রাবি প্রতিনিধি
আদালতের নির্দেশকে অমান্য ও তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করা হয়েছে এমন অভিযোগে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) উপাচার্য অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহান, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক এমএ বারীসহ চারজনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২ মে) রাজশাহী সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে মামলাটি দায়ের করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন ও ভূমি প্রশাসন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক শাহরিয়ার পারভেজ। মামলার অন্য দু’জন আসামি হলেন- রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (পক্ষে রেজিস্ট্রার), আইন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম।
জানা যায়, গত ২১ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক এমএ বারী স্বাক্ষরিত একটি চিঠি ইস্যু করে আইন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক রফিকুল ইসলামকে প্রেষণে আইন ও ভূমি প্রশাসন বিভাগে স্বপদে ও স্ব-বেতনে স্থানান্তর করা হয়। সেই সঙ্গে তাকে আইন ও ভূমি প্রশাসন বিভাগের সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয় যা ২৫ এপ্রিল থেকে কার্যকর হওয়ার কথা ছিলো। ড. রফিকুল ইসলামকে সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশ-১৯৭৩ এর ২৯ ধারা ‘দ্য ফাস্ট স্ট্যাটাস অব দ্য ইউনিভার্সিটি’ এর ৩ এর ১ ধারা লঙ্ঘন করার শামিল উল্লেখ করে ২৪ এপ্রিল আদালতের শরণাপন্ন হন মামলার বাদী শাহরিয়ার পারভেজ।
সহযোগী অধ্যাপক শাহরিয়ার পারভেজের আবেদনের প্রেক্ষিতে ২৪ এপ্রিল রাজশাহী সিনিয়র সহকারী জজ আদালত বিভাগে সভাপতি নিয়োগে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন। তবে, ২৫ এপ্রিল নিয়োগ বিধি অনুসারে ড. রফিকুল ইসলাম বিভাগের সভাপতি হিসেবে যোগদান করেন। যোগদানের সময় ড. রফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন আদালতের নিষেধাজ্ঞার কপি হাতে পাওয়ার আগেই তিনি যোগদান করেছেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, আদালতে ৬৭/১৯ নং মোকদ্দমায় বিজ্ঞাপনী ডিক্রী, চিরস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা ও আদেশমূলক নিষেধাজ্ঞার প্রার্থনায় এনেছেন। মোকদ্দমায় অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার দরখাস্তের বিষয়বস্তু পর্যালোচনা করে মামলার ৪জন বিবাদীদের বিরুদ্ধে কারণ দর্শানোর নোটিশসহ অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আদেশ প্রদান করেন। এই আদেশ গত মাসের ২৪ এপ্রিল তারিখে আদালতের পদাতিক নোটিশটি পরের দিন মামলার ১ নম্বর বিবাদীর কর্তৃপক্ষের কাছে জারি করার জন্য নিয়ে আসলে আদালতের প্রতি অবজ্ঞা, তুচ্ছ, তাচ্ছিল্যতার ভাব প্রকাশ করেন।
একইসঙ্গে কালক্ষেপণ করে পদাতিকের নোটিশের স্বাক্ষর করে তাকে তাড়িয়ে দেয় এবং ১ নম্বর বিবাদী সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা, কর্মচারীগণ হাসাহাসি ঠাট্টা বিদ্রূপ সুলভ ব্যবহার করেন। এর মাধ্যমে আদালতের অবমাননা করা হয়েছে।
এ বিষয়ে মামলার বাদী সহযোগী অধ্যাপক শাহরিয়ার পারভেজ বলেন, ‘আদালত অবমাননার কারণে মামলা করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় যেহেতু একটি প্রতিষ্ঠান সেজন্য এর পক্ষে রেজিস্ট্রারের নামে মামলা করা হয়েছে। এছাড়াও উপাচার্য, রেজিস্ট্রার ও নিয়োগ পাওয়া সভাপতির নাম উল্লেখ করে মোট চারজনকে বিবাদী করে মামলা করা হয়েছে।’
এ বিষয়ে রেজিস্ট্রার অধ্যাপক এমএ বারী বলেন, ‘কি বিষয়ে মামলা হয়েছে জানি না। মামলার বিষয়গুলো বিশ্ববিদ্যালয়ের লিগ্যাল সেল দেখাশোনা করে।’
তবে এ বিষয়ে লিগ্যাল সেলের প্রশাসক অধ্যাপক শাহীন জোহরা সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি তাৎক্ষণিক কোনো তথ্য দিতে পারেনি। উপাচার্যকে একাধিকবার ফোন করা হলে তার মোবাইল নম্বরটি বন্ধ পাওয়া গেছে।
ওডি/এমএ
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড