‘সন্তানরা র্যাগিংয়ের শিকার হচ্ছে জানলে বাবারা কি স্বাভাবিক থাকতে পারেন’
জাবি প্রতিনিধি
বাংলাদেশের সব মানুষ আমরা একই পরিবারের অন্তভুক্ত। গ্রাম থেকে একজন বাবা কত কষ্ট করে তার সন্তানকে এই বিদ্যাপিঠে পাঠিয়েছেন। তিনি যদি জানতে পারেন এখানে তার সন্তান র্যাগিংয়ে নামের নির্যাতনে শিকার হচ্ছে। তখন তিনি কি স্বাভাবিক থাকতে পারবেন বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য অধ্যাপক এম শাহ্ নওয়াজ আলি।
সোমবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে র্যাগিং বন্ধে সচেতনতা বাড়াতে অনুষ্ঠিত র্যালির উদ্বোধনকালে তিনি এ কথা বলেন।
এ সময় তিনি আরও বলেন, ‘র্যাগিং শিক্ষা-সংস্কৃতি ও মানবিক চরিত্রের সঙ্গে বেমানান। তোমরা ভালো বিষয়গুলো গ্রহণ আর খারাপ বিষয়গুলো বর্জন কর। র্যাগিং বন্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের নেতৃত্বে র্যালিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অমর একুশের পাদদেশ থেকে শুরু হয়ে ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ স্থান প্রদক্ষিণ করে বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের সামনে গিয়ে শেষ হয়।
শোভাযাত্রা শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম বলেন, আমাদের কিছু সীমাবন্ধতা থাকার কারণে বর্তমানে সব শিক্ষার্থীকে হলে সিট দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। তবে আমাদের যে উন্নয়ন বাজেট এসেছে তাতে হল নির্মাণ করা হবে। আমরা আশা করছি, দেড় বছরের মধ্যে সিট সমস্যার সমাধান হবে ও একটি সুন্দর পরিবেশ পাব। যা র্যাগিং বন্ধে অনেককাংশে ভূমিকা পালন করবে। আমরা সবার সহযোগিতা পেলে র্যাগিংমুক্ত ক্যাম্পাস উপহার দিতে পারব।
র্যালিতে অন্যান্যদের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক নুরুল আলম, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মো. আমির হোসেন, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক শেখ মো. মনজুরুল হক, লাইব্রেবির পরিচালক অধ্যাপক মুহাম্মদ হানিফ আলী, ছাত্র কল্যাণ ও পরামর্শ দান কেন্দ্রের পরিচালক অধ্যাপক রাশেদা আখতার, ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের পরিচালক অধ্যাপক বশির আহমেদ, প্রভোস্ট কমিটির সভাপতি অধ্যাপক সোহেল আহমেদ, অধ্যাপক আব্দুল মান্নান, অধ্যাপক ফরহাদ হোসেন, অধ্যাপক মজিবর রহমান, অধ্যাপক আব্দুল্লাহ হেল কাফি, জাবির ছাত্রলীগ শাখার সভাপতি জুয়েল রানাসহ বিভিন্ন অনুষদের ডিন, হল প্রাধ্যক্ষ, রেজিস্ট্রার, প্রক্টরসহ শিক্ষক-শিক্ষার্থী কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
এ দিকে, র্যালি শুরুর আগে চকবাজারে অগ্নিকাণ্ডে নিহতদের স্মরণে কালো ব্যাচ ধারণ করে এক মিনিটি নিরবতা পালন করা হয়। একই সঙ্গে দোআর মাধ্যমে নিহতের মাগফিরাত কামনা করা হয়।
আরও পড়ুন : নোয়াখালী প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় সমাবর্তন সম্পন্ন
