মো. নুরুজ্জামান খান
ডাটাবেজটি সাপবিষয়ক গবেষণায় সহায়তা করবে। শুধু বাংলাদেশ নয়, বলতে গেলে পৃথিবীতে এই ধরনের ডেটাবেজ প্রথম। পাশাপাশি সাপের কামড়ে কী ধরনের ভেনোম ব্যবহার করা যাবে, কত ধরনের ভেনোম আছে তার সবই আছে এখানে। এভাবে কথাগুলো বলছিলেন বিশ্বের প্রথম পরিপূর্ণ কোনো ডাটাবেজ উদ্ভাবনকারী রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) জেনেটিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. আবু রেজা।
তার প্রতিষ্ঠিত এই ডাটাবেজের অনলাইন ঠিকানায় কালনাগিনী, গোখরা, কালো হলুদ ব্যান্ড লাঠি, মোহনার লাঠি, শঙ্খীনি, ধামান, পাথরসহ দেশের অভ্যন্তরে পাওয়া যায় এমন ৮৯টি সাপের জীবনবৃত্তান্তের বিস্তারিত তথ্য স্থান পেয়েছে।
অধ্যাপক ড. আবু রেজা বলেন, ‘এ ডাটাবেজটি সাপবিষয়ক গবেষণায় সহায়তা করবে। শুধু বাংলাদেশ নয়, বলতে গেলে পৃথিবীতে এই ধরনের ডেটাবেজ প্রথম। পাশাপাশি সাপের কামড়ে কী ধরনের ভেনোম ব্যবহার করা যাবে, কত ধরনের ভেনোম আছে তার সবই আছে এখানে।’
তিনি জানান, বাংলাদেশে অনেক প্রজাতির সাপ আছে সেগুলো সচরাচর দেখতে পাওয়া যায় না। এই ডাটাবেজ থেকে ভবিষৎ প্রজন্ম সাপের প্রজাতি সম্পর্কেও জানতে পারবে।
অধ্যাপক ড. আবু রেজা (ছবি : দৈনিক অধিকার)
প্রকৃতি, খাবার এবং ভৌগলিক পরিবেশের পার্থক্যে একেক প্রজাতির সাপের ভেনোম একেক রকম হয় উল্লেখ করে এই অধ্যাপক বলেন, ‘ভৌগলিক পরিবেশ, খাবারের মানের ভিন্নতার কারণে সাপের বিষের ভেনোম আলাদা হয়। আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারতের সাপের সঙ্গে আমাদের সাপের আকাশ পাতাল পার্থক্য রয়েছে।’
ডাটাবেজ তৈরির উদ্দেশ্য সম্পর্কে ড. রেজা বলেন, ‘আমরা সাধারণত সাপের প্রোটিনের বিভিন্ন দিক খোঁজ করতে এনসিবিআইতে যাই। তার মধ্য থেকে একটি নির্দিষ্ট ভেনোম বের করা কঠিন। আমার ডাটাবেজে গিয়ে যদি কার্ডিওটক্সিন খুঁজে পেতে চাই সেটা খুব সহজ হবে। এখানে প্রায় তিন শতাধিক সাপের ভেনোমের প্রোটিন বিশেষণ করে একটা কাঠামো দেখানো হয়েছে।
ওডি/আরএআর
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড