• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১  |   ২৮ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে চৈত্র সংক্রান্তির নানা আয়োজন

  জাককানইবি প্রতিনিধি

১৪ এপ্রিল ২০১৯, ০৮:৪৬
জাককানইবি
‘শেষের চৈত্রদিন-১৪২৫’ (ছবি : সংগৃহীত)

বাংলা সনের শেষ মাস চৈত্র, চৈত্রের শেষ দিনটিকে চৈত্রসংক্রান্তি বলা হয়। দেশীয় লোকাচার অনুযায়ী বিদায় উৎসব পালন করা হয়ে থাকে, যা বাঙ্গালি জীবনে অত্যন্ত গুরুত্ব বহন করে। চৈত্র-সংক্রান্তির দিনের সূর্যাস্তের মধ্যে দিয়ে কালের গর্ভে চিরতরে হারিয়ে যাবে আরেকটি বঙ্গাব্দ। লোকজ ঐতিহ্যবাহী বিভিন্ন সংস্কৃতিকে লালন করে আসা বাঙালি যেমন মুখিয়ে থাকে বাংলা নববর্ষকে স্বাগত জানাতে ঠিক তেমনি তাদের কার্পণ্য থাকে না নানা উৎসব পার্বণে বাংলা সনের শেষ দিনটিকে বিদায় দিতে।

প্রতিবারের ন্যায় জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় (জাককানইবি) বিদায় জানাল দিনটিকে। বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয়ভাবে ও পৃথকভাবে বেশ কয়েকটি বিভাগের ছিল বিদায়ের নানা আয়োজন।

ফোকলোর বিভাগের আয়োজনে চৈত্র সংক্রান্তি উপলক্ষে অনুষ্ঠিত হয়েছে ‘শেষের চৈত্রদিন-১৪২৫’।

শনিবার (১৩ এপ্রিল) বিকাল ৪টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ ভবনের ৫ম তলায় শিক্ষক লাউঞ্জ রুমে শুরু হয় অনুষ্ঠানটি। বিভাগের বিভাগীয় প্রধান সহকারী অধ্যাপক মো. বাকীবিল্লাহ (সাকার মুস্তফা) অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন। বিভাগের অন্যান্য শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ছাড়াও অন্যান্য বিভাগের শিক্ষার্থীরা অনুষ্ঠান উপভোগ করে।

জাককানইবি

উপস্থিত অতিথিরা অনুষ্ঠানের সূচনা করেন। উপস্থিত দর্শকদের এ সময় মুড়ি ও মিষ্টান্ন দিয়ে আপ্যায়ন করা হয়। নাচ, গান, কবিতা আবৃত্তি, পুঁথি পাঠ ও গ্রামীণ পোশাকের র‍্যাম্প শোসহ নানা আয়োজনে প্রাণবন্ত ছিল চৈত্র শেষের দিনের অনুষ্ঠানটি। পরে বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা শেখ রাসেল কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে ঘুড়ি উড়িয়ে আনন্দোৎসব পালন করে।

চারুকলা বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী দীপঙ্কর বৈরাগীর নির্দেশনায় চারুকলা বিভাগের শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় ৪র্থ বারের মতো আয়োজিত হয়ে গেলো দক্ষিণ খুলনার ঐতিহ্যবাহী নৃত্যপালা ‘ভাঙর গৌরির নৃত্য’।

বিকাল ৫টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের চির উন্নত মম শির স্মৃতিস্তম্ভের পেছনের খোলা মাঠে দক্ষিণ খুলনার ঐতিহ্যবাহী এই নৃত্যপালা অনুষ্ঠিত হয়। নৃত্যপালায় এ সময় কৃষ্ণলীলা, তারকানাথের মানসকন্যা, অভিমূন্য বধ, সীতাহরণ, জগাই-মাধাই, মহিষাসুর বধ, তারকনাথের মানসকন্যা, নিধু বনে কৃষ্ণকালী ও তাড়কা বধ পরিবেশিত হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ে উদযাপিত গেল বৈশাখগুলোর আয়োজন নিয়ে শাহরিয়ার আহমেদ ফাহিমের নির্দেশনায় এবং রাদ আহমেদ ফুয়াদ ও এমকেআর রোমেলের সহযোগিতায় পরিবেশিত হয় ডকুমেন্টরি ‘অপেক্ষা’। ১৪২৫কে বিদায় জানিয়ে ১৪২৬কে স্বাগত জানানোই মূল প্রয়াস ছিল বলে জানান ফাহিম।

এরপর সন্ধ্যা ৭টায় প্রতিবছরের ধারাকে অব্যাহত রেখে এবারও উদযাপিত হয় ফানুশ উৎসব। ফানুশ উৎসব শেষে আমিনুর রহমান সুলতান রচিত এবং নাট্যকলা ও পরিবেশনা বিদ্যা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আল জাবিরের নির্দেশনায় বিভাগের শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় পরিবেশিত হয় ঐতিহ্যবাহী যাত্রাপালা ‘জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু’।

জাককানইবি

এর আগে সকাল থেকে নজরুল স্মৃতি জাদুঘরে সারাদিনব্যাপী অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বাংলা ভাষা ও সাহিত্য বিভাগ। এছাড়া, রাত ৮টা ৩০ মিনিট থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন রাস্তায় আলপনা আঁকা শুরু করে লোকপ্রশাসন ও সরকার পরিচালন বিদ্যা বিভাগের ১২তম আবর্তনের শিক্ষার্থীরা।

এসব আনন্দ উৎসবের মাঝে নতুন মাত্রা যোগ করেছে বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থী ও সংগঠনগুলো কর্তৃক গড়ে ওঠা স্টলগুলো। বৈশাখী বিভিন্ন খেলনা, খাবার ও ঐতিহ্যবাহী উপাদানের বেচাকেনার মাধ্যমে তারাও উদ্যোক্তা বনে গেছেন। স্টলগুলো স্থাপন করা হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ে এবারের বৈশাখ উদযাপন কমিটির উদ্যোগে।

ওডি/আরএআর

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড