• বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩৬ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

আন্তর্জাতিক কনফারেন্সে অধ্যাপক আবদুল মান্নান

‘যারা ইতিহাস পড়ে না তারা মূলত শিকড় বিহীন প্রজন্ম’

  জবি প্রতিনিধি

১৬ মার্চ ২০১৯, ১১:২০
সেমিনার
‘দক্ষিণ এশিয়ায় রাষ্ট্র এবং সমাজ : ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপাট’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক সেমিনার (ছবি : সংগৃহীত)

যারা ইতিহাস পড়ে না তারা মূলত শিকড় বিহীন প্রজন্ম। রাষ্ট্রকে সঠিকভাবে জানতে হলে তার ইতিহাস নিয়ে গবেষণা করা জরুরি।

শুক্রবার (১৫ মার্চ) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগ ও ভারতের কলকাতার ‘মওলানা আবুল কালাম আজাদ ইনস্টিটিউট অব এশিয়ান স্টাডিজ’ এর যৌথ উদ্যোগে দুই দিনব্যাপী ‘দক্ষিণ এশিয়ায় রাষ্ট্র এবং সমাজ : ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক কনফারেন্সে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান এ কথা বলেন।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তন, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সেমিনার কক্ষে, অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের সেমিনার কক্ষে কনফারেন্সটি অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক আবদুল মান্নান আরও বলেন, 'বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর ধ্বংসাত্মক সকল কিছু থেকে উন্নয়নের মহাসড়কে ওঠা নিয়ে দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞরা সন্দিহান ছিলেন। কিন্তু বঙ্গবন্ধু নিজস্ব জনশক্তি নিয়ে আত্মবিশ্বাসী ছিলেন যে, দেশ একদিন এগিয়ে যাবেই। বর্তমান প্রেক্ষিতে যে কোনো দুর্যোগে অন্য দেশ থেকে সাহায্য পাঠাবে এই আকাঙ্ক্ষায় তীর্থের কাকের মতো বাংলাদেশের এখন আর অপেক্ষা করতে কিংবা এর প্রয়োজন হয় না।'

তিনি আরও বলেন, 'গ্রামীণ বাংলাদেশ এখন অতীত। উন্নয়ন এবং প্রযুক্তির ছোঁয়া দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে। নারীরা বর্তমানে কর্মক্ষেত্রের সকল পদেই বিচরণ করছেন, নেতৃত্ব দিচ্ছেন, এমনকি বর্তমানে আমাদের বিজি ৭৮৭ বোয়িং এয়ারক্রাফটের ক্রু সদস্য সবাই নারী। এটা দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর জন্য একটি অনন্য দৃষ্টান্ত।'

সভাপতির বক্তব্যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান বলেন, 'আমরা যত নতুন কিছুর সাথেই পরিচিত হচ্ছি, ইতিহাস ঘাটলে দেখা যাবে যে এগুলোর ব্যাপ্তি আগেও ছিল। কোনো জাতির সঠিক উৎস ও অস্তিত্ব সম্পর্কে জানতে ইতিহাস গবেষণার গুরুত্ব অত্যন্ত বেশি'।

উদ্বোধনী সেশনে কি-নোট প্রদান করেন ভারত সরকারের প্রাক্তন পররাষ্ট্র সচিব ও কাউন্সিল ফর সোশ্যাল ডেভেলপমেন্টের (নতুন দিল্লী, ভারত) প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক মুচকুন্দ দুবে এবং বাংলাদেশের জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন-অর-রশিদ।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন কনফারেন্সের কো-অর্ডিনেটর ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সেলিম এবং ধন্যবাদ জ্ঞাপনে বক্তব্য রাখেন ইতিহাস বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. শামসুন নাহার।

কনফারেন্সে আরও বক্তব্য প্রদান করেন- ভারতের নতুন দিল্লীর জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর হিস্টোরিক্যাল স্টাডিজ এর অধ্যাপক ড. সুচিত্রা মাহাজন, ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক আফসান চৌধুরী এবং জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর সাউথ এশিয়ান স্টাডিজ বিভাগের চেয়ারপার্সন অধ্যাপক ড. সঞ্জয় কে ভারদোয়াজ।

উল্লেখ্য, দুই দিনব্যাপী এই আন্তর্জাতিক কনফারেন্সে বাংলাদেশ, ভারত, শ্রীলংকা ও ভুটান এর বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের গবেষক ও শিক্ষকের প্রায় ৬৪টি গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপিত হবে। প্রথম দিনের চারটি সেশনে ৩২ টি গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপিত হয়।

আরএআর

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড