• বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১  |   ২৯ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২২ বছরে পদার্পণ

  মোহাম্মদ রনি খাঁ, গণবি প্রতিনিধি

১৪ জুলাই ২০১৯, ০৮:৫৪
গণবি
গণ বিশ্ববিদ্যালয় (ছবি : সংগৃহীত)

একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কীভাবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অসাম্প্রদায়িক জাতি গঠন ও দেশের বিদ্যমান দারিদ্র্যের বিপরীতে উচ্চশিক্ষার প্রসার ঘটিয়ে দেশের উন্নয়নে ভূমিকা রাখে তার অনন্য এক উদাহরণ গণ বিশ্ববিদ্যালয়। ১৯৯৮ সালের ১৪ জুলাই গ্রামের মানুষের কল্যাণ ও সমাজ সচেতন উচ্চশিক্ষিত জনগোষ্ঠী তৈরির লক্ষ্যে যাত্রা শুরু করে এ প্রতিষ্ঠানটি।

এ বিশ্ববিদ্যালয়টি শুধু উচ্চশিক্ষাই নয়; বরং দেশের সামাজিক, সাংস্কৃতিকসহ একটি সমৃদ্ধ জাতি গঠনের জন্য প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছে। সাভারের মির্জানগরে প্রায় ৩৪ একর জায়গা জুড়ে এ ক্যাম্পাস।

প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ঘেরা এ বিশ্ববিদ্যালয়টিতে রয়েছে ‘ঊ’ শেপের বিশাল একটি অ্যাকাডেমিক ভবন এবং দুইটি প্রশাসনিক ভবন ছাড়াও রয়েছে- সুবিশাল খেলার মাঠ, জলাধার, বাস্কেটবল ও টেনিস কোর্ট ইত্যাদি।

জাতীয় স্মৃতিসৌধে শপথ গ্রহণের মাধ্যমেই শুরু হয় নবীন শিক্ষার্থীদের স্নাতক জীবন। এছাড়াও প্রতিটি ধাপেই রয়েছে মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তচিন্তার প্রত্যয়ের ছোঁয়া। বিশ্ববিদ্যালয়টি রাজনীতি মুক্ত হলেও সুস্থ রাজনৈতিক সংস্কৃতি চর্চায় রয়েছে একমাত্র নির্বাচিত বেসরকারি কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ।

ছবি

শিক্ষার্থীদের পদচারণায় মুখরিত ক্যাম্পাস (ছবি : সংগৃহীত)

লেখালেখি ও সংবাদ প্রকাশে সৃজনশীলতা ও বস্তুনিষ্ঠতা রক্ষায় আছে গণ বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি (গবিসাস)। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে একমাত্র সাংবাদিক সমিতি এটি।

এছাড়াও বাদাম তলা, হিটলার ঝালমুড়ি কর্ণার, মিডিয়া কর্নার, ট্রান্সপোর্ট ইয়ার্ডসহ কাশবনের শুভ্রতা আর কাঠবাদামের গন্ধ সব মিলিয়ে যেন স্বপ্নের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের আমেজ। গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১ বছর শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২২ বছরে পদার্পণ যাত্রায় শিক্ষার্থীরা জানালেন বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে তাদের স্বপ্ন, ভবিষত চিন্তার গল্প।

বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম প্রিয়মুখ, বাংলাদেশ জাতীয় প্রমীলা হ্যান্ডবল দলের খেলোয়াড় এবং শিক্ষার্থী ছন্দা রানী সরকার জানান, শুভ জন্মদিন গণ বিশ্ববিদ্যালয়। একজন নারী হিসেবে গণ বিশ্ববিদ্যালয় আমাদের স্বাধীনভাবে চলার অগ্রাধিকার দিয়েছে। এ বিশ্ববিদ্যালয় খেলোয়াড়ের ভিন্নভাবে মূল্যায়ন করে। আশা করব, আমাদের এমন স্বাধীনতা আগামীতেও বজায় থাকবে।

অগ্নিসেতু সাংস্কৃতিক পরিষদ গণ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি হোসাইনুল আরেফিন সিতু জানান, জীবনের সোনালী সময় আর রঙ্গিন স্বপ্নগুলো পূরণের সবচেয়ে বড় ক্ষেত্র বিশ্ববিদ্যালয়। গণ বিশ্ববিয়ালয়ে মানসম্মত পড়াশোনার পরিবেশ, গবেষণার পর্যাপ্ত উপকরণ, লাইব্রেরিতে পর্যাপ্ত বইয়ের বাইরেও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড, খেলাধুলা, ডিবেটিংয়ের সব আয়োজন থাকলেও বর্তমান সময়ে স্থায়ী উপাচার্য এবং কয়েকটি ডিপার্টমেন্টের বৈধতা নিয়ে যে জটিলতা তৈরি হয়েছে, তা শিক্ষার্থীদের জন্য মোটই মঙ্গলজনক নয়। এক্ষেত্রে, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যতের কথা বিবেচনা করে দ্রুতই এই সমস্যার সমাধানে পদক্ষেপ গ্রহণ করবে বলে প্রত্যাশা করি।

ছবি

বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকের দায়িত্বে রয়েছে তৃতীয় লিঙ্গের চার নিরাপত্তাকর্মী (ছবি : সংগৃহীত)

গণ বিশ্ববিদ্যালয় একমাত্র প্রতিষ্ঠান, যেটি নারী অধিকার ও সামাজিক বৈষম্য দূরীকরণে বিশ্বাসী। আর তাই গণ বিশ্ববিদ্যালয় দেশের প্রথম কোনো প্রতিষ্ঠান হিসেবে তৃতীয় লিঙ্গের চারজনকে সুযোগ করে দিয়েছে কোনো প্রতিষ্ঠানে কাজ করার জন্যে। তৃতীয় লিঙ্গের এ চারজন গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকের দায়িত্বে রয়েছে।

তারা জানালেন, শুভ জন্মদিন প্রাণের প্রতিষ্ঠান গণ বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয় আমাদের আলাদা সম্মানে সম্মানিত করেছে। এখন আমরা আর মানুষের কাছে হাত পাতি না। নিজের উপার্জনের টাকা দিয়ে জীবিকা নির্বাহ করি।

ওডি/আরএআর

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড