• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩৬ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

বাকৃবিতে মাছ ছেড়ে জৈবিক পদ্ধতিতে মশা নিধন কর্মসূচি

  বাকৃবি প্রতিনিধি

০৬ আগস্ট ২০১৯, ১১:৫৮
বাকৃবি
মশাভূক মাছ ছেড়ে জৈবিক পদ্ধতিতে মশা নিধন কর্মসূচি (ছবি : দৈনিক অধিকার)

দেশের বর্তমান ডেঙ্গু পরিস্থিতি মোকাবেলায় এডিস মশার লার্ভা ধ্বংস করতে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের আয়োজনে অনুষদের পাশের ড্রেনে (প্রায় ৭-৮ হাজার) মসকিউটো ফিশ (মশাভূক মাছ) অবমুক্ত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. লুৎফুল হাসান।

মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) দুপুরে ওই কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়। পুরো ক্যাম্পাসের ড্রেনেই ওই মাছ অবমুক্ত করা হবে। এছাড়া আগামী বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) ময়মসনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ইকরামুল হক টিটুর নেতৃত্বে শহরের ড্রেনে ওই মাছ ছাড়া হবে।

মশাভুক মাছ ছাড়ার মাধ্যমে মশার ডিম নিধন সম্ভব বলে জানিয়েছে বাকৃবির একদল গবেষক। গবেষক দলের প্রধান ফিশারিজ ম্যানেজমেন্ট বিভাগের অধ্যাপক ড. হারুনুর রশীদ জানান, মসকিউটো ফিশ প্রায় ১০ বছর আগে আমেরিকা থেকে দেশে অ্যাকুরিয়াম ফিশ হিসেবে আসে। পরে এটি দেশের মুক্ত জলাশয় এবং ড্রেনে ছড়িয়ে পড়ে। কয়েক বছর পূর্বে ঢাকা ও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন ড্রেনে মশা দমনে মসকিউটো ফিশ ও গাপ্পি মাছ ছাড়া হয়। গবেষণার এক পর্যায়ে চট্টগ্রামের বিভিন্ন ড্রেনের ও নর্দমার প্রচণ্ড নোংরা পানিতে আমরা ‘মশাভূক মাছ’ মাছের সন্ধান পেয়েছি যারা মশার ডিম প্রচুর পরিমাণে খাবার হিসেবে গ্রহণ করে। এ মাছ ড্রেনের ও নর্দমার প্রচণ্ড নোংরা পানিতে স্বাভাবিকভাবেই বেঁচে থাকতে পারে। গবেষণায় দেখা গেছে, মশার লার্ভা ভক্ষণে দেশীয় খলিশা, দারকিনা, জেব্রা ফিশ মসকিউটো ফিশের চেয়ে বেশি উপযোগী হলেও এরা নর্দমার নোংরা পানিতে বেশিদিন বাঁচতে পারে না। তাই নর্দমার পানিতে মশার লার্ভা নিধনে মসকিউটো ফিশ সবচেয়ে বেশি উপযোগী।

ছবি

মসকিউটো ফিশ (ছবি : দৈনিক অধিকার)

মশা নিধন কর্মসূচিতে মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. গিয়াসউদ্দিন আহম্মেদের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মে. জসিমউদ্দিন খান, প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আজহারুল হকসহ বিশ্বদ্যিালয়ের বিভিন্ন অনুষদের শিক্ষক শিক্ষার্থীরা।

এ সময় উপাচার্য অধ্যাপক ড. লুৎফুল হাসান বলেন, দেশের ডেঙ্গুর এই মারাত্মক পরিস্থিতিতে এডিস মশার বংশবিস্তার রোধে মশা নিধনের নতুন নতুন প্রযুক্তিকে ব্যবহার করা শিখতে হবে। তেমনি একটি হলো মশা নিধনের বায়োলজিক্যাল পদ্ধতি অর্থাৎ মাছ দিয়ে মশার লার্ভাকে ভক্ষণ করানো। এক্ষেত্রে দেশীয় প্রজাতির খলিশা মাছ বেশি উপযোগী। ঝোপ-ঝাড় পরিষ্কার রাখা, টবে পানি জমতে না দেওয়া, ধূমায়িত করা এবং জৈবিক পদ্ধতি সব কিছুর সমন্বিত পদ্ধতির মাধ্যমে এই দুর্যোগ মোকাবিলা সম্ভব।

ওডি/আরএআর

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড