খুবি প্রতিনিধি
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকাংশ শিক্ষার্থীই মধ্যবিত্ত পরিবারের, আর তাদের ভরণপোষণ মেটাতে হয় নিজেদেরকেই। ঈদ কিংবা বড় কোনো ছুটিতেও তাই বাড়িতে বেশিদিন থাকা হয় না। ফিরে আসতে হয় ক্যাম্পাসে। এক্ষেত্রে ভোগান্তি পোহাতে হয় আবাসিক শিক্ষার্থীদের। কারণ ঈদের তিন দিন পরও হলগুলো বন্ধ থাকে, খোলে ১০ দিন পর। গেল ঈদুল ফিতর শেষে ক্যাম্পাসে ফিরে এসব ভোগান্তির কথা জানাচ্ছিলেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) ব্যবসায় প্রশাসন ডিসিপ্লিনের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী সুজন।
গেল বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) খুবির ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার খান গোলাম কুদ্দুস স্বাক্ষরিত পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে আবাসিক হল বন্ধের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হলে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের মধ্যে।
বিজ্ঞপ্তিতে আবাসিক শিক্ষার্থীদের আগামী ৯ আগস্ট সকাল ৯টার মধ্যে হল ত্যাগ এবং ১৮ আগস্ট সকাল ৯টায় হলে প্রবেশের জন্য বলা হয়। অথচ শিক্ষার্থীদের বড় একটি অংশকে পড়াশোনা, টিউশনি, খণ্ডকালীন চাকরি কিংবা ব্যক্তিগত প্রয়োজনে ঈদের আগেরদিন পর্যন্ত থাকতে হয় খুলনায় এবং ফিরতে হয় দুই দিন পরেই।
এ প্রসঙ্গে খুবি সমাজবিজ্ঞান ডিসিপ্লিনের শিক্ষক শাহরিয়ার রহমান রাজু এই নিয়ম পুনর্বিবেচনার জোর দাবি জানিয়ে বলেন, বাংলাদেশের বহু বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলসমূহ ঈদে খোলা থাকে। শিক্ষার্থীদের সুবিধার্থে আমাদেরও তেমন নিয়ম চালু করা উচিত।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে খুবির ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার খান গোলাম কুদ্দুস বলেন, শিক্ষার্থীরা সম্মিলিতভাবে চাইলে আমরা তাদের দাবি বিবেচনা করে দেখব। শিক্ষার্থীদের সুযোগ সুবিধার ব্যাপারে খুবি প্রশাসন আন্তরিক বলেও জানান তিনি।
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের আগ পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলো ঈদের সময়ও খোলা থাকত। শিক্ষার্থীদের জন্য ব্যবস্থা করা হতো ভালো সব খাবারের। তবে হল থেকে বেশ কয়েকজনের মালামাল চুরি যাওয়ায় পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ঈদে আবাসিক হল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়।
ওডি/আরএআর
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড