• মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩১ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

নিয়ম ভেঙ্গে নিয়োগ, রাবি উপাচার্যসহ ৪ জনকে আইনি নোটিশ

  ক্যাম্পাস ডেস্ক

১২ মে ২০২০, ১৬:২৯
রাবি
রাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. আব্দুস সোবহান (ছবি : সংগৃহীত)

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ক্রপ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজিস বিভাগের সভাপতি নিয়োগে জ্যেষ্ঠতার নিয়ম লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. আব্দুস সোবহানসহ চারজনকে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

সোমবার (১১ মে) ই-মেইলের মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যেতির্ময় বড়ুয়া সংশ্লিষ্টদের এ নোটিশ পাঠান। রাবি উপাচার্য ছাড়া বাকিরা হলেন উপ-উপাচার্য, রেজিস্ট্রার এবং কৃষি অনুষদের ডিন।

মঙ্গলবার (১২ মে) বিষয়টি নিশ্চিত করে ব্যারিস্টার জ্যেতির্ময় বড়ুয়া বলেন, গত ৭ মে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ক্রপ সায়েন্স এন্ড টেকনোলজিস বিভাগের সভাপতির মেয়াদ শেষ হয়েছে। নিয়মানুযায়ী ওই বিভাগের অধ্যাপক ড. মু আলী আসগরের এ পদে আসার কথা ছিল। কিন্তু কোনো নোটিশ ছাড়াই তাকে নিয়োগ না দিয়ে বিভাগের আরেকজনকে এ দায়িত্ব প্রদান করে কর্তৃপক্ষ। এক্ষেত্রে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় আইন ১৯৭৩ এর ২৯ ধারার ৩ এর ১ ধারা অনুযায়ী জ্যেষ্ঠতার নিয়ম লঙ্ঘন হয়েছে।

তিনি জানান, ই-মেইলের মাধ্যমে সোমবার (১১ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, উপ-উপাচার্য রেজিস্ট্রার এবং সংশ্লিষ্ট ফ্যাকাল্টির ডিন বরাবর আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। নোটিশের জবাব দিতে সংশ্লিষ্টদের সাতদিন সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে। এ সময়ের মধ্যে কোনো সুনির্দিষ্ট জবাব না পেলে পরবর্তী আইনি প্রক্রিয়ায় যাবে বলেও জানান তিনি।

জানা যায়, গত ৮ মে বিভাগের বর্তমান সভাপতির মেয়াদ শেষ হয়। এর আগে ৭ মে অধ্যাপক মো. আবুল কালাম আজাদকে নতুন সভাপতি হিসেবে নিয়োগ দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এতে জ্যেষ্ঠতার নিয়ম লঙ্ঘনের অভিযোগ আনেন বিভাগের আরেক অধ্যাপক ড. মু আলী আসগর। এটি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় আইন ১৯৭৩ এর ২৯ ধারার ‘দ্য ফার্স্ট স্টাটিউট অব দ্য ইউনিভার্সিটি’ এর ৩ এর ১ ধারা তথা জ্যেষ্ঠতার নিয়ম লঙ্ঘন' বলে দাবি করেন ভুক্তভোগী অধ্যাপক।

তার দাবি, গত বছর বিভাগের শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির ইস্যুতে হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন করেছিলাম। এরই প্রেক্ষিতে হাইকোর্ট ওই শিক্ষক নিয়োগ বাতিল করেন। এরপর থেকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আমার প্রতি ক্ষিপ্ত। জ্যেষ্ঠতা লঙ্ঘন করে বিভাগের সভাপতি নিয়োগ এরই বহিঃপ্রকাশ মাত্র।।

বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সালের নভেম্বরে ক্রপ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি বিভাগের তিনটি শূন্য পদের বিপরীতে শিক্ষক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। সেখানে প্ল্যানিং কমিটি প্রভাষক পদে প্ল্যান্ট প্যাথলজি, জেনেটিক্স অ্যান্ড প্ল্যান্ট ব্রিডিং ও এগ্রোনমি/এগ্রিকালচারাল এক্সটেনশন থেকে পাশকৃতরা আবেদন করতে পারবে বলে উল্লেখ করে।

কিন্তু ওই বিজ্ঞপ্তিতে পরে আর শিক্ষক নিয়োগ হয়নি। গত বছরের ৩০ জুলাই নতুন করে সে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। কিন্তু প্ল্যানিং কমিটিকে না জানিয়েই উল্লিখিত বিভাগগুলোর সঙ্গে এগ্রিকালচারাল ক্যামিস্ট্রি বিভাগ যুক্ত করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

‘বিশ্ববিদ্যালয় আইন এর ১নং স্টাটিউট এর ৩ নম্বর ধারা অনু্যায়ী স্থায়ী পদে শিক্ষক নিয়োগ দিতে হলে সংশ্লিষ্ট বিভাগের প্ল্যানিং কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে সিন্ডিকেট নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারেন। কিন্তু প্ল্যানিং কমিটিকে না জানিয়েই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ‘এগ্রিকালচারাল ক্যামিস্ট্রি’ বিভাগটি যুক্ত করেছে বলে অভিযোগ অধ্যাপক আজগরের।

আরও পড়ুন : অনলাইন শিক্ষার সুযোগ পাচ্ছে না মফস্বলের শিক্ষার্থীরা

সে নিয়োগ নিয়ে গত বছরের ১৮ আগস্ট নতুন নীতিমালায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে বিভাগের অধ্যাপক ড. আলী আসগরের হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন করেন। যার প্রেক্ষিতে উচ্চ আদালত প্রকাশিত নতুন বিজ্ঞপ্তিতে শিক্ষক নিয়োগের বিরুদ্ধে রুল জারি করেছিলেন। একইসঙ্গে নতুন বিজ্ঞপ্তিতে শিক্ষক নিয়োগ কেন অবৈধ হবে না তা জানতে চেয়েছিলেন। সবশেষ চলতি বছরের ২৯ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট ওই শিক্ষক নিয়োগ বাতিল করেন।

সভাপতি নিয়োগের বিষয়ে গত ৮ মে রাবি রেজিস্ট্রার অধ্যাপক এম এ বারী বলেন, ‘অধ্যাপক আসগরসহ বিভাগের আরও দু'জন শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যেমূলকভাবে অকৃতকার্য করানোর অভিযোগ রয়েছে। অভিযোগটি এখনো তদন্তাধীন থাকায় বিভাগের শিক্ষা কার্যক্রমের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কায় উনাকে সভাপতি পদে নিয়োগ দেওয়া হয়নি। পরবর্তী সময়ে তদন্তে নির্দোষ প্রমাণিত হলে তিনি নিয়োগ পাবেন।’

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড