• মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩০ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

ক্যাম্পাসের মোড়ে মোড়ে নেই চায়ের আড্ডা

  আজাহার ইসলাম

২৭ মে ২০২০, ২০:৫৪
চায়ের আড্ডা
ছবি : সংগৃহীত

‘অধিকাংশ সময়ই কাটে চায়ের দোকানেই। বাড়িতে ফিরি মধ্যরাতে আবার সকালে উঠে দোকানে যাই। সারাক্ষণ শিক্ষার্থীরা সমাগম করতেই থাকে। এটা আমাকে আনন্দ দেয়।’ এমনটাই বলছিলেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) জিয়া মোড়ের চায়ের দোকানদার সোবহান।

মামা কড়া লিকার দিয়ে একটা চা দিয়েন তো। মামা চিনি কম দিয়ে একটা চা দেন। মামা দুধ দিয়ে চা দেন। এমন ধরনের কথা প্রতিদিন শোনা যায় ক্যাম্পাসের বিভিন্ন মোড়ের চায়ের দোকানগুলোতে। চা কমবেশি সকলের প্রিয় পানীয়। বুড়ি কিংবা বয়স কুড়ি। চা পান করেনা এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দায়। আর চা যদি হয় আড্ডায় আড্ডায় তাহলে তো ষোল কলায় পরিপূর্ণ।

নবীন-প্রবীণ সকল শিক্ষার্থীর কাছেই চায়ের দোকান বা স্টল আড্ডার পারফেক্ট স্থান। সদলবলে চা পানের সঙ্গে জমে ওঠে আড্ডা। চায়ের পেয়ালায় এক চুমুক দিয়েই এমনই গল্পে মুখর হয়ে যায় যে চায়ের কথাই ভুলে যান অনেকেই। এজন্যই বুঝি বলা হয় চায়ের কাপে ঝড়।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী রাকিব দেওয়ান বলেন, ‘ক্যাম্পাসে একা চা খাওয়া হয় খুব কম। কেউ না কেউ জুটে যায় গল্পের ছলে। গল্প করতে করতে চা খাওয়ার অনুভূতিই আলাদা। চায়ের পিছনে মাসে বেশ ভালো একটা অংকের টাকা খরচও হয়ে যায়।’

মহামারি করোনা আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে বিশ্বব্যাপী। মৃত্যুর মিছিল বেড়েই চলেছে আমাদের দেশেও। এই মহামারি মুক্ত না হওয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। তাই বর্তমানে ক্যাম্পাস জনশুন্য। মোড়ে মোড়ে নেই চায়ের আড্ডা।

সকাল, দুপুর কিংবা সন্ধ্যা। শিক্ষার্থীদের চায়ের আড্ডায় মুখরিত থাকতো বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। ক্লাস শেষ করেই সবাই ছুটে যেত চায়ের দোকানগুলোয়। বিশেষ করে সন্ধ্যার পরে বন্ধু, সিনিয়র কিংবা জুনিয়রের সঙ্গে বসে হলের মোড়ে, প্রধান ফটক এলাকায় টং দোকানগুলোতে চায়ের আড্ডার দৃশ্য নিত্তনৈমত্তিক ব্যাপার। আড্ডার সাথে থাকতো গান।

আরও পড়ুন : ৩২ হাজার টাকায় বিক্রি হলো ঢাবি শিক্ষার্থীর স্বপ্ন

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন ও ভূমি ব্যবস্থাপনা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী প্রতাপ পাল বলেন, ‘চা ছাড়া আড্ডা জমেই না। চায়ের সাথে আড্ডায় কখন যে সময় চলে যায় টেরই পাইনা। কবে খুলবে আমাদের প্রাণের ক্যাম্পাস। কতদিন একসাথে চা খাইনা টিটু মামার দোকানে। আবার কবে মিলিত হব চায়ের আড্ডায়?’

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড