• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১  |   ২৯ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

কেমন আছে তিতুমীরের সামনের ফুটওভার ব্রিজের গাছগাছালি

  মামুন সোহাগ, জিটিসি প্রতিনিধি

২৪ মে ২০১৯, ১৪:৪৬
তিতুমীর কলেজ
তিতুমীরের সামনের ফুটওভার ব্রিজ (ছবি : সংগৃহীত)

রাজধানী ঢাকার সরকারি তিতুমীর কলেজের (জিটিসি) প্রধান ফটকের ঠিক সামনেই দাঁড়িয়ে আছে ফুটওভার ব্রিজ। শিক্ষক, শিক্ষার্থী কিংবা সাধারণ মানুষের যাতায়াতের জন্য বেশ সহায়ক ভূমিকা পালন করে এই ফুটওভার ব্রিজটি। যন্ত্র-যান্ত্রিকতা, কংক্রিট আর নানা কোলাহলের ভেতরে সবুজের ছিটেফোঁটা ঘ্রাণ ছড়িয়ে দিতে রাজধানীর দুই সিটি কর্পোরেশনের মেয়রের উদ্যোগে প্রতিটি ফুটওভার ব্রিজে দৃষ্টিনন্দন গাছ লাগানো হয়। যা পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের ‘নির্মল বায়ু এবং টেকসই পরিবেশ’ প্রকল্পের আওতাধীন।

ফুটওভার ব্রিজের এসব দৃষ্টিনন্দন গাছগাছালি দেখে অনেকে আগ্রহী হয়ে উঠেন। তবে কেমন আছে তিতুমীরের ফুটওভার ব্রিজের সৌন্দর্য বর্ধনের গাছগাছালি? এ প্রশ্নের উত্তরের খুঁজতে যেতে হয় তিতুমীর কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থীদের কাছে।

রাকিব হাসনাত নামে তৃতীয় বর্ষের এক শিক্ষার্থী দৈনিক অধিকারকে জানায়, ফুটওভার ব্রিজে গাছ লাগানোয় প্রথম দিকে ব্যবহারকারীদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া পড়ে। অনেকেই এখানে দাঁড়িয়ে সময় পার করতেন। পরিচর্যা করার কেউ না থাকায় অনেকেই আবার গাছের ফুল কিংবা ডাল ভেঙে এর সৌন্দর্য নষ্ট করে। তবে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা কর্মচারীর সুষ্ঠু রক্ষণাবেক্ষণের ফলে আগের পরিবেশ ফিরে পেতে পারি বলে আমার আত্মবিশ্বাস।

কথা হয় দর্শন বিভাগের জসিম উদ্দিন নামে আরেকজন শিক্ষার্থীর সঙ্গে। সে জানায়, দিন যতই যায় তিতুমীরের ফুটওভার ব্রিজ তার ঐতিহ্য হারায়। সৌন্দর্য সৃষ্টির তরে যে গাছগাছালি ছিল সেগুলো এখন শুকনা কাঠ। পানি দিতে বা যত্ন নিতে কখনোই দেখিনি। তবে চলতি পথে সামান্য সবুজের ছিটেফোঁটা থাকলে মন্দ হয় না।

তানিশা তাবাসসুম নামে আরেক শিক্ষার্থী বলে, আমাদের ফুটওভার ব্রিজটাতে কোনোকালেই যত্ন নিতে দেখিনি কাউকে। সে দিন তো ভাঙা অংশে আমার পা বেরিয়ে গিয়েছিল। খুব ভয় পেয়েছিলাম!

মহাখালি আমতলি থেকে গুলশান যেতে দেখা মিলে ফুটওভার ব্রিজটির। ব্রিজের ঠিক সামনেই তিতুমীর কলেজ অবস্থিত, কয়েক পা এগিয়েই ব্রাক ইউনিভার্সিটি এবং সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটি। সবমিলিয়ে এই ফুটওভার ব্রিজটিকে কোনোভাবেই ফেলনা হিসেবে দেখা যাচ্ছে না।

উল্লেখ্য, সৌন্দর্য বর্ধন এবং ফুটওভারব্রিজ ব্যবহারে নগরবাসীকে আরও উদ্ধুদ্ধ করতে এবং সবুজ নগরী গড়ার অংশ হিসেবে রাজধানীর ৩৪টি ওভারব্রিজে ৩৬৭৫টি বাগানবিলাস গাছ লাগায় ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন। শুরু থেকেই এ উদ্যোগের প্রশংসা করে আসছেন সাধারণ নগরবাসীসহ পরিবেশ কর্মী ও নগর পরিকল্পনাবিদরা। তবে নগর পরিকল্পনাবিদরা মনে করেন, এই যানজট আর কংক্রিটের শহরে সবুজের ছোঁয়া দেওয়া সম্ভব। শুধু দরকার সুষ্ঠু পরিকল্পনা এবং তার যথাযথ বাস্তবায়ন।

ওডি/এসএসকে

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড