মামুন সোহাগ, জিটিসি প্রতিনিধি
রাজধানী ঢাকার অন্যতম ব্যস্ততম কলেজ ক্যাম্পাস তিতুমীর কলেজ। শিক্ষার্থীর দিক থেকে অপ্রতুল থাকলেও অন্যান্য সুযোগসুবিধা নেই তিতুমীরে। প্রায় ৬৩ হাজার শিক্ষার্থীর ঐতিহ্যবাহী এ কলেজে নেই কোনো ক্যান্টিন।
বাধ্য হয়ে শিক্ষার্থীরা কলেজের সামনের বিভিন্ন রেস্তোরা, ফুটপাতের ভ্রাম্যমান দোকান থেকে নিম্নমানের খাবার খাচ্ছে। যার মধ্যে রয়েছে- ফুচকা, বেলপুরি, সিঙ্গারা, সমুচা ইত্যাদি। এসব মুখরোচক খাবার নিম্নমানের তেলে ভাজা যা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর। বিশেষজ্ঞরা এসব খাবার খেতে নিষেধ করলেও নিরুপায় হয়ে কলেজে ক্যান্টিন না থাকায় শিক্ষার্থীরা ছুটছে সেসব খেতে।
অন্যদিকে, কলেজের একমাত্র ছাত্রাবাসেও খাবারের তেমন সুব্যবস্থা নেই। নেই পর্যাপ্ত লাইট ও ফ্যান। কালেভদ্রে খাবারের ব্যবস্থা করলেও তা খুবই নিম্নমানের তবে দাম খুব চড়া। তাই আবাসিক শিক্ষার্থীরা বাধ্য হয়েই হলের আশেপাশের বিভিন্ন রেস্তোরায় চড়া দামে খাবার খেতে বাধ্য হচ্ছে। প্রশাসন যেন দেখেও না দেখার ভান করছে। বার বার এসব সমস্যার সমাধানের আশ্বাস দিলেও বাস্তবে এর কোনো প্রতিকার নেই।
২য় বর্ষের শিক্ষার্থী রাকিব মুনতাসির বলেন, ‘ক্লাস শেষে দুপুরবেলা সিঙ্গারা, সমুচা খেতে মোটেই ভালো লাগে না, কিন্তু কী আর করা। কলেজে তো ক্যান্টিন নেই। বাধ্য হয়ে ওসব খাবার খেতে হয়। কলেজে একটা ক্যান্টিন খুবই জরুরি হয়ে পড়েছে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সমাজবিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক তালাত সুলতানা দৈনিক অধিকারকে জানান, ‘কলেজে ক্যান্টিন থাকলে শুধু শিক্ষার্থীরা নয়, শিক্ষকরাও উপকৃত হবে। আমাদেরও মাঝে মাঝে বাধ্য হয়ে সেসব অস্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হয়। শিক্ষক-শিক্ষার্থী সবার কথা বিবেচনায় এনে দ্রুত একটি ক্যান্টিনের ব্যবস্থা করা উচিত।
অধ্যক্ষ অধ্যাপক আশরাফ হোসেন বলেন, ‘আমাদের কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে। তবে হলের ডাইনিং এ খাবারের মান বৃদ্ধি ও পরিবেশ আরো উন্নয়নে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
ওডি/আরএআর
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড