মেস মালিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রস্তুত প্রশাসন : প্রক্টর

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) করোনাকালীন মেস ভাড়া নিয়ে প্রশাসনের চরম অবহেলায় নিয়মিত শিক্ষার্থীরা মেস মালিকদের হুমকি ধামকি এবং লাঞ্ছনার শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

মহামারি পরিস্থিতিতে পুরো দেশ লকডাউন থাকায় ১৮ মার্চ থেকে সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সরকারি বিধিমালা অনুযায়ী বন্ধ রয়েছে। এতে শিক্ষার্থীরা বাড়িতে অবস্থান করছে। তবে মেসে অবস্থান না করেও কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় সাড়ে চার হাজার শিক্ষার্থী দীর্ঘদিন ধরে ভাড়ার বিষয়ে নিয়মিত মেস মালিকদের লাঞ্ছনা এবং হুমকির শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া যায়।

কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শুধুর প্রতিশ্রুতিতেই সীমাবদ্ধ। কার্যত দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ নেয় নি প্রশাসন। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববদ্যালয়ের আনঅফিশিয়াল ফেসবুক গ্রুপে তাদের বিভিন্ন মন্তব্য করতে দেখা যায়।

রাকিব হাসান নামের এক শিক্ষার্থী জানান, ‘আমরা দীর্ঘদিন মেস মালিকদের থেকে নানাভাবে লাঞ্ছনার শিকার হয়ে আসছি। প্রশাসন কি ভাবছে পরিষ্কার করলে আমাদের জন্য উপকার হয়। এভাবে কলা দেখিয়ে ঝুলিয়ে রাখার কোন মানে দেখি না।’

এদিকে গত ১০ মে কুমিল্লা জেলা প্রাশসন সংবাদ মাধ্যমকে জানায়, এ সংক্রান্ত কোনো পদক্ষেপে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ প্রস্তাব করলে ব্যবস্থা নিতে প্রস্তুত রয়েছে জেলা প্রাশাসন। পরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন গত ১৭ মে মেস ভাড়া মওকুফে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কাছে চিঠি পাঠায়। এবং ২৩ মে করোনাকালীন ও তার পরবর্তী সময়ে শিক্ষার্থীদের সহযোগিতার জন্য ১০ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করে।

কিন্তু দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে একাধিক শিক্ষার্থী। তাদের দাবি প্রশাসন মুখে বললেও কার্যত তারা উদাসীন ভূমিকা পালন করে চলছে।

আরও পড়ুন : করোনায় ভর্তি পরীক্ষা : সাউথ পয়েন্ট স্কুলকে শোকজ

এ নিয়ে কথা বলতে গেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ড. মো. আবু তাহের বলেন, ‘এ পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত আমরা ফরমাল কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারছি না। তবে এ বিষয়ে আমরা কমিটি গঠন করেছি। প্রক্টর সেখানে আহ্বায়ক। সুতরাং এ বিষয়ে তিনি ভালো বলতে পারেন।’

জানতে চাওয়া হলে প্রক্টর ড. কাজী মোহাম্মদ কামাল উদ্দীন বলেন, ‘আমরা এ বিষয়ে কমিটি গঠন করেছি। কমিটিতে আমি প্রধান। কিন্তু কোনো শিক্ষার্থী এখনও মৌখিক বা লিখিত কোনো অভিযোগ দেয় নি। আমরা মেস মালিকদের জানিয়েছি করোনা পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের ভাড়ার জন্য কোনো ধরনের চাপ সৃষ্টি না করতে। এর পরেও যদি এ ধরনের অভিযোগ আসে তাহলে আমি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই তারা সরাসরি আমাদের কমিটির যে কোনো সদস্যকে জানাবে। তারা সমাধান করতে না পারলে সরাসরি আমাকে জানাবে। আমি ব্যবস্থা নিব।’