• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১  |   ২৭ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

বাঁচতে চায় জাবি শিক্ষার্থী ফিরোজ

  জাবি প্রতিনিধি

২৯ জুলাই ২০১৯, ১২:৩৭
জাবি
‘সোরাইসিস আর্থ্রাইটিস’ ও ‘সোরিয়াটিক আর্থ্রাইটিস’ রোগে আক্রান্ত জাবি শিক্ষার্থী ফিরোজ (ছবি : সংগৃহীত)

মো. ফিরোজ হোসাইন। পড়াশোনা করছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগে। গ্রামের বাড়ি নীলফামারী জেলার জলঢাকা উপজেলায়। রংপুর সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করা এই মেধাবী শিক্ষার্থী ‘সোরাইসিস আর্থ্রাইটিস’ ও ‘সোরিয়াটিক আর্থ্রাইটিস’ নামক রোগে আক্রান্ত হয়ে জীবনের সাথে লড়াই করছেন।

আর্থ্রাইটিস রোগের দুই ধরনের সমস্যার সম্মুখীন তিনি। গায়ে প্রচণ্ড ব্যথা, সঙ্গে সমস্ত শরীরে হাজারো ফোসকা। ডজন খানেক ডাক্তার দেখিয়েছেন ইতোমধ্যে। কিন্তু কিছুতেই কিছু হচ্ছে না। হাসপাতালের বেডে শুয়ে-বসে রোগটা ক্রমশ অবনতির দিকেই যাচ্ছে। এতকাল কারও সাহায্য না নিলেও ফিরোজের বিধবা মায়ের পক্ষে আর চিকিৎসা চালানো সম্ভব হচ্ছে না।

রোগের শুরুটা কয়েক বছর আগে। ১৪ মে ২০১৪ সালে দেহে রোগের উপস্থিতি বুঝতে পেরে প্রথমে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. শফিকুল ইসলাকে দেখানো হয়। নানা পরীক্ষা নিরীক্ষার পর ডাক্তার তাকে জানান অপ্রিয় সেই রোগটির কথা। লিখে দেন কয়েক ডজন ওষুধ। ওষুধ খেয়ে দিন দিন সুস্থ হতে থাকেন তিনি।

তুখোড় মেধাবী ফিরোজ তখন রংপুর সরকারি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণিতে ১ম স্থান অধিকারী শিক্ষার্থী। ২০১৪ সালের শেষের দিকে আবার অসুস্থ হয়ে পড়লে আবারও নেওয়া হয় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। রোগের জটিলতা দেখে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসা হয় গুলশান ল্যাব এইড হাসপাতালে। অর্থোপেডিক্স-এর ডা. এহসানুল রাব্বির চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে যায় তিনি।

তারপর আবার রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। ডা. হাবিবুর রহমানকে (ফিজিক্যাল মেডিসিন) দেখানো হলেও রোগের তেমন উন্নতি না হওয়ার চলে আসেন ঢাকার আনোয়ার খান মর্ডান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে ডা. নজরুল ইসলামের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা নেন।

এর মধ্যেই এইচএসসি দিয়ে জিপিএ-ফাইভ অর্জন করেন ফিরোজ। ২০১৬ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডা. মিনহাজ রহিম চৌধুরীকে দেখানো হয় জাপান বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতালে। এরপর প্রতি মাসে গ্রহণ করতে থাকেন ভ্যাক্সিন বায়োলজিক্স। প্রতিটি বায়োলজিক্স-এ খরচ পরে ১০ হাজার টাকা। এ সময় আবার স্বাভাবিক হতে থাকেন তিনি।

২০১৭ সালের দিকে ২য় বার দুই মাসের প্রস্তুতিতে ভর্তি পরীক্ষা দিয়ে চান্সও হয় জাবির উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগে। সময়টা বেশ ভালোই যাচ্ছিল তখন। কিন্তু উচ্চমূল্যের ওষুধের ব্যয়ভার বহন করতে পারছিল না তার পরিবার। ফলে ওষুধ খাওয়া প্রায় ছেড়ে দেন তিনি। বছর খানেক কিছুটা ভালো থাকার পর আবার সেই আগের অবস্থা। এরপর ডা. এ টি এম আসাদুজ্জামান, ডা. আরিফুল ইসলাম, ডা. সৈয়দ আতিকুল হক (গ্রিনলাইফ), অধ্যাপক ডা. মিনহাজ রহিম চৌধুরীকে দেখানো হয়। প্রতি মাসে তার ভ্যাক্সিন (বায়োলজিক্স) বাবদ খরচ লাগতে শুরু করে প্রায় ২৫০০০ টাকা। কিন্তু এই ওষুধে তাকে সুস্থ করে তোলা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছে চিকিৎসকরা। তাই নতুন ভ্যাক্সিন (বায়োলজিক্স) ডোজ নিতে হবে তাকে। প্রথম মাসে লাগবে ৩,৫০,০০০ টাকা। এরপর প্রতি মাসে ৫০,০০০ টাকায় চলবে চিকিৎসা। প্রায় ১৮ লক্ষ টাকা দরকার ভ্যাক্সিনের ডোজটা কমপ্লিট করার জন্য, কিন্তু তার বিধবা মায়ের পক্ষে এই অর্থের জোগান দেওয়া অসম্ভব। তাই ছেলের চিকিৎসার জন্য সমাজের বিত্তবানদের নিকট হাত বাড়িয়েছেন তার মা ও তার বন্ধুরা।

ফিরোজ বর্তমানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসারত অবস্থায় আছেন। আমরা কি পারি না তাকে ফিরিয়ে আনতে? কেবলমাত্র আমাদের সহযোগিতায় আর ডাক্তারদের আন্তরিক প্রচেষ্টায় পারে ফিরোজকে মৃত্যুর হাত থেকে ফিরিয়ে আনতে।

ফিরোজের জন্যে সাহায্য পাঠাতে পারেন : বিকাশ : শুভ - 01763191504 আসিফ- 01781399199 রকেট : শুভ- 017631915048, আসিফ - 015212429874

অগ্রণী ব্যাংক : অ্যাকাউন্ট নাম : আফরোজা আক্তার সুরভী, অ্যাকাউন্ট নাম্বার- 0200011536673, অগ্রণী ব্যাংক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা।

ওডি/আরএআর

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড