জবি প্রতিনিধি
শিক্ষার্থীদেরকে খাবার সরবরাহের কারণে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) একমাত্র টিচার্স ক্যাফে বন্ধ রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। শুধু শিক্ষকদের জন্য খাবার সরবরাহের দাবিতে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে টিচার্স ক্যাফে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পরিচর্যার অভাবে ক্যাফের চতুর্দিকে ময়লা জমে গেছে এবং দরজা ভেঙে পড়ে আছে। জানা যায়, ২০১৫ সালে জবি শিক্ষক সমিতির উদ্যোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ভবনের নিচতলায় শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের জন্য গড়ে উঠে টিচার্স ক্যাফে। রেভেনাস প্লাস ক্যান্টিন থেকে ক্যাফেতে খাবার সরবরাহ করা হতো, কিন্তু কিছুদিন খাবার সরবরাহের পরই হঠাৎ বন্ধ হয়ে যায় ক্যাফেটি।
নৃবিজ্ঞান বিভাগের এক শিক্ষক বলেন, শিক্ষকদের জন্য টিচার্স ক্যাফেটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে শুধু একটি মাত্র টিচার্স ক্যাফে তাও কতৃপক্ষের উদাসীনতায় বন্ধ রয়েছে। টিচার্স ক্যাফেটি চালু হলে আমাদের দুপুরের খাবার সংগ্রহে খুবই সুবিধা হবে।
বন্ধ ক্যাফের ভাঙা দরজা (ছবি : দৈনিক অধিকার)
গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী নিজাম উদ্দিন শামীম বলেন, টিচার্স ক্যাফে থেকে আমরা সহজেই খাবার সংগ্রহ করতে পারতাম, কিন্তু তা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে।
‘রেভেনাস প্লাস’ ক্যান্টিনের পরিচালক হিমু মিয়াকে টিচার্স ক্যাফে বন্ধের কারণ জিজ্ঞেস করলে দৈনিক অধিকারকে জানান, আমরা টিচার্স ক্যাফেতে খাবার সরবরাহ করতাম। যেখানে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা খাবার সংগ্রহ করত, কিন্তু শিক্ষকের দাবি শুধু শিক্ষকদের মধ্যেই যেন খাবার সরবরাহ করা হয়। শিক্ষার্থীদের খাবার সরবরাহ ব্যতীত আমাদের লাভবান হওয়া সম্ভব না বলে আমরা এখন খাবার সরবরাহ করছি না।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. নূর মোহাম্মদ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, টিচার্স ক্যাফেতে সরবরাহকৃত খাবারের মান ভালো ছিল না। এছাড়া, শিক্ষার্থীদের যাতায়াতে বিঘ্ন হয় ও টিচার্স ক্যাফের পাশে বাথরুম থাকায় দুর্গন্ধ আসে। এ জন্য ক্যাফেটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। তবে অন্যত্র টিচার্স ক্যাফেটি স্থানান্তর করে চালু করার উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
ওডি/আরএআর
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড