বুয়েটের ভর্তি পরীক্ষা শুরু ২০ অক্টোবর

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের স্নাতকে ভর্তি পরীক্ষার কার্যক্রম শুরু হচ্ছে আগামী ২০ অক্টোবর থেকে। এ বছর প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হবে ভর্তির প্রাক-নির্বাচনী পরীক্ষা। এরপর চূড়ান্ত পরীক্ষার আয়োজন করবে বুয়েট কর্তৃপক্ষ।

এ বিষয়ে বুয়েটের ছাত্রকল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান বুধবার (১৩ অক্টোবর) গণমাধ্যমকে বলেন, আগামী ২০ ও ২১ অক্টোবর বুয়েটের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের স্নাতকে ভর্তির প্রাক-নির্বাচনী পর্ব এবং চূড়ান্ত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ৬ নভেম্বর।

এ দিকে, আগামী ২০ অক্টোবর ঈদে মিলাদুন্নবী উদযাপিত হবে। একই দিনে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বুয়েটের ভর্তির প্রাক-নির্বাচনী পরীক্ষাও। এ বিষয়ে বুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সত্য প্রসাদ মজুমদার জানান, ক্যালেন্ডার অনুযায়ী আগামী ১৯ অক্টোবর ঈদে মিলাদুন্নবী উদযাপন হওয়ার কথা ছিল। তবে গত ৭ অক্টোবর ইসলামিক ফাউন্ডেশন জানিয়েছে ২০ অক্টোবর ঈদে মিলাদুন্নবী। এর অনেক আগে আমাদের ভর্তি পরীক্ষার তারিখ নির্ধারণ হয়েছে।

তাই এই মুহূর্তে পরীক্ষা পেছানোর সম্ভাবনা একেবারেই কম। কেননা ২০ তারিখ পরীক্ষা নিতে না পারলে এই বছর ভর্তি পরীক্ষার সিডিউল পাওয়া যাবে না। এছাড়া করোনা সংক্রমণ আবার বেড়ে গেলে বিষয়টি নিয়ে আরও জটিলতা সৃষ্টি হবে।

গত ২ সেপ্টেম্বর উপাচার্যদের সংগঠন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদের বৈঠকে ২০ ও ২১ অক্টোবর বুয়েটের প্রাথমিক বাছাই ও ৬ নভেম্বর চূড়ান্ত পরীক্ষা আয়োজনের প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। পরে অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের বৈঠকে তা চূড়ান্ত করা হয়।

এর আগে দুই ধাপে ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষার প্রাক-নির্বাচনী পর্ব গত ৩০ জুন ও ১ জুলাই এবং ১০ জুলাই চূড়ান্ত পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু দেশে করোনা পরিস্থিতির অবনতি হলে এবং লকডাউন দেওয়া হলে পরীক্ষা স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেয় বুয়েট কর্তৃপক্ষ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসার পর পরীক্ষার নতুন তারিখ ঘোষণা করা হবে বলে তখন বলা হয়।

করোনার কারণে এবার জেএসসি ও এসএসসির গড় ফলের ভিত্তিতে এইচএসসি পরীক্ষার ফল মূল্যায়ন করায় ভর্তির পদ্ধতিতে পরিবর্তন আনে বুয়েট। যোগ্যদের বাছাই করতে দুই ধাপে পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় প্রতিষ্ঠানটি।

আরও পড়ুন : ইবিতে ফাজিল ১ম বর্ষে ভর্তির আবেদন শুরু

প্রাক-নির্বাচনী পরীক্ষার মাধ্যমে সর্বোচ্চ নম্বর প্রাপ্ত ছয় হাজার শিক্ষার্থীকে চূড়ান্ত পরীক্ষার জন্য বেছে নেওয়া হবে। চূড়ান্ত পরীক্ষায় সর্বোচ্চ নম্বর প্রাপ্তদের প্রকৌশল বিভাগ এবং নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের মোট ১ হাজার ২১৫ আসনে ভর্তি করা হবে।

ওডি/নিমি