• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১  |   ২৭ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

‘চাইলাম ডিগ্রি, হইলাম জঙ্গি’

  ইবি প্রতিনিধি

০৩ জুলাই ২০১৯, ২০:১৯
ইবি
মানববন্ধন কর্মসূচি (ছবি : দৈনিক অধিকার)

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদভুক্ত পাঁচ বিভাগের শিক্ষার্থীদের জঙ্গি ও সন্ত্রাসী উপাধি দেওয়ায় প্রতিবাদ জানিয়ে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। বুধবার (৩ জুলাই) বেলা সাড়ে ১২টায় প্রশাসনিক ভবনের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি দাবি করা পাঁচ বিভাগের সাধারণ শিক্ষার্থীদের ‘চাইলাম ডিগ্রি হইলাম জঙ্গি, ‘ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি চাই, আর নয় কালক্ষেপণ’, ‘এইবার চাই বাস্তবায়ন, ‘ডিগ্রি নিয়ে প্রহসন মানি না মানবো না’ ইত্যাদি স্লোগান সম্বলিত প্ল্যাকার্ড হাতে মানববন্ধন পালন করে।

মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা বলেন, বর্তমানে তাদের ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি না থাকার করণে তাদের বিষয় নির্ভর চাকরির জন্য তারা আবেদন পর্যন্ত করতে পারছে না।

তারা বলেন, ‘বর্তমান ইবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন উর রশীদ আসকারী স্যার বিশ্বব্যাপী তার বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধা সম্পদ পৌঁছে দেওয়ার যে স্বপ্ন তা কখনোই পূরণ হবে না।’ বর্তমান উপাচার্য অবশ্যই ছাত্রদের বৃহত্তর স্বার্থে কাজ করবে বলে মনে করেন তারা।

জানা যায়, ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি চাওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) পাঁচ বিভাগের শিক্ষাথীদের আচরণ সন্ত্রাসী ও জঙ্গি কার্যকলাপের ন্যায় বলে উল্লেখ করেছে সংশ্লিষ্ট অনুষদীয় কমিটি।

এ দিকে, এ সংক্রান্ত একটি নথি হাতে আসায় আন্দোলনে নামার হুমকি দিয়েছে শিক্ষার্থীরা। এক দিনের মধ্যে ওই বক্তব্য প্রত্যাহার না করলে বুধবার (৩ জুলাই) থেকে মানববন্ধনসহ লাগাতার আন্দোলনে নামার হুমকি দেয় তারা।

প্রসঙ্গত, গেল ২৩ এপ্রিল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি অনুষদের অধীন পাঁচটি বিভাগের শিক্ষার্থীরা ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রির দাবিতে আন্দোলনে নামে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা আমারণ অনশন ও অবস্থান ধর্মঘট পালন করে। এত কিছুর পরও দাবি না মানায় ওই দিন ওয়াজেদ মিয়া বিজ্ঞান ভবনে তালা লাগিয়ে দেয় শিক্ষার্থীরা। এ সময় ডিন অফিসে দুই কর্মচারী আটকা পড়েন। পরে রাত নয়টার দিকে ডিন অধ্যাপক ড. মমতাজুল ইসলাম ও ছাত্র উপদেষ্টা পরেশ চন্দ্র বর্মন তাদের মুক্ত করতে আসলে তাদেরও অবরুদ্ধ করে রাখা হয়। এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গ্রেফতার অভিযান চালায় বিশ্ববিদ্যালয় ও পুলিশ প্রশাসন। সেদিন ভোর ৪টার দিকে ২২ জন শিক্ষার্থীকে গ্রেফতার করা হয়। পরে দাবি মানা হবে বলে আশ্বাস দিয়ে ১১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করে প্রশাসন।

এ দিকে, ঘটনার লিখিত কপি শিক্ষার্থীদের হাতে আসলে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে তারা। ওই বক্তব্য প্রত্যাহারের জন্য মঙ্গলবার (২ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) ড. আনিছুর রহমানের কাছে দাবি জানায়। তিনি অপরাগতা প্রকাশ করলে তারা ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মমতাজুল ইসলামের কাছে যায়। তিনিও বিষয়টি জানেন না বলে দাবি করেন।

এ সময় শিক্ষার্থীরা অনুষদীয় সভার লিখিত সিদ্ধান্ত দেখালে তিনি জানান, ‘আমি শুধু স্বাক্ষর করেছি। আর কিছু জানি না।’

শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে জানায়, ‘আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে এসেছি। আমরা কোনো সমাজবিরোধী কাজে যুক্ত নই। তবুও আমাদের ওপর এমন অপবাদ কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। আমাদের দাবি না মানা হলে আজ বুধবার থেকে আমরা আন্দোলনে যাওয়ার হুমকি দেয়।’

ওডি/আরএআর

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড