যবিপ্রবি প্রতিনিধি
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) উপাচার্য ফারজানা ইসলাম কর্তৃক বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত দুই সাংবাদিক লাঞ্ছনার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি (যবিপ্রবিসাস)।
শনিবার (২৪ আগস্ট) যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির দপ্তর সম্পাদক মনিরুল ইসলাম আকাশ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে যবিপ্রবিসাস সভাপতি রাসেল আজাদ ও সাধারণ সম্পাদক মোসাব্বির হোসাইনের পক্ষ থেকে এই নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, ‘একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ প্রশাসনিক পদে থেকে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে এহেন অপেশাদার ও অশোভনমূলক আচরণ কোনোভাবেই কাম্য নয়। বিভাগীয় সভাপতিকে ডেকে আনা ও সাংবাদিকদ্বয়ের ছবি তুলে রাখা চরম অশোভন ও তাদের শিক্ষাজীবনের জন্য হুমকি স্বরূপ।’ এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ফারজানা ইসলাম খুব দ্রুত সাংবাদিক নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বসে এই ন্যাক্কারজনক ঘটনার যথাযথ ব্যাখ্যা দিয়ে ক্যাম্পাসে সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে অচিরেই প্রশাসনকে এ ধরনের আচরণ থেকে বেরিয়ে আসবেন বলে আহবান জানান তারা।
জানা যায়, গত ২২ আগস্ট জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম আলো প্রতিনিধি মাইদুল ইসলাম এবং বাংলাদেশ প্রতিদিনের প্রতিনিধি শরীফুল ইসলাম সীমান্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান বিভিন্ন বিষয়ে সংবাদ সংগ্রহ করতে উপাচার্যের কার্যালয়ে গেলে এক পর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন প্রকল্পের দুই কোটি টাকা ছাত্রলীগের মধ্যে বন্টনের অভিযোগ সম্পর্কে উপাচার্যের বক্তব্য জানতে চাইলে উপাচার্য সাংবাদিকদ্বয়ের ওপর প্রচণ্ড ক্ষেপে যান। এমন প্রশ্ন করার সাহস কোথায় পেল বলে সাংবাদিকদ্বয়কে ধমকাতে থাকেন। এ সময় উপাচার্য প্রক্টরকে সাংবাদিকদ্বয়ের বিরুদ্ধে ছাত্র-শৃঙ্খলা বিধিতে ব্যবস্থা নিতে বলেন এবং সাংবাদিকদ্বয়ের বিভাগীয় সভাপতিকে ডেকে পাঠান। এক পর্যায়ে উপাচার্য সাংবাদিকদ্বয়ের ছবি তুলে রাখার নির্দেশ দিলে পরিসংখ্যান বিভাগে সহযোগী অধ্যাপক মো. আশরাফুল আলম তাদের ছবি তুলে রাখেন। দীর্ঘ দুই ঘণ্টা ধরে বকাঝকা করেন এবং নানা হুমকি প্রদান করেন।
ওডি/এসএসকে
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড