• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১  |   ২৮ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

উদ্বোধন করলেন উপাচার্য

চবিতে 'বঙ্গবন্ধু চেয়ার' এর দায়িত্ব নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া!

  চবি প্রতিনিধি

০৭ মার্চ ২০১৯, ২৩:৫৮
বঙ্গবন্ধু চেয়ার
বঙ্গবন্ধু চেয়ার' এর উদ্বোধন (ছবি : সংগৃহীত)

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) 'বঙ্গবন্ধু চেয়ার' এর (গবেষণা কেন্দ্র) উদ্বোধন করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) সকাল ১২ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির তৃতীয় তলায় উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী এর উদ্বোধন করেন। এতে দায়িত্ব নেন স্বয়ং উপাচার্য। উপাচার্যের এ দায়িত্ব নেওয়া নিয়ে দেখা দিয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া।

বিষয়টি যথাযথ প্রক্রিয়ায় সম্পন্ন হয়নি মনে করে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশ নেননি বিশ্ববিদ্যালয় উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার।

উদ্বোধন শেষে উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, 'চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘বঙ্গবন্ধু চেয়ার’ প্রতিষ্ঠা একটি অবিস্মরণীয় উদ্যোগ। যারা এ নীতিমালা করেছেন তারাই আমাকে এই চেয়ার মনোনীত করেছেন। আমি তাঁদের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে এ দায়িত্ব নিয়েছি। যারা নীতিমালা প্রণয়ন করেছে, তারা যদি মনে করেন এই চেয়ার আমাকে দেবে সেক্ষেত্রে কোনো বিতর্ক থাকতে পারে না। আমিও চাই যে এটা নিয়ে কোনো বিতর্ক না হোক। যারা বঙ্গবন্ধু এবং বঙ্গবন্ধু চেয়ারকে নিয়ে বিতর্ক করতে চায় তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা করা হবে।'

তিনি আরও বলেন, 'বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে গবেষণার জন্য আর্থিক সুযোগ-সুবিধা আমার প্রয়োজন নাই। আমি বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে লেখালেখি করে আসছি এবং গত ১০-১২ বছর ধরে দেশের বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় লেখালেখি করছি। যা আমার কাছে সংরক্ষিত আছে।'

এ বিষয়ে চবি উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার বলেন, 'এ দায়িত্ব কাউকে দিতে হলে বিষয়টি অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলে এবং সিন্ডিকেটে পাশ হতে হয়। কিন্তু এ সবের কোন কিছুই মানা হয়নি এখানে। শুধুমাত্র এ পদ পরিচালনা এবং এর বাজেট নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। তাছাড়া নীতিমালা তৈরি হওয়ার পর অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের কোনো মতামত না নিয়ে সিন্ডিকেটে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। যেটা সম্পূর্ণ নিয়ম বহির্ভূত।'

তিনি আরও বলেন, 'আমি উপাচার্য মহোদয়কে ব্যক্তিগত ভাবে বলেছি ‘আপনার সাথে প্রায় চার বছর দায়িত্ব পালন কালে কোন মতপার্থক্য দেখা দেয়নি তবে এই বিষয়টিতে বঙ্গবন্ধুর নাম জড়িয়ে আছে তাই এখানকার কোন অনিয়ম আমি মেনে নিতে পারি না। তাছাড়া আপনি তো এক দেড় বছর ধরে বঙ্গবন্ধু নিয়ে লেখালেখি করছেন। তাই আপনার থেকে যারা এ বিষয়ে এগিয়ে তাদের কাউকে নিয়োগ দেন।’

বিষয়টি যথাযথ প্রক্রিয়ায় সম্পন্ন হয়নি বলে সিন্ডিকেট সদস্য ও আওয়ামী বামপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন হলুদ দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. সুলতান আহমেদ বলেন, 'সিন্ডিকেটে বঙ্গবন্ধু চেয়ারে কারো নিয়োগের ব্যাপারে আলোচনা হয়নি। শুধুমাত্র এ পদ পরিচালনার জন্য যে নীতিমালা প্রয়োজন তা অনুমোদন করা হয়েছিল। যেহেতু বিষয়টি রিপোর্ট আকারে সিন্ডিকেটে আনা হয়েছে সেহেতু এ বিষয়ে বিশদ আলোচনা করা সম্ভব হয়নি। তবে বিষয়টি এজেন্ডা না করে সিন্ডিকেটে রিপোর্ট হিসেবে আনায় দুই সিন্ডিকেট সদস্য নোট অব ডিসেন্ট দেন। আর বঙ্গবন্ধু চেয়ারের অনুমোদনের ব্যাপারে অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল সুপারিশ করেছিল কিন্তু নীতিমালা তৈরি হওয়ার পর অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের কোনো মতামত না নিয়ে সরাসরি সিন্ডিকেটে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।'

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অপর এক সিন্ডিকেট সদস্য দৈনিক অধিকারকে জানান, 'উপাচার্য ৫২০তম সিন্ডিকেট সভায় এর নীতিমালা রিপোর্ট আকারে দিয়েছেন। সাধারণ এজেন্ডা আকারে দেননি। আর রিপোর্ট আকারে দিলে আলোচনার সুযোগ কম থাকে। আসলে বলতে গেলে এটার জন্য সম্পূর্ণ নিয়মতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়নি।'

উল্লেখ্য, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘বঙ্গবন্ধু চেয়ার’ পদের নীতিমালার ২-এর ‘ঘ’ অনুচ্ছেদে লেখা আছে ‘জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন ও কীর্তি, রাজনীতি, আদর্শ ও কর্ম এবং ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ, বাংলার ইতিহাস-ঐতিহ্য-সংস্কৃতি বিষয়ে একাধারে ২০ বছর গবেষণা/লেখালেখি হিসেবে স্বীকৃত/আন্তর্জাতিক মানের প্রকাশনা হিসেবে অন্তত ১০টি নিবন্ধ/প্রবন্ধ/বুক চ্যাপ্টার থাকতে হবে।’

পাশাপাশি ৩ অনুচ্ছেদে দায়িত্বের ‘ঙ’-তে বলা হয়েছে, ‘বঙ্গবন্ধু চেয়ার পদে নিয়োগপ্রাপ্ত অধ্যাপক এ বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মিত অধ্যাপকগণের অন্তর্ভুক্ত হবেন না এবং পদাধিকার বলে অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের সদস্য হতে পারবেন না।’

এমএ

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড