• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১  |   ২৮ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

অধিভুক্ত সাত কলেজে পরীক্ষার সময় বিড়ম্বনা

  মোহাম্মদ রায়হান, তিতুমীর কলেজ প্রতিনিধি

০৮ অক্টোবর ২০২১, ১৪:০৩
সাত কলেজ
সাত কলেজ লোগো (ফাইল ছবি)

গত ২ অক্টোবর থেকে শুরু হয়েছে ঢাবির অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের স্নাতক (সম্মান) শ্রেণির চূড়ান্ত পরীক্ষা। ২ অক্টোবর স্নাতক ১ম বর্ষ এবং ৪ অক্টোবর শুরু হয়েছে ৩য় বর্ষের চূড়ান্ত পরীক্ষা। পাশাপাশি ২৫ অক্টোবর থেকে স্নাতক ২য় বর্ষের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।

করোনাকালে সশরীরে দ্রুত পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত সাধুবাদ জানানোর বিষয় হলেও, শিক্ষার্থীদের বিড়ম্বনা বেড়েছে পরীক্ষার হল গুলোতে। পরীক্ষার মানবণ্টন ও সময় নিয়ে নানান শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মধ্যে বেশ সোরগোল লক্ষ্য করা যাচ্ছে। প্রশ্নপত্রের মান এবং প্রদত্ত সময় নিয়ে অভিযোগ তুলছেন বেশীরভাগ শিক্ষার্থী। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে একের পর এক ‘ঢাবির বৈষম্যমূলক একচোখা নীতি’ শিরোনামে প্রতিবাদমূলক পোস্ট করা হচ্ছে। আশু সুরাহা চাচ্ছে শিক্ষার্থীরা।

সম্প্রতি সাত কলেজ ভিত্তিক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম গ্রুপে ভাইরাল হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগ ৩য় বর্ষের চূড়ান্ত পরীক্ষার প্রশ্নপত্র। যেখানে দেখা যায়, ৩০ নম্বর মানবণ্টন বিশিষ্ট প্রশ্ন পত্রে শিক্ষার্থীদের ১ ঘণ্টা ৩০ মিনিট সময় প্রদান করা হয়েছে। এছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত জনৈক শিক্ষার্থী এমন তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। অন্য দিকে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের একই বিভাগ ও বর্ষের চূড়ান্ত পরীক্ষায় ৮০ নম্বর মানবণ্টন বিশিষ্ট প্রশ্নের জন্য ২ ঘণ্টা সময় বেধে দেওয়া হয়েছে। শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করছেন এটা সুস্পষ্ট বৈষম্য।

শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ৮০ মার্কসের প্রশ্নপত্রে ২ ঘণ্টা সময় স্বভাবতই কঠিন তাদের জন্য। তারা চায়, ৮০ মার্কসের পরীক্ষায় ৪ ঘণ্টা সময় প্রদান করা হোক, নতুবা মানবণ্টন কমিয়ে ৪০ মার্কসে নিয়ে আসা হোক।

রিয়াজুল ইসলাম নামের এক শিক্ষার্থী জানান, সাত কলেজের পূর্বের পরীক্ষাগুলো ৪ ঘণ্টায় নেওয়া হতো ৮০ নম্বরের জন্য আর এখন ওই ৮০ নম্বরের উত্তর লেখার জন্য মাত্র ২ ঘণ্টা সময় দেওয়া হচ্ছে। ঢাবি নিজেদের ছাত্রদের জন্য যেখানে ৩০ নম্বর উত্তর লেখার জন্য ১ ঘণ্টা ৩০ মিনিট সময় দিচ্ছে সেখানে সাত কলেজের কয়েক লক্ষ শিক্ষার্থীকে ৮০ নম্বর উত্তর লেখার জন্য মাত্র ২ ঘণ্টা সময় বেধে দিয়েছেন। এভাবে অর্ধেক প্রশ্নের উত্তর লেখা যায় কিন্তু ৮০ নম্বর উত্তর লেখা একেবারে অসম্ভব হয়ে গেছে। তাই পূর্বের ৪ ঘণ্টা সময় বহাল রাখা নতুবা পূর্ণমান ৪০ নম্বর করার জন্য অনুরোধ করছি।

পরীক্ষার সময় নিয়ে বিড়ম্বনার অভিযোগের পাশাপাশি সরকারি বাঙলা কলেজে স্নাতক ১ম বর্ষের সাব্বির আহমেদ নামের আরেক শিক্ষার্থী তুলে ধরেছেন বেশ কয়েকটি অভিযোগ। দৈনিক অধিকারকে সাব্বির জানান, সময়ের ব্যাপারে আমরা প্রশ্ন হাতে পেয়েই জানলাম। ডিপার্টমেন্ট কিংবা কলেজ থেকে কোনো দিক নির্দেশনা দেওয়া হয়নি। উনাদের প্রশ্ন করলে উনারা বলতেন "আমরা কিছু জানি না, এটা ঢাবি ভালো বলতে পারে" কিন্তু ঢাবিও আমাদের কোনো দিকনির্দেশনা দেয়নি। ফর্ম ফিলাপের সময় টাকা বেশি নিলেও খাতার মান একেবারেই নিম্ন। ভালো করে বাঁধাই করা না। কাভার পেজে লেখার জায়গা একেবারেই সংকীর্ণ।

সাত কলেজের প্রধান সমন্বয়কারী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক এএসএম মাকসুদ কামাল ইতোমধ্যেই গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, পরীক্ষার সময় নিয়ে তার কাছে এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ আসেনি। তিনি আরও বলেন, সাত কলেজের অধ্যক্ষদের নিয়েই পরীক্ষার সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। কোনো সমস্যা হলে অধ্যক্ষদের মাধ্যমেই আমাদের কাছে আসতে হবে। এরপর আমরা বিষয়টা বিবেচনা করবো।

এই ব্যাপারে কথা বললে সাত কলেজের সমন্বয়ক (ফোকাল পয়েন্ট) ও ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক আই কে সেলিমুল্লাহ খোন্দকার জানান, প্রশ্নের মানবণ্টন নিয়ে কাজ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সাত কলেজের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ কমিটি। তাদের সঙ্গে স্ব স্ব বিভাগের শিক্ষকদের যোগাযোগের মাধ্যমে এই বিষয়টি সমাধান করা যায়। এক্ষেত্রে যেসব বিভাগে মানবণ্টন নিয়ে সমস্যা, তাদের ডিপার্টমেন্ট থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অভিযোগ করে সমাধান করে নিতে পারে। অভিযোগ করার পরও সমাধান না হলে সেটা আমি দেখতে পারি পরবর্তীতে।

এ দিকে, উদ্ভূত সমস্যা সমাধানে ডিপার্টমেন্ট থেকে কোনো পরিকল্পনা আছে কি না, জানতে চাইলে সরকারি তিতুমীর কলেজের ইংরেজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক সালেকা মাহমুদ জানান, এখন পর্যন্ত ডিপার্টমেন্টে কোনো অভিযোগ আসেনি। আর অভিযোগ আসলেই কেবল সুনির্দিষ্ট অভিযোগ নিয়ে কলেজ অধ্যক্ষের সঙ্গে কথা বলে সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা করবো।

ওডি/নিমি

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড