জাবিতে জার্নালিজম বিভাগের নবীন বরণ ও বিদায় সংবর্ধনা

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) জার্নালিজম অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের নবীন বরণ ও বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

‘গণমাধ্যম, প্রযুক্তি ও সম্ভাবনা’ প্রতিপাদ্যকে ধারণ করে শনিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জহির রায়হান অডিটোরিয়ামের সেমিনার কক্ষে জাতীয় সঙ্গীতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করা হয়।

বিভাগের সভাপতি উজ্জ্বল কুমার মণ্ডলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ডিবিসি নিউজের সম্পাদক জায়েদুল আহসান পিন্টু। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কলা ও মানবিকী অনুষদের সাবেক ডিন অধ্যাপক সৈয়দ মোহাম্মদ কামরুল আহসান।

বিদায়ী শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে জায়েদুল আহসান পিন্টু বলেন, 'তোমরা যারা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক জীবনের গণ্ডি পেরিয়েছো প্রকৃতপক্ষে পড়াশোনার সময় কেবল তোমাদের শুরু হয়েছে। এখানে পড়াশোনা করেছো শুধু পাশ করার জন্য, এরপর পড়াশোনা শুরু হবে ক্যারিয়ার গড়ার জন্য। যেকোনো পেশায় উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ গড়তে হলে অনেক পড়াশোনা করতে হয়। সাংবাদিকতায়ও ভালো করতে হলে পড়াশোনার বিকল্প নেই।'

সাংবাদিকতা বিভাগের সকল শিক্ষার্থীর উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘সাংবাদিকতার ছাত্রদের অবশ্যই তথ্য সমৃদ্ধ হতে হবে। কর্ম জীবনে সৎ ও পরিশ্রমী হতে হবে। প্রযুক্তির এই যুগে যাচাই বাছাই ছাড়া কোনো তথ্য প্রকাশ বা শেয়ার দেয়া যাবে না। ভুল তথ্য প্রকাশের মাধ্যমে কেউ যেনো বিভ্রান্ত না হয়। একটি তথ্য সারা জীবনের বর্জ্য, নানা কারণে রিউমার ছড়ানো হয়, তাই এ ব্যাপারে সাবধান হতে হবে। সত্যি না জানলে চুপ থাকতে হবে, কিন্তু মিথ্যা বলা যাবে না।’

অধ্যাপক কামরুল আহসান তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘মাত্র চারজন শিক্ষক নিয়ে বিভাগের যাত্রা শুরু হয়েছিলো। আজ বিভাগটি প্রায় স্বয়ংসম্পূর্ণ। বিভাগের এই তরুণ শিক্ষকদের পরিশ্রম ও আপ্রাণ চেষ্টার মাধ্যমে বিভাগে কোনো সেশনজট তৈরি হতে না দেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে অন্যতম একটি দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।'

তিনি আরও বলেন, 'মাল্টিডিসিপ্লিনারি নেচারের সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা অনেক বেশি তথ্যসমৃদ্ধ থাকে। এখানে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন ডিসিপ্লিনের তথ্য সংগ্রহ করতে হয়। তথ্যসমৃদ্ধতার কারণে বিভাগের শিক্ষার্থীরা অনেক দূরে এগিয়ে যেতে পারবে।’

উদ্বোধন ও আলোচনা পর্ব শেষে বিভাগ প্রতিষ্ঠার ইতিহাস ও বিভিন্ন স্মৃতি নিয়ে নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। অনুষ্ঠানে বিভাগের সকল শিক্ষকবৃন্দ ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়াও দিনব্যাপী নানা আয়োজনের মধ্যে ছিলো- দুপুর ৩টায় বিদায়ী শিক্ষার্থীদের স্মৃতিচারণ এবং সবশেষে সন্ধ্যায় শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।