• বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ৪ বৈশাখ ১৪৩১  |   ২৮ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়

৩৬৫ দিনের মধ্যে ক্লাস বন্ধ ১৭২ দিন

  ইবি প্রতিনিধি

১৩ জুলাই ২০১৯, ১৩:১৮
ইবি
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ছবি : সংগৃহীত)

স্বাধীনতা পরবর্তী বাংলাদেশের প্রথম সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় হলো কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি)। কুষ্টিয়ার থেকে ২৫ কি.মি অদুরে এক প্রান্তিক জনপদে হাওয়ায় জন্মলগ্ন থেকেই বিভিন্ন সমস্যায় জর্জরিত ছিল এই প্রতিষ্ঠানটি। সময়ের পরিক্রমায় সেসব অনেকাংশে লাঘব হলেও বিশ্ববিদ্যালয় কার্যদিবসে দীর্ঘ ছুটি পেছনে লাগাম টেনে ধরেছে।

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকাশিত নতুন অর্থবছরের ক্যালেন্ডার পর্যালোচনা করে দেখা যায়, বছরের ৩৬৫ দিনের মধ্যে ১৭২ দিনেই বন্ধ থাকবে ক্লাসসমূহ। বছরে ৪৭ দশমিক ১২ শতাংশ দিন বন্ধ থাকবে ক্যাম্পাস। এর মধ্যে সাপ্তাহিক ছুটি ভোগ করবে ১০২ দিন। এ ছাড়া বাকি ৭০ দিন বন্ধ থাকবে ঈদুল আজহা, দুর্গাপূজা, গ্রীষ্মকালীন, শীতকালীনসহ অন্যান্য দিবস উপলক্ষে। অর্থাৎ এক বছরে ক্লাস ও পরীক্ষা নেওয়ার জন্য সময় মাত্র ১৯৩ দিন।

এ দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্ডিন্যান্স অনুযায়ী, সেমিস্টার পদ্ধতিতে ক্লাস ও পরীক্ষা নিতে প্রায় নয় মাস সময় লাগার কথা। বিগত সময়ে বিভিন্ন বিভাগে শিক্ষকরা নিয়মমাফিক ক্লাস না নিয়েই পরীক্ষা নিয়েছে বলে দাবি শিক্ষার্থীদের। এ বছরও এমনটি আশঙ্কা তাদের।

ক্যাম্পাস সূত্রে জানা গেছে, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষ থেকেই সব বিভাগে সেমিস্টার পদ্ধতি চালু করেছে। সে হিসেবে সব বিভাগের প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষ এবং মাস্টার্সের শিক্ষার্থীদের সেমিস্টার পদ্ধতি চালু আছে।

অর্ডিন্যান্স অনুযায়ী, প্রতি সেমিস্টারে শিক্ষকরা কমপক্ষে সাড়ে তিন মাস ক্লাস নেবে। আর ক্লাস শেষে ১৫ দিন বিরতি দিয়ে সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা নিতে হবে। বিভাগ ভেদে এক সেমিস্টারের পরীক্ষা সম্পন্ন করতে কমপক্ষে এক থেকে দেড় মাস সময় লাগে। সে হিসেবে বছরে দুই সেমিস্টারের কোর্স ও পরীক্ষা সম্পন্ন করতে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের ৯ মাস সময় লাগার কথা। অথচ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা সময় পাচ্ছে মাত্র ১৯৩ দিন।

এ দিকে প্রকৌশল, বিজ্ঞান ও জীববিজ্ঞান অনুষদের অধীনে রয়েছে ১১টি বিভাগ। এর প্রতিটিতে মূল পরীক্ষার পাশাপাশি রয়েছে ল্যাব পরীক্ষা। এ সব বিভাগের তত্ত্বীয় পরীক্ষা শেষ হতে এক মাসেরও বেশি সময় লেগে যায় বলে জানিয়েছে শিক্ষার্থীরা। অন্যদিকে মূল পরীক্ষা শেষে ল্যাব পরীক্ষা শেষ করতে লেগে যায় আরও ১৫ দিন। এক সেমিস্টারের বেশির ভাগ সময় পরীক্ষা থাকায় ঠিকমতো কোর্স সম্পন্ন হচ্ছে না। এতে এসব বিভাগের শিক্ষার্থীরা সব থেকে বেশি ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে।

এছাড়া শিক্ষকরা কোর্স শেষ না করেই পরীক্ষা নিচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এ ব্যাপারে শিক্ষার্থীরা জানায়, কিছু শিক্ষক কোর্স শেষ করছে না। তারা দু-একটি ক্লাস নিয়েই পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছে। সুতরাং ওই কোর্স সম্পর্কে কোনো ধারণাই পাচ্ছে না শিক্ষার্থীরা। ফলে অনেকের মাঝে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার মান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন-উর-রশিদ আসকারী বলেন, ক্রমান্বয়ে আমরা ছুটি কমিয়ে আনার চেষ্টা করছি। দীর্ঘদিন থেকে চলে আসা ছুটি এক দিনে তো কমিয়ে আনা সম্ভব নয়। তবে নিজ নিজ বিভাগ চাইলে ছুটির দিনেও ক্লাস-পরীক্ষা নেওয়া যেতে পারে। এ ব্যাপারে আমরা তাদের সহযোগিতা করছি।

ওডি/আরএআর

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড