার কল দিয়েও আমরা তাকে পাইনি ও কোনো ব্যবস্থা নেননি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হারুন-উর-রশিদ আসকারী, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শাহিনুর রহমান, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. সেলিম তোহা, প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) আনিছুর রহমান ও ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের শতাধিক নেতাকর্মীরা।
এ ঘটনায় সকাল থেকে দলীয় টেন্ডে ছাত্রলীগের এক গ্রুপ ও ঝাল চত্বরে বিদ্রোহী গ্রুপের ছাত্রলীগের কর্মীরা অবস্থান করছে। এতে ক্যাম্পাসে আতঙ্ক বিরাজ করছে। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কর্তৃক বহিরাগত প্রবেশ নিষিদ্ধ বলে ক্যাম্পাসে মাইকিং করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে শাখা ছাত্রলীগ সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম বলেন, বহিরাগত সন্ত্রাসীরা দেশি-বিদেশি অস্ত্র নিয়ে যে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করেছে আমি তার সুষ্ঠু বিচার চাই। এছাড়া যারা বহিরাগত তারা হলে থাকে কী করে? ক্যাম্পাসে শিবিরের রাজনীতি নেই, এ ক্যাম্পাসে তাহলে তারা কেন হলে অস্ত্র রাখবে? আমরা এ ব্যাপারে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করলেও তেমন কোনো সাড়া পায়নি। আমরা দাবি জানাচ্ছি এই বহিরাগত ছাত্র ও হল থেকে যত দেশি-বিদেশি অস্ত্র আছে সেগুলো আজকের মধ্য বের করে দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।
শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি রবিউল ইসলাম পলাশ বলেন, শোকের মাসে তারা যে এইভাবে হামলা চালিয়েছে সেটা খুবই দুঃখজনক। তারা ছাত্রলীগ দাবি করছে তাদের মধ্য অনেকে বহিরাগত, মাদকাসক্ত রয়েছে। আমরা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে উপাচার্য বলেন, ক্যাম্পাসে যারা বিশেষ করে এই শোকের মাসে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চায় তারা আর যাই হোক ছাত্রলীগ দাবি করতে পারে না। জননেত্রী শেখ হাসিনার স্ট্যান্ডিং নির্দেশে বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে কোনো ক্যাম্পাসে বিশৃঙ্খলা করা যাবে না। সুতরাং যারা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে তারা ছাত্রলীগ দাবি করার কোনো অধিকার রাখে না।
তিনি বলেন, অভ্যন্তরীণ কিছু ব্যাপার থাকতেই পারে কথাকাটাকাটি, ভুল বোঝাবুঝি এইটা কিন্তু উভয়ই বৈধ ছাত্রের মধ্য করতে পারে। একজন অবৈধ ছাত্র কোনো অবস্থাতেই ক্যাম্পাসে ঢুকতে পারবে না এবং ক্যাম্পাসকে অস্থিতিশীল করতে পারবে না। এই মুহূর্তে থেকে যদি কেউ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চাই তাহলে সে দায়-দায়িত্ব আমরা প্রশাসন নিলাম। ছাত্রলীগ কোনো সন্ত্রাসী সংগঠন নয় যে, কেউ যদি ছাত্রলীগের নাম ভাঙিয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চাই তাদের ওপর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উপাচার্য আরও বলেন, এই ঘটনার সূত্রপাত কীভাবে হলো তার জন্য খুব শক্তিশালী কমিটির মাধ্যমে কেন এই গুলাগুলি হলো, বোমাবাজি হলো, ককটেল বিস্ফোরণ হলো এটা আমরা কমিটির মাধ্যমে শনাক্ত করব। ক্যাম্পাস থেকে সম্পূর্ণ বহিরাগত মুক্ত করার উদ্যোগ নেওয়া হবে। আর যারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে আমরা তদন্তের মাধ্যমে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
ওডি/আরএআর
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড