• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩০ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

১ মাসের মধ্যে বঞ্চিত প্রার্থীকে নিয়োগের নির্দেশ

বেরোবির ইতিহাস বিভাগের শিক্ষক নিয়োগে হাইকোর্টের রিট

  বেরোবি প্রতিনিধি

০৯ জুলাই ২০১৯, ২১:৪৮
বেরোবি
নিয়োগ বঞ্চিত প্রার্থী মো. ইউসুফ ও বাছাই বোর্ডের সুপারিশ (ছবি : সংগৃহীত)

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের পর এবার ইতিহাস ও প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষক হিসেবে মো. ইউসুফকে আগামী ১ মাসের মধ্যে নিয়োগ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

মঙ্গলবার (৯ জুলাই) বিচারপতি জোবায়ের রহমান চৌধুরী এবং বিচারপতি শশাংক শেখর সরকারের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এক রায়ে এ নির্দেশ দেন। বাছাই বোর্ডের সুপারিশ পত্রে মেধা ক্রমে প্রথম স্থান অধিকারী মো. ইউসুফকে নিয়োগ না দিয়ে মেধা ক্রমে ২য় ও ৩য় স্থান অধিকারীদের নিয়োগ দেওয়ায় হাইকোর্ট এ রায় দেয়।

মামলার কাগজপত্র থেকে জানা যায়, ২০১১ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অন্যান্য বিভাগের পাশাপাশি ইতিহাস ও প্রত্নতত্ত্ব বিভাগে তিনজন শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। বিজ্ঞপ্তির প্রেক্ষিতে সাক্ষাৎকারের জন্য সাত জন আবেদনকারী বাছাই বোর্ডের সম্মুখীন হয়েছিল। তাদের মধ্য থেকে তিনজনকে নিয়োগের জন্য চূড়ান্তভাবে সুপারিশ করে বাছাই বোর্ড। কিন্তু মেধা ক্রমের ১ম জনকে বাদ দিয়ে তালিকায় থাকা ২য় ও ৩য় জনকে নিয়োগ দেয় বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট।

এতে মেধা তালিকার প্রথম স্থানে থাকা মো. ইউসুফ হাইকোর্টে রিট পিটিশন (রিট পিটিশন নং-৩৫৭২/২০১৪) মামলা দায়ের করেন। রিটের প্রেক্ষিতে কেন তাঁর নিয়োগপত্র ইস্যু করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করে এবং ওই বিভাগে একটি ‘প্রভাষক’ পদ সংরক্ষণের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।

এ বিষয়ে শিক্ষক পদে নিয়োগ বঞ্চিত মো. ইউসুফ বলেন, ‘সাবেক এক উপাচার্যের আমলে বাছাই বোর্ডের সুপারিশ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অমান্য করে ১ম স্থান অধিকার করার পরেও আমাকে নিয়োগ দেওয়া হয়নি। সাত বছর পর আমি ন্যায় বিচার পেলাম। আমি আশাবাদী বর্তমান বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দ্রুতই রায় বাস্তবায়ন করবে।’

বঞ্চিত শিক্ষক মো. ইউসুফের আইনজীবী আব্দুর রহমান বলেন, ‘বাছাই বোর্ডের সুপারিশ পত্রে যে ধরনের স্বেচ্ছাচারিতামূলক আচরণ করা হয়েছে তা দেখে মহামান্য আদালত খুবই ক্ষুব্ধ হয়েছেন। আমি কেন নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল চাইনি সেজন্য আদালত আমাকে প্রশ্ন করেছেন। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট বিশ্ববিদ্যালয় আইন ২০০৯ এর ৩৪/৩ ধারা লঙ্ঘন করে মো. ইউসুফকে নিয়োগ প্রদান না করে স্বেচ্ছাচারিতামূলক আচরণ করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয় নিযুক্ত আইনজীবী উচ্চ আদালতে মামলাটি আপিল করবেনা মর্মে আদালতকে জানানোর প্রেক্ষিতে মহামান্য আদালত সন্তুষ্ট হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়কে কোন জরিমানা করেননি।’

হাইকোর্টের নির্দেশের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার আবু হেনা মুস্তফা কামাল এবং উপাচার্য ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহর সঙ্গে একাধিকবার ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাদের পাওয়া যায় নি।

ওডি/এমএ

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড