• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩৩ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়

আন্দোলনকারীদের জঙ্গি তকমা দেওয়ায় শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ

  ক্যাম্পাস ডেস্ক

০৩ জুলাই ২০১৯, ১৪:৫১
ইবি
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ছবি : সংগৃহীত)

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রির দাবিতে আন্দোলনকারীদের কার্যক্রম সন্ত্রাসী ও জঙ্গি কার্যক্রমের সঙ্গে তুলনা করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে শিক্ষার্থীরা।

জানা যায়, ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি চাওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) পাঁচ বিভাগের শিক্ষাথীদের আচরণ সন্ত্রাসী ও জঙ্গী কার্যকলাপের ন্যায় বলে উল্লেখ করেছে সংশ্লিষ্ট অনুষদীয় কমিটি।

এ দিকে, এ সংক্রান্ত একটি নথি হাতে আসায় আন্দোলনে নামার হুমকি দিয়েছে শিক্ষার্থীরা। এক দিনের মধ্যে ওই বক্তব্য প্রত্যাহার না করলে বুধবার (৩ জুলাই) থেকে মানববন্ধনসহ লাগাতার আন্দোলনে নামবে তারা।

নথির একাংশে উল্লেখ করা হয়, আলোচনার প্রথমেই ডিন অনুষদভুক্ত শিক্ষার্থীদের ‘ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি’ বিষয়টি প্রশাসনিক অগ্রগতি ও বর্তমান অবস্থান এবং ২৩ এপ্রিল ঘটিত অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা সংক্রান্তে সভায় আদ্যপ্রান্ত বর্ণনা করেন। ডিনের বিস্তারিত বর্ণনা শেষে সভার সম্মানিত সদস্য অধ্যাপক ড. মো. মাহবুবুর রহমান, ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, ড. মো. মাহবুবর রহমান, ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, অধ্যাপক ড. মো. ফারুকুজ্জামান খান, কম্পিউটার সাইন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, অধ্যাপক ড. তপন কুমার জোদ্দার, ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিনিউকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, অধ্যাপক ড. মো. মনিরুজ্জামান, ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল বিভাগ, অধ্যাপক ড. এম এ সালাম, ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় এবং অধ্যাপক ড. নুরুন্নবী মোল্লা, ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়সহ সকলেই সভায় অভিমত ব্যক্ত করেন যে, ২৩ এপ্রিলের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা সন্ত্রাসী ও জঙ্গী কার্যকলাপের ন্যায় যা একজন শিক্ষার্থীর আচরণ হতে পারে না। পক্ষান্তরে, একজন শিক্ষার্থী কখনো সন্ত্রাসী হতে পারে না এবং একজন শিক্ষক কখনোই সন্ত্রাসীকে পাঠদান করায় না। যেখানে বর্তমান প্রশাসন বিশ্ববিদ্যালয়কে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করার নিরলস চেষ্টা করছে যাচ্ছে সেখানে এ ধরনের সন্ত্রাসী ও জঙ্গী কার্যকলাপের জন্য জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি দারুণভাবে ক্ষুন্ন হচ্ছে।

জানা যায়, গেল ২৩ এপ্রিল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি অনুষদের অধীন পাঁচটি বিভাগের শিক্ষার্থীরা ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রির দাবিতে আন্দোলনে নামে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা আমারণ অনশন ও অবস্থান ধর্মঘট পালন করে। এত কিছুর পরও দাবি না মানায় ওই দিন ওয়াজেদ মিয়া বিজ্ঞান ভবনে তালা লাগিয়ে দেয় শিক্ষার্থীরা। এ সময় ডিন অফিসে দুই কর্মচারী আটকা পড়েন। পরে রাত নয়টার দিকে ডিন অধ্যাপক ড. মমতাজুল ইসলাম তাদের মুক্ত করতে আসলে তাকেও অবরুদ্ধ করে রাখা হয়। এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গ্রেফতার অভিযান চালায় বিশ্ববিদ্যালয় ও পুলিশ প্রশাসন। সেদিন ভোর ৪টার দিকে ২২ জন শিক্ষার্থীকে গ্রেফতার করা হয়। পরে দাবি মানা হবে বলে আশ্বাস দিয়ে ১১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করে প্রশাসন।

এ দিকে, ঘটনার লিখিত কপি শিক্ষার্থীদের হাতে আসলে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে তারা। ওই বক্তব্য প্রত্যাহারের জন্য মঙ্গলবার (২ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) ড. আনিছুর রহমানের কাছে দাবি জানায়। তিনি অপরাগতা প্রকাশ করলে তারা ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মমতাজুল ইসলামের কাছে যায়। তিনিও বিষয়টি জানেন না বলে দাবি করেন।

এ সময় শিক্ষার্থীরা অনুষদীয় সভার লিখিত সিদ্ধান্ত দেখালে তিনি জানান, ‘আমি শুধু স্বাক্ষর করেছি। আর কিছু জানি না।’

শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে জানায়, ‘আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে এসেছি। আমরা কোনো সমাজ বিরোধী কাজে যুক্ত নই। তবুও আমাদের ওপর এমন অপবাদ কোনভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। আমাদের দাবি না মানা হলে কাল থেকে আমরা আন্দোলনে যাব।’

এ প্রসঙ্গে ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মমতাজুল ইসলাম জানান, ‘এ বিষয়ে আমার সিদ্ধান্ত নেওয়ার ইখতেয়ার নেই। এ বিষয়ে বিভাগ সিদ্ধান্ত নেবে। ফলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও বিভাগের ওপর সিদ্ধান্তের বিষয়টি বর্তায়। তারাই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।’

ওডি/আরএআর

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড