• মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩২ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

বন্যাদুর্গতদের পাশে পাবিপ্রবির ‘জোনাকি’

  পাবিপ্রবি প্রতিনিধি

০৩ আগস্ট ২০১৯, ১৫:২১
পাবিপ্রবি
বন্যাদুর্গতদের পাশে পাবিপ্রবির স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘জোনাকি’ (ছবি : সংগৃহীত)

পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পাবিপ্রবি) সর্ববৃহৎ স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘জোনাকি’র উদ্যোগে উত্তরবঙ্গের বন্যার্তদের কাছে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) গাইবান্ধা জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল ফুলছড়ি উপজেলায় সাহায্য পৌঁছে দিতে পাবিপ্রবি থেকে ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে রওনা হয় জোনাকির সদস্যরা।

দেশের উত্তরাঞ্চলে বন্যার প্রকোপ দেখা দিলে মানবিকতার সংগঠন ‘জোনাকি’ থেকে উদ্যোগ নেওয়া হয় অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর। সে লক্ষ্যে গত ১০-১২ দিন ধরে পাবিপ্রবিসহ পাবনা জেলার বিভিন্ন জায়গা থেকে বন্যার্তদের জন্য ফান্ড কালেকশন করা হয়। পাবনা শহরের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ও সাধারণ জনগণের কাছ থেকে ফান্ড বক্সের মাধ্যমে টাকা উত্তোলন করা হয়। শেষ পর্যন্ত ৩০ জুলাই বন্যার্তদের জন্য ফান্ড কালেকশন শেষে চাউল, ডাউল, চিড়ি, চিনি কিনে প্যাকেট করা হয়। এসব খাদ্য সামগ্রী গাইবান্ধা জেলার ফুলছড়ি উপজেলার ২৭০-২৮০ পরিবারের মধ্যে বিতরণ করা হয়।

এছাড়া এ অঞ্চলে অসহায় হতদরিদ্র ১০ পরিবারকে নগদ টাকা করে দিয়ে সাহায্য করা হয় এবং কুড়িগ্রাম জেলায় বন্যার্তদের জন্য ১০ হাজার টাকা প্রেরণ করা হয়।

জোনাকির এই মহতী উদ্যোগের সঙ্গে ছিল পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের গাইবান্ধা জেলা ছাত্রকল্যাণ সমিতি ও কুড়িগ্রাম জেলা ছাত্রকল্যাণ সমিতি। গাইবান্ধা জেলা ছাত্রকল্যাণ সমিতির সভাপতি ফয়সাল তালুকদার ত্রাণ সামগ্রী বিতরণের শেষ পর্যন্ত নিজে জোনাকির সঙ্গে থেকে কাজ করেছেন।

বন্যাদুর্গতদের পাশে দাঁড়ানোর অনুভুতি ব্যক্ত সংগঠনটির সভাপতি মো. ইউসুফ হোসেন বলেন, বন্যাদুর্গত মানুষদের পাশে দাঁড়াতে পেরে আমরা জোনাকি পরিবার খুবই আনন্দিত। আমরা চেষ্টা করেছি প্রান্তিক সুবিধাবঞ্চিত মানুষদের কাছে ত্রাণ পৌঁছে দিতে এবং দিতে পেরেছি। যারা বন্যার্তদের ত্রাণ দিতে আমাদের আর্থিক সহায়তা প্রদান করেছে তাদের সকলের কাছে আমরা জোনাকি পরিবার কৃতজ্ঞ।

জোনাকির সাধারণ সম্পাদক তাইনুর রহমান বলেন, জোনাকি সংগঠন মানবিকতার সংগঠন, অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো শুধু জোনাকি না প্রত্যেকটা স্বচ্ছল মানুষের কর্তব্য এবং উচিত। ক্ষুদ্র পরিসরে হলেও আমরা বন্যার্তদের পাশে দাঁড়াতে পেরে আনন্দিত আর যাদের অক্লান্ত পরিশ্রমে আমরা এই মহতী কাজ সম্পন্ন করতে পেরেছি সবার কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।

সংগঠনের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক বিল্লাল হোসেন মাঠ পর্যায়ের সকল কাজ থেকে সাহায্য পৌঁছে দেওয়া পর্যন্ত সকল স্থানে ছিলেন। তিনি তার অভিমত ব্যক্ত করে বলেন, আমাদের একটু পরিশ্রমের বিনিময়ে যদি বন্যাদুর্গত অসহায় মানুষের মুখে হাসি ফুটাতে পারি এখানেই আমাদের সার্থকতা। আমাদের প্রবল ইচ্ছে ছিল আমরা এক্কেবারেই প্রত্যন্ত অঞ্চলে যাব, যাদের জন্য ত্রাণ আসলেই প্রয়োজন। অবশেষে আমরা খুঁজে পেয়েছি সেই অঞ্চল এবং অবহেলিত সেই মানুষগুলোকে। সেখানে গিয়ে শুনেছি অবহেলিত মানুষের কথা এবং স্বচক্ষে পরিস্থিতি দেখে মনে হয়েছে আমরা আমাদের সঠিক জায়গায় এসেছি। ত্রাণ সরবরাহের পেছনে সকল অবদান আমাদের জোনাকি সংগঠনের সকল সদস্যদের। জোনাকির সদস্যদের যদি আমাদের পাশে না থাকতো হয়তো এটা কখনোই সম্ভব হতো না। সবশেষে একটি কথাই বলব, মানুষকে দেওয়ার মাঝে আনন্দ আছে, আত্মতৃপ্তি আছে, নেওয়ার মাঝে নেই। আর আমরা সেই আনন্দ ও আত্মতৃপ্তিটাই পেয়েছি। চেষ্টা করব যতদিন আছি এভাবেই যেন অবহেলিত মানুষের মুখে হাসি ফুটাতে পারি।

আঁধারে যেমন জোনাকি একমাত্র প্রাকৃতিক আলো দিতে পারে, তেমনি জোনাকি সংগঠনের প্রত্যেকেই প্রতিটা কর্মী অসহায় মানুষের পাশে অন্ধকারে প্রকৃত আলোর দিশা ফোটাবে। ২০১৬ সালে প্রতিষ্ঠিত এই সংগঠন প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকেই ‘মানবতা যেখানে অবহেলিত, জোনাকিরা সেখানে উদ্ভাসিত’ এই মূলমন্ত্রে এগিয়ে যাচ্ছে।

ওডি/আরএআর

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড