• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১  |   ২৮ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

চুয়েটে শিগগিরই পরীক্ষামূলক অনলাইন ক্লাস

  চুয়েট প্রতিনিধি

০১ জুন ২০২০, ১৬:৫৫
চুয়েট
ছবি : সংগৃহীত

করোনাভাইরাসের প্রকোপে দেশের অন্যান্য খাতের মত শিক্ষা খাতও চরম সংকটে পড়েছে। এই সময়ে দেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো অনলাইন ক্লাসের প্রক্রিয়া শুরু করছে। বিভিন্ন মহলে কথা উঠছে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে সেশনজট কমিয়ে আনতে অনলাইন ক্লাসের যৌক্তিকতা নিয়ে। কেউ বলছে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে অনলাইন ক্লাসের পক্ষে আবার কেউ বিপক্ষে।

অনলাইন ক্লাস নিয়ে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (চুয়েট) গত ৭ মে সমস্ত ডিন এবং বিভাগীয় প্রধানদের সমন্বয়ে অনুষ্ঠিত সভায় ৮ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি শিক্ষার্থীদের অনলাইন ক্লাসের আগ্রহ ও উপযুক্ততা যাচাইয়ের জন্য বিভিন্ন প্রশ্নসূচক একটি অনলাইন জরিপ সম্পন্ন করে। জরিপে বেশিরভাগ শিক্ষার্থীরা অনলাইন ক্লাস করতে অনিচ্ছুক।

স্বাস্থ্যবিধি মেনে ৩১ মে (রবিবার) চুয়েটের কাউন্সিল কক্ষে উপাচার্যের সভাপতিত্বে সকল ডিন, পরিচালক, বিভাগীয় প্রধান, সেন্টার চেয়ারম্যান, প্রাধ্যক্ষ, অফিস প্রধান, শাখা প্রধানের উপস্থিতিতে এক সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় অনলাইন ক্লাসের উপযুক্ততা এবং সামগ্রিক সম্মুখীন সমস্যার বিষয়ে নানা আলোচনা করা হয়।

অনলাইন ক্লাসের প্রয়োজনীয় উপকরণ হলো মোবাইল এবং অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোন। জানা যায়, শতকরা ৪০ ভাগ শিক্ষার্থীদের অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোন রয়েছে। বাকি শিক্ষার্থীদের মোবাইল এবং ল্যাপটপ দুটোই রয়েছে। তবে ১ শতাংশ শিক্ষার্থীদের অনলাইন ক্লাসের জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণ ল্যাপটপ এবং অ্যান্ড্রয়েড ফোন দুটোই নেয়। এছাড়া জরিপে জানা যায়, ৪০শতাংশ শিক্ষার্থীদের অনলাইন ক্লাস চালিয়ে নেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় ইন্টারনেট প্যাকেজ কেনার সামর্থ্য নেই।

এ ব্যাপারে অনলাইন ক্লাস সংশ্লিষ্ট কমিটির সদস্য ও স্থাপত্য বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. জিএম সাদিকুল ইসলাম জানান, অনলাইন জরিপে শিক্ষার্থীদের প্রতিক্রিয়া সন্তোষজনক না। আমরা জরিপের বিস্তারিত ফল এবং শিক্ষার্থীদের সম্মুখীন নানা সমস্যার কথা সভায় তুলে ধরেছি। এই দুর্যোগের সময়ে অর্থসমস্যায় জর্জরিত কোনো পরিবারকে ইন্টারনেট খরচে চাপ দেওয়া মোটেই সমীচীন না। সেজন্য মোবাইল ইন্টারনেটের ব্যাপারে ইউজিসি ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের সুবিধার্থে আলাদাভাবে কোনো সাশ্রয়ী প্যাকেজ চালু করা যায় কিনা সে প্রস্তাবনা দিয়েছি।

পরিশেষে শিক্ষার্থীদের সীমাবদ্ধতা আমলে নিয়ে সল্প পরিসরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শিগগিরই পরীক্ষামূলকভাবে অনলাইন ক্লাস শুরু করতে চাই। পরে যদি শিক্ষার্থীদের সীমাবদ্ধতাগুলো কঠিন হয়ে যায় তখন বিষয়গুলো পুনর্বিবেচনা করা হবে। এছাড়া যখনই সরকার থেকে শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাসে আসার ব্যাপারে ঘোষণা আসবে তখনই চতুর্থ বর্ষ ও তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাসে এনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে তাদের পরীক্ষা সম্পন্ন করা হবে।

আরও পড়ুন : হুমায়ূন আহমেদের স্বপ্নের বিদ্যাপীঠে এবারও শতভাগ পাস

এ ব্যাপারে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম জানান, করোনার মুহূর্তে সরকার ঘোষিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধে শিক্ষার্থীরা গত আড়াই মাস ধরে পড়াশোনার বাইরে। তিনি সময় নষ্ট না করে শিক্ষার্থীদের নিজ নিজ বিষয়ের শিক্ষকদের সঙ্গে যোগাযোগ করে বাসায় বসে কিছুটা হলেও পড়াশোনায় মনোনিবেশ করার আহবান জানান। এই পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের অনলাইন ক্লাসই একমাত্র ভরসা। তাছাড়া অনলাইন জরিপে দেখা গেছে শিক্ষার্থীদের কিছু ব্যক্তিগত ঘাটতির কারণে অধিকাংশ শিক্ষার্থীই অনলাইনে ক্লাস করতে অনিচ্ছুক। তাছাড়া সরকার থেকে শিক্ষা ঋণের কোনো বাজেট নাই। তবে আশা করছি শীঘ্রই আমরা অনলাইন ক্লাস শুরু করব। এছাড়া তিনি শিক্ষার্থীদের নিরাপদে থাকার আহবান জানান।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড