ইউজিসির অনুমোদন পেল জাবির ইনস্টিটিউট অব রিমোট সেনসিং

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) অনুমোদন পেয়েছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ইনস্টিটিউট অব রিমোট সেনসিং।

রবিবার (২৮ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন থেকে পাঠানো এক চিঠির মাধ্যমে এই অনুমোদন দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইনস্টিটিউটটির খণ্ডকালীন শিক্ষক মুনীর মাহমুদ।

তিনি বলেন, ‘দীর্ঘ দিন ধরে আমরা দেশের রিমোট সেনসিং প্রযুক্তি প্রসারে কাজ করে আসছি। এতদিন বিভিন্ন কারণে আমাদের অনুমোদন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনে আটকে ছিল। কিন্তু আজ (রবিবার) ইউজিসি আনুষ্ঠানিকভাবে আমাদের ইনস্টিটিউটটির অনুমোদন দিয়েছে। এখন থেকে ইনস্টিটিউটের অধীনে অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম- স্নাতকোত্তর, এমফিল, পিএইচডি ইত্যাদি উচ্চতর ডিগ্রি পর্যায়ে সীমাবদ্ধ রাখা হবে এবং স্নাতক পর্যায়ে কোনো শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে না। এছাড়া বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদ্যমান বিভিন্ন অ্যাকাডেমিক ডিসিপ্লিনের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা সম্পৃক্ত থাকতে পারবে।’

প্রসঙ্গত, স্বাধীনতা পরবর্তী বাংলাদেশে দুর্যোগ পূর্বাভাস, কৃত্রিম উপগ্রহ থেকে সরাসরি আবহাওয়া চিত্র অবলোকন, মহাকাশ গবেষণা, কৃত্রিম উপগ্রহ থেকে প্রাপ্ত চিত্রের মাধ্যমে ভূ-প্রাকৃতিক পরিবর্তন বিশ্লেষণ এবং বায়ুমণ্ডলীয় গবেষণা করার নিমিত্তে বঙ্গবন্ধুর প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় ১৯৭২ সালে বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনে মহাকাশ ও বায়ুমণ্ডলীয় গবেষণা কেন্দ্র স্পেস অ্যান্ড অ্যাটমোস্ফিয়ার রিসার্চ সেন্টার (এসএআরসি) প্রতিষ্ঠা করা হয় এবং পরবর্তীতে বঙ্গবন্ধু অটোমেটিক পিকচার ট্রান্সমিশন (এপিটি) গ্রাউন্ড স্টেশনটিকে এর আওতায় নিয়ে আসা হয়।

ভূমি সম্পদ পর্যবেক্ষণে সক্ষম কৃত্রিম উপগ্রহ আবিষ্কারের পর ১৯৭৩ সালে বঙ্গবন্ধু সরকার আর্থ রিসার্চ টেকনোলজি স্যাটেলাইট (ইআরটিএস) নামে একটি কর্মসূচি গ্রহণ করেন যা পরবর্তীতে বাংলাদেশ ল্যান্ড স্যাটেলাইট প্রোগ্রাম (বিএলপি) নামকরণ করে ১৯৮০ সালে এসএআরসির সঙ্গে একত্র করে স্পারসো গঠিত হয়।

স্পারসো প্রতিষ্ঠার পরপরই এর রক্ষণাবেক্ষণ, এ সংক্রান্ত গবেষণা ও দক্ষ মানব সম্পদ সৃষ্টির লক্ষ্যে ১৯৮২ সালে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ইনস্টিটিউট অব রিমোট সেনসিং প্রতিষ্ঠিত হয়। কিন্তু বিভিন্ন কারণে এটি পূর্ণ উদ্যমে কাজ শুরু করতে পারেনি।

পরবর্তীতে ইনস্টিটিউটটি ২০১৭ সালে নতুনভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ও সিন্ডিকেট থেকে অনুমোদন গ্রহণ করে এবং এরপর থেকে ইনস্টিটিউটটি শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রমে কৃত্রিম উপগ্রহ থেকে প্রাপ্ত তথ্য ব্যবহারে বিজ্ঞানী ও গবেষকদের আগ্রহী ও অনুপ্রাণিত করতে কাজ করে চলেছে।

প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান অনুষদের একটি কক্ষে এর কার্যক্রম পরিচালিত হলেও বর্তমানে পুরাতন রেজিস্ট্রার ভবনের নিচতলায় এর কার্যক্রম চলছে।

ওডি/এসএসকে