• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১  |   ২৮ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

৮ পদে বাকৃবি শিক্ষক সমিতির নির্বাচন

  বাকৃবি প্রতিনিধি

২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৩:৩৩
বাকৃবি
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তিযুদ্ধের ভাস্কর্য ‘বিজয় ’৭১ (ছবি : দৈনিক অধিকার)

আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি সোমবার বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) ২০১৯ সালের শিক্ষক সমিতির নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। বর্তমান শিক্ষক সমিতির সভাপতি এবং নির্বাচনের প্রিজাইডিং অফিসার অধ্যাপক ড. এ এস মাহফুজুল বারির স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। শিক্ষক সমিতির নির্বাচনে ১৫টি পদের ৭টিতেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হয়েছে গণতান্ত্রিক শিক্ষক ফোরাম।

নির্বাচন হবে সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও ৬টি সদস্য পদে। এর পূর্বে গেল ১৬ জানুয়ারি বাকৃবি শিক্ষক সমিতির ২০১৯ সালের কমিটি গঠনের জন্য নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে শিক্ষক সমিতি, কিন্তু ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় নির্বাচনে বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ভোট কেন্দ্রে সোনালী দলের শিক্ষকদের হেনস্তা করায় এবং এ বিষয়ে শিক্ষক সমিতি কোনো লিখিত বিবৃতি প্রকাশ না করায় নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেয় বিএনপিপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন ‘সোনালী দল’।

সকল দলের শিক্ষকদের অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের প্রস্তুতির জন্যই নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছিল বলে তখন জানিয়েছিলেন অধ্যাপক ড. এ. এস. মাহফুজুল বারি।

এ দিকে, নতুন করে শিক্ষক সমিতির তারিখ ঘোষণা করা হলেও সোনালী দল কোনো প্যানেল ঘোষণা করেননি। অপরদিকে, নির্বাচনে আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের মধ্যে গণতান্ত্রিক শিক্ষক ফোরাম এবং নীল দল নামে দুটো দলে বিভক্ত হয়ে তাদের প্রার্থী মনোনয়ন দিয়েছেন।

এদের মধ্যে গণতান্ত্রিক শিক্ষক ফোরাম ১৫ সদস্য বিশিষ্ট এবং নীল দল তিন সদস্যের আংশিক প্যানেল ঘোষণা করেছে। এতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন গণতান্ত্রিক শিক্ষক ফোরামের মনোনীত ১২ জন সদস্য। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত পদগুলো হলো- সহসভাপতি, কোষাধ্যক্ষ, যুগ্ম সম্পাদক-১, যুগ্ম সম্পাদক-২, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক, তথ্য প্রযুক্তি ও প্রচার সম্পাদক এবং সমাজকল্যাণ সম্পাদক।

নির্বাচনের প্রিজাইডিং অফিসার এবং শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. এ এস মাহফুজুল বারি বলেন, সোনালী দল নির্বাচনে আসার কোনো আগ্রহ দেখায়নি। টেলিফোনে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা নির্বাচনে আসবে না বলে আবার জানিয়ে দেয়। নির্বাচনে না আসার কারণ হিসেবে তিনি সোনালী দলের সাংগঠনিক দুর্বলতাও বলে উল্লেখ্য করেন।

সোনালী দলের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. আবদুল কাদের বলেন, আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন গণতান্ত্রিক শিক্ষক ফোরাম মনোনীত প্যানেল বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার পাঁয়তারা করছিল। পরবর্তীতে নিজেদের মধ্যে গ্রুপিংয়ের কারণে প্যানেল ঘোষণা করতে না পেরে নির্বাচন স্থগিত করে। যদি তারা অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনই করতো তাহলে প্রধান নির্বাচন কর্মকর্তা আমাদের নিয়ে আলোচনা করতো, কিন্তু কোনো ধরনের আলোচনা ছাড়াই দ্বিতীয় দফা নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করার পর ফোন করে আমাদের জানায়।

নীল দলের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেন, বাকৃবিতে নীল দলই আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের সত্যিকারের সংগঠন। গণতান্ত্রিক শিক্ষক ফোরামে আওয়ামীপন্থী, জাসদ, বাসদ, জাতীয় পার্টি ও বিভিন্ন সময়ে বিএনপিপন্থী শিক্ষকরা রূপ বদল করে আশ্রয় লাভ করেছে। বর্তমানে গণতান্ত্রিক শিক্ষক ফোরাম এখন সম্পূর্ণভাবে কমিউনিস্টদের দখলে চলে গেছে। এবার শিক্ষক সমিতির নির্বাচনে আমরা নিজেদের প্রকাশ করতেই এই আংশিক প্যানেল ঘোষণা করেছি।

আরও পড়ুন : জবি ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত, কার্যক্রম স্থগিতে কেন্দ্রীয় নির্দেশ

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড