• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১  |   ২৭ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

ওয়াজেদ মিয়ার মৃত্যুবার্ষিকীতে তিতুমীর কলেজ ছাত্রলীগের দোয়া অনুষ্ঠান

  ক্যাম্পাস প্রতিনিধি

১০ মে ২০১৯, ১৮:০৩
দোয়া মাহফিল
তিতুমীর কলেজ ছাত্রলীগের উদ্যোগে দোয়া মাহফিল (ছবি : সংগৃহীত)

বিশিষ্ট পরমাণু বিজ্ঞানী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বামী ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার আত্মার মাগফেরাত কামনা করে তিতুমীর কলেজে বিশেষ দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। দশম মৃত্যুবার্ষিকীতে তার অবদানের কথা উল্লেখ করে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনা করা হয়। বর্ণাঢ্য কর্মময় জীবনের অধিকারী এই বিজ্ঞানী ২০০৯ সালের ৯ মে ইন্তেকাল করেন।

শুক্রবার (১০ মে) কলেজের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে জুমার নামাজের পর কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নির্দেশে কলেজ ছাত্রলীগের উদ্যোগে এ দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

সরকারি তিতুমীর কলেজের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের পেশ ইমাম মাওলানা আব্দুল আলিমের পরিচালনায় দোয়া ও মিলাদ মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন সরকারি তিতুমীর কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি মো. রিপন মিয়া ও সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হক জুয়েল মোড়ল।

বক্তব্যে তারা পরমাণু বিজ্ঞানী ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার জীবনাচরণ করেন। স্মরণ করেন তার উল্লেখযোগ্য অবদানের কিয়দংশ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জুম্মায় আগত মুসল্লি ও কলেজ ছাত্রলীগের সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা।

উল্লেখ্য, ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া ১৯৪২ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার লালদীঘির ফতেহপুর গ্রামের সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। বাবা আবদুল কাদের মিয়া ও মা ময়েজুন্নেসার চার ছেলে ও তিন মেয়ের মধ্যে ওয়াজেদ মিয়া ছিলেন সর্বকনিষ্ঠ। তিনি ১৯৬১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের স্নাতক (সম্মান) পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণীতে দ্বিতীয় স্থান লাভ করেন এবং ১৯৬২ সালে স্নাতকোত্তর পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণীতে প্রথম হন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালে তিনি ফজলুল হক হলের আবাসিক ছাত্র ছিলেন এবং ছাত্রলীগ মনোনীত প্রার্থী হিসেবে ১৯৬১-৬২ শিক্ষা বছরের জন্য হল ছাত্র সংসদের সহসভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৬২ সালে শিক্ষা কমিশন বিরোধী আন্দোলনে গ্রেফতার হন।

ড. ওয়াজেদ মিয়া বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের চেয়ারম্যান ছিলেন। তিনি ১৯৬৭ সালের ১৭ নভেম্বর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ কন্যা শেখ হাসিনার সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। তাদের এক ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় এবং এক মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল। মৃত্যুর পর শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী পীরগঞ্জ উপজেলার ফতেহপুর গ্রামে বাবা-মায়ের কবরের পাশে তাকে দাফন করা হয়।

ওডি/এমএ

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড