• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১  |   ২৯ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

শাবিপ্রবি শিক্ষক ড. রফিকুল ইসলামের প্রতিবাদলিপির ব্যাখ্যা

  ক্যাম্পাস ডেস্ক

০৯ মে ২০১৯, ১৭:৪৫
শাবিপ্রবি
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (ছবি : সংগৃহীত)

‘শৃঙ্খলা ভঙ্গ, দায়িত্বে অবহেলা : শাবিপ্রবির শিক্ষককে পরীক্ষার দায়িত্ব থেকে ৫ বছরের অব্যাহতি’ শিরোনামে গত ৫ মে দৈনিক অধিকারে একটি সংবাদ প্রকাশ করা হয়। প্রকাশিত সংবাদে বলা হয়, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) পেট্রোলিয়াম অ্যান্ড মাইনিং ইঞ্জিনিয়ারিং (পিএমই) বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো রফিকুল ইসলামকে শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও পরীক্ষা সংক্রান্ত দায়িত্বে অবহেলার জন্য আগামী পাঁচ বছরের জন্য সকল ধরনের পরীক্ষা কার্যক্রমে অংশগ্রহণ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

কিন্ত, দৈনিক অধিকারে প্রকাশিত এ সংবাদের প্রতিবাদে গতকাল (৮ মে) একটি প্রতিবাদলিপি দিয়েছেন শাবিপ্রবির শিক্ষক ড. রফিকুল ইসলাম।

প্রতিবাদলিপিতে প্রকাশিত সংবাদ মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক দাবি করে তিনি বলেন, আমার বিভাগের একজন শিক্ষকের পিএইচডি থিসিস জালিয়াতির বিষয়টি আমি তুলে ধরার কারণে আমার বিরুদ্ধে চলমান বহুমুখী ষড়যন্ত্রের একাংশ হলো আপনার পত্রিকায় প্রকাশিত এ সংবাদটি। আপনার পত্রিকায় সংবাদটি প্রকাশের আগে আমাকে কোনো কিছু জিজ্ঞাসা না করেই একটি বিশেষ মহলের ইঙ্গিতে এবং উদ্দেশ্যপ্রনোদিতভাবে শাবি প্রতিনিধি ‘স্বাক্ষর জালিয়াতি’ শব্দটি ব্যবহার করেছেন, যার সঙ্গে আমার দুরতম কোনো সম্পর্ক নেই। ‘স্বাক্ষর জালিয়াতি’ শব্দটি ব্যবহার করায় আমার সম্মানহানি হয়েছে এবং সামাজিকভাবে আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করা হয়েছে। আমার বিরুদ্ধে এ ধরনের একটি ঘৃনিত শব্দ ব্যবহার করে সংবাদ প্রকাশ করায় আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। প্রকাশিত সংবাদের শেষাংশে ‘সহকর্মীর সঙ্গে অসৌজন্যর্মলক আচরণ’ এ বাক্যাংশটি ব্যবহার করে শাবি প্রতিনিধি আমার প্রতি আরেকটি জঘন্যতম মিথ্যাচার করেছেন।

এছাড়া, প্রতিবাদলিপিতে শাবিপ্রবি প্রতিনিধির বিরুদ্ধে মামলা করার হুমকির বিবৃতি দিয়ে সহযোগী অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলাম জানান, শাবি প্রতিনিধি মূল ঘটনাকে উল্টোভাবে উপস্থাপন করে আমার বিরুদ্ধে এ ধরনের মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করায় আমি আবারও তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। শাবি প্রতিনিধি যদি তার নিজের ভুল স্বীকার করে প্রকাশ্যে লিখিতভাবে ক্ষমা না চায়, তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এ দিকে, প্রকাশিত সংবাদে যে তথ্য দিয়েছেন তার তথ্যসূত্র অনুযায়ী সঠিক তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে বলে দাবি করছেন শাবি প্রতিনিধি।

প্রতিবেদকের দাবি, পরীক্ষায় দায়িত্বে অবহেলার জন্য ড. রফিকুল ইসলামের বিরূদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১২তম সিন্ডিকেট সভায় সকল পরীক্ষা কার্যক্রম থেকে পাঁচ বছরের জন্য অব্যাহতি দেওয়া হয়। যেখানে প্রকাশিত সংবাদে ‘স্বাক্ষর জালিয়াতি’ শব্দটি নিয়ে আপত্তি করেছেন ড. রফিকুল ইসলাম।

কিন্তু সংবাদে ‘স্বাক্ষর জালিয়াতি’ শব্দটি ব্যবহারের কারণ ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে শাবিপ্রবি প্রতিনিধি জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্যেক কোর্সে দুই জন শিক্ষক সংযুক্ত থাকেন। একজন কোর্স শিক্ষক ও অন্যজন অতিরিক্ত শিক্ষক। এখানে একটি ল্যাব কোর্সে ড. রফিকুল ইসলাম কোর্স শিক্ষক ছিলেন।

আর সেই কোর্সে তিনি একটি মাত্র ক্লাস নিয়ে সকল শিক্ষার্থীদের রেজাল্ট বি প্লাস দেন এবং কোর্সের ফল শিটে অতিরিক্ত শিক্ষকের স্বাক্ষর না নিয়ে সেই শিক্ষকের নাম লিখে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বরাবর পাঠিয়ে দেন বলে শাবিপ্রবি প্রতিনিধির কাছে তথ্য রয়েছে। এর প্রেক্ষিতে তার প্রতিবেদনে ‘স্বাক্ষর জালিয়াতি’ শব্দ ব্যবহার করেছেন বলে জানান শাবিপ্রবি প্রতিনিধি।

অন্যদিকে, সংবাদে ‘সহকর্মীর সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ’ শব্দটি ব্যবহারের কারণ ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে শাবিপ্রবি প্রতিনিধি জানান, সহকর্মীর সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণের বিষয়টি হলো- গতবছরের মাঝামাঝি একটি মিটিংয়ে তৎকালীন পিএমই বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. শফিকুল ইসলামের সঙ্গে ড. রফিকুল ইসলামের একটি বিষয়ে দ্বন্দ্ব তৈরি হয়। যা একপর্যায়ে শারিরীক লাঞ্ছনার মতো ঘটনা ঘটে। এর প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১০তম সিন্ডিকেট সভায় সহকর্মীর সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণের জন্য উভয়কেই শাস্তি প্রদান করা হয়। যেখানে ড. শফিকুল ইসলামকে বিভাগীয় প্রধানকে দায়িত্ব থেকে অব্যহতি দেওয়া হয়। পাশাপাশি ড. রফিকুল ইসলামকে শাস্তিস্বরূপ অধ্যাপক হবার যোগ্যতা অর্জন করার পরও একবছর পর্যন্ত পদোন্নতির জন্য আবেদন করতে পারবেন না বলে সিন্ডিকেটে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ বিষয়ে সেই সময় দেশের বিভিন্ন জাতীয় ও আঞ্চলিক অনলাইন ও দৈনিক পত্রিকাতে সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছিল।

ওডি/আরএআর

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড