বশেফমুবিপ্রবি প্রতিনিধি
মাৎস্যসম্পদ বিষয়ে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) বৈশ্বিক প্রতিবেদন দ্য স্টেট অব ওয়ার্ল্ড ফিশারিজ অ্যান্ড অ্যাকুয়াকালচার–২০২০ প্রতিবেদনটি বলা হয়েছে গত বছর বিশ্বে প্রায় ১৮ কোটি টন মাছ উৎপাদিত হয়েছে। এর অর্ধেকেরও বেশি অভ্যন্তরীণ উৎসের তথা স্বাদুপানির মাছ। বাকিটা সামুদ্রিক মাছ।
আশার খবর হচ্ছে বিশ্বের যেসব দেশে মাৎস্য উৎপাদনের হার বাড়ছে, সেগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ তৃতীয় থেকে এবার দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে। স্বাদুপানির মাছ উৎপাদনের ক্ষেত্রে আগের মতোই পঞ্চম স্থান ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছে।
সেই ধারাবাহিকতায় করোনাকালেপ্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা বাস্তবায়নের লক্ষে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেফমুবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৈয়দ সামসুদ্দিন আহমেদের উদ্যোগে ক্যাম্পাসের পুকুরে মাছের পোনা অবমু্ক্ত করা হয়েছে।
সোমবার (১৫ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিশারিজ বিভাগের আয়োজনে দেশীয় প্রজাতির বিভিন্ন মাছের পোনা অবমু্ক্তকরণ করা হয়।
মাছের পোনা অবমু্ক্ত করেন- ফিশারিজ বিভাগের শিক্ষকদের মধ্যে ড. আব্দুস ছাত্তার, রফিকুল বারী মামুন,মো. সাদিকুর রহমান (ইমন), ড. মো. ফরহাদ আলী, ড. মাহমুদুল হাছান, মৌসুমি আক্তার, ফখরুল ইসলাম চৌধুরী (সুমন), সৈয়দ আরিফুল হক (ইমন) প্রমুখ।
এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্ম বিভাগের চেয়ারম্যান ড. এ এইচ এম মাহবুবুর রহমান, সিএসই বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মাহমুদুল আলম, ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষক এস এম ইউসুফ আলী প্রমুখ মাছের পোনা অবমুক্ত করেন।
স্বাদুপানির মাছে বাংলাদেশ তার তৃতীয় স্থানটি ধরে রেখে উৎপাদন বাড়ানোর হারে দ্বিতীয় স্থানে উঠেছে। চাষের মাছে দেশ গত ছয় বছরের মতোই পঞ্চম হয়েছে।এ বিষয়ে ফিশারিজ বিভাগের সিনিয়র শিক্ষক ড. আব্দুস ছাত্তার বলেন, এক্ষেত্রে দেশের মাৎস্যবিজ্ঞানীদের বিরাট অবদান রয়েছে। তাঁরা বিভিন্ন প্রজাতির দেশি মাছের উন্নত জাত উদ্ভাবন করেছেন, যেগুলো চাষিরা পুকুর ও ছোট জলাশয়ে পরিকল্পিতভাবে ও বাণিজ্যিক লক্ষ্যে উৎপাদন করে লাভবান হচ্ছেন। বিজ্ঞানীরা অনেক বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতির দেশি মাছের আধুনিক চাষপদ্ধতি উদ্ভাবন করতে সক্ষম হয়েছেন বলে ওই মাছগুলো বিলুপ্তির হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে।’
আরও পড়ুন : গণস্বাস্থ্য মেডিকেলের ইন্টার্ণ চিকিৎসকদের কর্মবিরতি
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. সৈয়দ সামসুদ্দিন আহমেদ বলেন-‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলেন যেন কারও এক ইঞ্চি জমিও যেন অনাবাদি না থাকে। আমাদের ক্যাম্পাসের পুকুরে মাছের পোনা অবমুক্ত করা হচ্ছে। বর্তমানে আমাদের দেশে মৎস্য উৎপাদন বেড়েছে।’
তিনি বলেন, এ সাফল্যের পেছনে বর্তমান সরকারের নানামুখী প্রচেষ্টা এবং মাৎস্য বিজ্ঞানীদের নিরন্তর গবেষণার অবদান রেখেছে। তাদের এ প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে।
এদিকে মুজিববর্ষ উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বিভিন্ন ধরনের বৃক্ষ রোপন করা হয়েছে। যা সারাবছর জুড়ে চলবে। চলতি মৌসুমে ক্যাম্পাসের সব পুকুরেই দেশীয় প্রজাতির মাছের পোনা অবমুক্তরণ অব্যাহত থাকবে। এ সকল কাজ বাস্তবায়নে রেজিস্ট্রার খন্দকার হামিদুর রহমান, ডেপুটি রেজিস্ট্রার মো. মহিউদ্দিন মোল্লাসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ সার্বিক সহযোগিতা কাজ করে যাচ্ছেন।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড