• বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১  |   ২৮ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

এক কমিটিতে পাঁচ বছর রাবি ছাত্রদল!

  নুরুজ্জামান খান

১৩ মে ২০১৯, ১৪:১৪
রাবি
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (ছবি : সংগৃহীত)

সেশনজটে না থাকলে অনার্স এবং মাস্টার্সসহ পাঁচ থেকে সাড়ে পাঁচ বছরেই শেষ হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রত্ব। পাঁচ বছরে যেখানে ছাত্রত্ব থাকে না সেখানে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) শাখা ছাত্রদলের কমিটির মেয়াদই পাঁচ বছর! সর্বশেষ ২০১৪ সালের ২৪ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদলের কমিটি ঘোষণা করা হয় এরপর থেকেই এ কমিটি দিয়ে চলছে তাদের কার্যক্রম। ফলে এই কমিটির শীর্ষ নেতাদেরও অধিকাংশরই নেই ছাত্রত্ব।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, প্রায় একযুগ কমিটিহীন থাকার পর ২০১৪ সালের ২৪ জুলাই ছাত্রদলের তৎকালীন কেন্দ্রীয় সভাপতি আব্দুল কাদের ভূঁইয়া জুয়েল ও সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান হাবিব রাবির ছয় সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করেন। ছয় সদস্যবিশিষ্ট কমিটিতে ফাইন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী ইমতিয়াজ আহমেদকে সভাপতি ও মাকেটিং বিভাগের ই-এমবিএর (তৎকালীন) শিক্ষার্থী কামরুল হাসানকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়।

কমিটির অন্যরা হলেন- সিনিয়র সহসভাপতি আহসানুজ্জামান অলিন, সহসভাপতি ইসমাইল হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক রাজু আহমেদ মামুন ও সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক সুলতান আহমেদ রাহী।

এর দুই বছর পর ২০১৬ সালের ১০ সেপ্টেম্বর এদেরকে পদে রেখে ১৪৩ সদস্যের কমিটি ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সভাপতি রাজীব আহসান ও সাধারণ সম্পাদক আকরামুল হাসান। কমিটিতে ৪০ জনকে সহসভাপতি, ২০ জনকে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, সাত জনকে সহযুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, ১১ জনকে সহসাংগঠনিক সম্পাদক, ২৯ জনকে কমিটির বিভিন্ন সম্পাদকীয় পদে এবং ৩৩ জনকে সদস্য রাখা হয়। এর আগে ২০০৩ সালে রাবি ছাত্রদল পূর্ণাঙ্গ কমিটি পেয়েছিল। এরপর ২০০৫ ও ২০১০ সালে রাবি ছাত্রদল কাজ চালিয়েছে আহ্বায়ক কমিটি দিয়ে।

এদিকে, কমিটির মেয়াদ শেষেও নতুন কমিটি না দেওয়া এবং অছাত্ররা নেতৃত্বে থাকার কারণে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সংগঠনের তরুণ ছাত্র-নেতারা। তারা দাবি করছেন- দীর্ঘদিন কমিটি না হওয়ায় পদ প্রত্যাশীরা হতাশ হচ্ছেন। যার কারণে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের অস্তিত্ব সংকটে। ফলে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে সংগঠন। নতুন কমিটি দিলে সংগঠনের কার্যক্রম আরও সক্রিয় হবে বলেও দাবি তাদের।

ছাত্রদলের গুরুত্বপূর্ণ পদধারী এক নেতা বলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের সঙ্গে লড়াই করে ছাত্রদলের কার্যক্রম চালানো অনেক কঠিন। দীর্ঘদিন কমিটি না হওয়াতে কর্মী সংকট দেখা দিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে নতুন কমিটি হলে অনেকে পদে আসবে, তখন সংগঠন আরও শক্তিশালী হবে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক কামরুল হাসান বলেন, আমরা সাংগাঠনিক কার্যক্রম চালাচ্ছি। দীর্ঘদিন কমিটি না হওয়ার কারণে কিছু সমস্যার মুখোমুখী হতে হয়েছে। আশা করি দ্রুত কমিটি পাব।

শাখা ছাত্রদলের সভাপতি ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, ‘অনেক আগেই কেন্দ্রকে কমিটি দিতে বলেছি। যেহেতু এটা একটি প্রক্রিয়ার মধ্যদিয়ে ঘটে সেজন্য একটু দেরী হচ্ছে। আশা করি রাকসু নির্বাচনের আগেই সম্মেলন ও কমিটি হবে।’

এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সভাপতি রাজিব আহসান ও সাধারণ সম্পাদক আকরামুল হাসানকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তারা কেউ রিসিভ করেননি। তবে কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি নাজমুল হাসান জানান, রাকসু নির্বাচনকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছেন তারা। অতিদ্রুতই তারা রাবি শাখার নতুন কমিটি দিবেন বলেও জানান তিনি।

ওডি/আরএআর

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড