• মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩২ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

গণস্বাস্থ্য মেডিকেলের ইন্টার্ণ চিকিৎসকদের কর্মবিরতি

  গবি প্রতিনিধি

১৫ জুন ২০২০, ১৯:৩১
গণস্বাস্থ্য সমাজ ভিত্তিক মেডিকেল কলেজ
ছবি : সংগৃহীত

দাবি না মানা এবং হাসপাতাল পরিচালকের অশালীন ও কুরুচিপূর্ণ মন্তব্যের প্রতিবাদে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতিতে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে সাভারের গণস্বাস্থ্য সমাজ ভিত্তিক মেডিকেল কলেজের ইন্টার্ণ চিকিৎসকরা।

সোমবার (১৫ জুন) স্মারকলিপির মাধ্যমে ইন্টার্ণ চিকিৎসকগণ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

জানা যায়, গত ১৪ মে তাঁরা বেশকিছু দাবি নিয়ে কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. ফরিদা আদিব খানম বরাবর একটি স্মারকলিপি প্রদান করেন। এতে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা, মেডিকেল অফিসার ব্যতীত এবং বিএমডিসির কারিকুলামের বাইরে কোনো ইন্টার্ণ গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের সাব-সেন্টারে ভবিষ্যতে যাবেনা বলে জানানো হয়। একইসঙ্গে তাদের বেতন সর্বনিম্ন ১৫ হাজার টাকা এবং সেটা মাসের ৫ তারিখের মাঝে প্রদানের দাবি জানান।

স্মারকলিপিতে নগর হাসপাতালের ডাক্তারদের জন্য থাকার সুব্যবস্থা, সাব-সেন্টারগুলোতে আটকে পড়া ইন্টার্ণদের ফেরত আনা, বিএমডিসির লগ বইয়ের নিয়মানুযায়ী ডিউটির ব্যবস্থা, ইন্টার্ণ কো-অর্ডিনেটর কর্তৃক ফোনে এক ইন্টার্ণ চিকিৎসককে হুমকির জন্য লিখিত ক্ষমা সহ কয়েকটি দাবি জানানো হয়। স্মারকলিপি প্রদানের ১০ দিনের মধ্যে এ ব্যাপারে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য বলা হয়।

কিন্তু এক মাস পার হয়ে গেলেও এ ব্যাপারে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ ইন্টার্ণ চিকিৎসকদের। তাঁরা বলেন, আমরা দাবির ব্যাপারে পরিচালককে বিষয়টি জানালে তিনি আমাদের সঙ্গে অশালীন ও কুরুচিপূর্ণ ব্যবহার করেন। উনার এই আচরণের জন্য লিখিত ক্ষমা এবং স্মারকলিপির সদুত্তর না দেয়া পর্যন্ত আমরা কর্মবিরতিতে যেতে বাধ্য হচ্ছি। তবে জরুরি বিভাগ এই কর্মবিরতির আওতার বাইরে থাকবে।

অভিযোগের ব্যাপারে হাসপাতালের পরিচালক ডা. মিজানুর রহমান বলেন, ‘তাঁরা আগে আমার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেছে। আমার কাজ হচ্ছে, কারা ডিউটি করেছে সেটা কলেজের অধ্যক্ষকে চিঠির মাধ্যমে জানানো। আমি সেটা মাসের ১ তারিখের আগেই জানিয়েছি। বেতনের বিষয়টি আমার দায়িত্ব না। এটা অধ্যক্ষের ব্যাপার, তিনি দেখবেন।’

আরও পড়ুন : পরিবেশ অধিদপ্তরের সহযোগিতায় চবি নেচার ক্লাবের অনলাইন কর্মশালা

তিনি আরও বলেন, ‘বিএমডিসির আইন অনুযায়ী ইন্টার্ণরা কর্মবিরতি করতে পারবে না। তাঁরা এক বছরের ইন্টার্ণশীপ করতে বাধ্য। নইলে সার্টিফিকেট পাবে না।’

সার্বিক বিষয়ে জানতে কলেজের অধ্যক্ষ ডা. ফরিদা আদিব খানম, উপাধ্যক্ষ ডা. মুহিব উল্লাহ খন্দকার এবং ইন্টার্ণ সমন্বয়ক ডা. একেএম রেজাউল হকের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হয়। কিন্তু তাঁরা প্রত্যেকেই এ বিষয়ে অবগত নন এবং কথা বলার ব্যাপারে অপারগতা প্রকাশ করেন।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড