শেকৃবিতে অসচ্ছল মেধাবী শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদান

শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শেকৃবি) অধ্যয়নরত অসচ্ছল মেধাবী শিক্ষার্থীদেরকে শিক্ষা বৃত্তি দিয়েছে কামাল-মমতাজ মেমোরিয়াল ট্রাস্ট।

মঙ্গলবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় অডিটোরিয়ামে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি আনুষ্ঠানিকভাবে শিক্ষার্থীদের হাতে এ শিক্ষা বৃত্তির চেক তুলে দেন।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দিন আহাম্মদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। বিশেষ অতিথি ছিলেন- বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. সেকেন্দার আলী, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো আনোয়ারুল হক বেগ, বিশিষ্ট কৃষি বিজ্ঞানী ড. আব্দুল করিম।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন- ট্রাস্টের প্রধান পৃষ্ঠপোষক নিলুফার আহমেদ করিম, অধ্যাপক ড. মো. মিজানুর রহমান। এ ধরনের কার্যক্রমের জন্য কামাল-মমতাজ ট্রাস্টের পৃষ্ঠপোষকদের সাধুবাদ জানান শিক্ষা মন্ত্রী ডা. দীপু মনি। বৃত্তি পাওয়া শিক্ষার্থীরা যেনো জাতির প্রত্যাশার প্রতিফলন ঘটান, এ আহ্বানও জানান তিনি। এছাড়া দেশে কোনো ছেলে-মেয়ে টাকার অভাবে যাতে লেখাপড়া থেকে বঞ্চিত না হয় সেজন্য মেধাবীদের সহায়তায় এ ধরণের উদ্যোগ নিয়ে এগিয়ে আসার জন্য বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রতি আহ্বান জানান ডা. দীপু মনি।

তিনি অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের জন্য কর্পোরেট হাউসে ‘শিক্ষা ঋণ’ এবং ‘পেইড ইন্টার্নশিপ’ প্রোগ্রাম চালুর ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

শিক্ষামন্ত্রীর হাত থেকে বৃত্তি গ্রহণ করছেন এক শিক্ষার্থী (ছবি : দৈনিক অধিকার)

পৃষ্ঠপোষক নিলুফার আহমেদ করিম বলেন, 'যাদের আমরা বৃত্তি প্রদান করেছি তারা যেনো তা সঠিকভাবে কাজে লাগাতে ও সমৃদ্ধি অর্জন করতে পারে। তারা যেনো অসৎ পথে কোনো উপার্জন না করে। আমরা চাই তারা প্রতিষ্ঠিত হোক।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দিন আহাম্মদ বলেন, 'অসচ্ছল মেধাবী শিক্ষার্থীদের এ ধরনের বৃত্তি প্রদান করতে পেরে আমরা বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার গর্বিত ও আনন্দিত। এ ধরনের সহযোগিতার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মনোবল আরও বৃদ্ধি পাবে এবং তারা শিক্ষা জীবন শেষে দেশ ও জাতির কল্যাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে এ ধরনের বৃত্তি ব্যবস্থা চালু করায় তিনি পৃষ্ঠপোষকদের ধন্যবাদ জানান।

শিক্ষার্থী মোহাম্মদ সোলেমান হোসেন বলেন, 'টাকার পরিমাণ সামান্য হলেও তা আমাদের খুব উপকারে আসবে। আশা করি, সামনের দিনগুলোতে তারা আমাদের পাশে থাকবেন। আমরা কখনো এ ঋণ শোধ করতে পারবো না।'